নির্বাচনী বছর ও সংরক্ষিত নারী আসনের ভবিষ্যৎ


নারী আন্দোলনের দাবি, আসন সংরক্ষিত যদি থাকে তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচিত; যেখানে রাজনৈতিক দলের নারী সদস্য, সমাজ কর্মী, নারী আন্দোলন কর্মী সকলেই নারীদের পক্ষে কথা বলার জন্যে এবং সার্বিকভাবে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে এটাও বলা দরকার যে নারী আজীবন সংরক্ষিত আসনে থাকবেন এটাও কাম্য নয়। নারীরা পুরুষের মতোই সাধারণ আসনে নির্বাচন করবেন এটাই হচ্ছে লক্ষ্য।

এই বছর বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে খুব গুরুত্বপুর্ণ। আগামী ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন থেকে ছোট বড় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তাদের নিজ নিজ দাবিগুলো পেশ করছেন। তারমধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে হলে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে নাকি নির্দলীয় কোন সরকারের অধীনে হবে সেই প্রশ্নই সবার আগে সামনে আসছে।

কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে আর নেই বলে এই দাবি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিরোধী দল বিএনপি আন্দোলনে নেমেছে এবং তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। গণতন্ত্র মঞ্চ ও অন্যান্য দল সকলে এই বিষয়ে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।

কিন্তু নারীদের দিক থেকে দেখতে গেলে নির্বাচন যেভাবেই হোক, জাতীয় সংসদের ৩৫০টি আসনের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের ভাগ্যে কী আছে তা কেউই তুলে ধরেন নি। মনে হচ্ছে না এই বিষয় নিয়ে কারো মাথাব্যথা আছে। এই আসনগুলোতে নির্বাচন হবে কিনা নাকি যেমন আছে তেমন থাকবে সেটাও কেউ বলছেন না। তার অর্থ হচ্ছে সংসদে আসন সংখ্যা ৩৫০ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো শুধু ৩০০ আসনের কথাই বলছেন।

নারী আন্দোলন ১৯৯১ সাল থেকে যতোগুলো সংসদ নির্বাচন হয়েছে ততবারই সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে, কিন্তু এখনো এই আসনগুলো ৩০০ আসনের নির্বাচিত সদস্য দ্বারাই সংরক্ষিত আসনে দলের নারীদের মনোনীত করা হচ্ছে, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে না এবং দেশে নারী ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নারী সংগঠন সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং এখনও আছে। তারা দাবির পাশাপাশি সরাসরি নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা করেছেন।

খুব দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক বিষয় হচ্ছে এই ২০২৩ সালে এসেও সরাসরি নির্বাচনের দাবি তুলতে হচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত এসে দেখা যাচ্ছে আসন সংখ্যা ১৫ থেকে ৫০ পর্যন্ত বেড়েছে কিন্তু সংরক্ষিত আসন এখনো সরাসরি নির্বাচনের মুখ দেখেনি। তার প্রধান কারণ সংসদে আসন দখলকারী বড় দুটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থের সঙ্গে নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি সাংঘর্ষিক। ফলে বড় দলগুলোর এই ক্ষেত্রে ইচ্ছার তীব্র অভাব রয়েছে। অন্যান্য দলের রয়েছে রহস্যজনক নীরবতা। একইসাথে বলতে হয় বড় রাজনৈতিক দলের নারী সদস্যরাও দলের পুরুষ বা নেতৃস্থানীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পা্রছেন না। তাই সহজে পাওয়া যায়- এমন আসনে গিয়ে বসার চেষ্টা বা প্রতিযোগিতায় তারা নিজেদের শ্রম ও মেধা খরচ করছেন।

এখন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একটু পরিবর্তন হচ্ছে। বড় দুটি দলের আধিপত্য থাকলেও তরুণ প্রজন্মের অনেক জোট ও দল গঠিত হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক, কারণ তারা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মতো করে ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়ার চেষ্টা করছেন না। তারা সংসদে গিয়ে কিছু অবদান রাখতে চান। অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি লোক দেখানো নির্বাচন করবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে।

সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার জন্যে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ আছে, কিন্তু পর পর তিন মেয়াদে এক নাগাড়ে ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

বিগত দুটি নির্বাচন (নবম এবং দশম সংসদ) যে প্রক্রিয়ায় হয়েছে তাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারের অধীনে যৌক্তিক কারণেই আর কোন নির্বাচন করতে ভরসা পাচ্ছে না। জনগণও ভোট দিতে পারে নি, তাই জনগণও বিশ্বাস করতে পারছে না। সবার দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের। তবে এই সময় দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যে ভয়ানক সংকট দাঁড়িয়েছে তাতে শুধু সুষ্ঠূ নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না।

তাই রাষ্ট্র সংস্কার, সংবিধান সংস্কার এমনকি একেবারেই নতুন করে সংবিধান রচনার প্রশ্নও সঙ্গত কারণেই উঠছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশকে নতুন ভাবে 'গঠন' করতে হবে এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মূলধারা বিরোধী দল এবং প্রগতিশীল দল এবং জোট কেউই সংবিধানে নারী আসন সংক্রান্ত পুরুষতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে কোন টুঁ শব্দটি করছেন না। এমন অবস্থায় নারী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আমরা আগেও ভুমিকা রেখেছি এখনও তা অব্যাহত রাখছি।

জাতীয় সংসদে নারী-পুরুষ উভয়ে যেতে পারেন জনপ্রতিনিধি হয়ে। তার জন্যে তাদের নির্বাচন করে জনগণের ভোট নিয়ে যেতে হয়। জনগণের ভোট পেতে হলে সরাসরি তাদের কাছে যেতে হয়, সুখ-দুঃখের সাথী হতে হয়। তাদের নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থাকে, সেই জনগোষ্ঠির ভোট নিয়ে তারা সংসদে বসেন। তবেই না জনপ্রতিনিধি! তবে রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী কর্মীদের অবস্থান এতোই দুর্বল যে দল যদি কোন নারীকে সাধারণ আসনে মনোনয়ন না দেয়, তাহলে জীবনেও কোন নারী নির্বাচন করতে পারবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সহজ নয়। নারীদের নিজেদেরও কোন দল নেই। সাধারণ আসনে মনোয়ন পাওয়াই নারীর রাজনৈতিক সত্ত্বা তৈরির আসল জায়গা। তিনি নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে নারী-পুরুষ উভয়ের কাছে এবং বিশেষ করে নারীদের কাছে যাবার সুযোগ পান।

সংবিধানে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে নারী অধিকার কর্মীরা প্রথমে স্বাগত জানিয়েছিলেন এই কারণে যে, শুরুতে এই সহায়তা লাগতে পারে। কিন্তু নারী আন্দোলন দেখলো এই আসনগুলো নারীদের জাতীয় সংসদে আসার সুবিধা করে দিচ্ছে বটে, কিন্তু তার নিজের ক্ষমতা বা সত্ত্বা বলে কিছু থাকছে না। তারা জনগণের প্রতিনিধি হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা সংসদে কেবল দলের টোকেন প্রতিনিধি হতে পারছেন, আর কিছু হওয়া তাদের পক্ষে কঠিন কাজ। দলের নেতাদের লেজুরবৃত্তি করতে হচ্ছে। সাধারণ আসনে সদস্যদের সাথে তাদের হেয় করে দেখা হচ্ছে। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের বাড়তি বোনাস ছাড়া কিছু না। নিঃসন্দেহে এই অবস্থা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অন্তরায়।

তাই নারী আন্দোলনের দাবি, আসন সংরক্ষিত যদি থাকে তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচিত; যেখানে রাজনৈতিক দলের নারী সদস্য, সমাজ কর্মী, নারী আন্দোলন কর্মী সকলেই নারীদের পক্ষে কথা বলার জন্যে এবং সার্বিকভাবে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে এটাও বলা দরকার যে নারী আজীবন সংরক্ষিত আসনে থাকবেন এটাও কাম্য নয়। নারীরা পুরুষের মতোই সাধারণ আসনে নির্বাচন করবেন এটাই হচ্ছে লক্ষ্য। তাই সাধারণ আসনে নারীদের মনোনয়ন বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই। নারী আন্দোলন সংরক্ষিত আসনে দাবির পাশাপাশি এই দাবিও জানিয়ে আসছে।

আমাদের কথা পরিস্কার। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর যে উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত করা হয়েছিল তা মাত্র দুটি মেয়াদের জন্য ছিল এই আশায় যে নারীরা এর পর থেকে নিজেরাই সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন। অর্থাৎ প্রথম থেকে নারীদের সাধারণ আসনের নির্বাচন করারই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আসনগুলো মেয়াদ এবং সংখ্যা বাড়লেও নির্বাচন পদ্ধ্বতির কোন পরিবর্তন হলো না সংসদে অংশগ্রহণকারী বড় দুটি রাজনৈতিক দলের নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে।

নারী আন্দোলন মনে করে আসন সংরক্ষণের প্রয়োজন থাকলে পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের সংসদে পুতুলের মতো বসিয়ে রাখার কোন অর্থ হয় না। এতোদিন যারা এই আসনগুলোতে গিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। দুই একজন কাজ করতে চেয়েও করতে পারেন নাই। তারা সংসদে সেকেন্ড ক্লাস সদস্য হয়ে থেকেছেন।

অতএব, এখন সরাসরি নির্বাচনের বিষয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে। নারী সংগঠন ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সংরক্ষিত আসন চেয়েছে, কোন নারী সংগঠন সাধারণ আসনের এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১০০টি আসন চেয়েছেন। এখন নির্বাচন কমিশনের উচিত এ বিষয় নির্বাচনী এলাকা কী হবে তা ঠিক করা, যেন সম্ভাব্য নারী প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা চিনে ভোটারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে্ন । এই দাবিগুলো সকল রাজনৈতিক দলের দাবিনামায় যুক্ত হওয়া দরকার।

নারী আন্দোলন সংরক্ষিত আসনের চেয়ে বেশী আগ্রহী হচ্ছে সাধারণ আসনে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে। সাধারণ আসনের কম পক্ষে ১০% মনোনয়ন নারীদের দেওয়ার দাবি সবসময় ছিল, কিন্তু এই দাবি কোন রাজনৈতিক দল মানে নি। বার বার এই দাবি করতে হয়েছে এই কারণে যে বাংলাদেশের বিদ্যমান রাষ্ট্র নারীকে যে স্বীকৃতি ও স্বাধীনতা দেবার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথা সেটা করে না। বরং আইন প্রণয়নের মতো একটি গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় বসে নারীর প্রতি অন্যায়, বৈষম্যমূলক, নিপীড়নমূলক আচরণ করে যাচ্ছে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে। যারা নির্বাচনে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাদের কাছে এই নারীরা বোনাস ছাড়া কিছু নয়। তারা নিষ্ঠুরভাবে নারীদের রাজনৈতিক সত্ত্বাকে ধ্বংস করে দেয়।

বর্তমানে আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলোতে বিপুল সংখ্যক নারী যোগ দিচ্ছেন এবং কাজ করছেন। কিন্তু নেতৃত্বে আসতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো, 'আরপিও'র ৯০ (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ)-এর খ(২) অনুচ্ছেদে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্যে সংরক্ষণের বিধান এখনো কোন দল মানে নি।

২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্যান্য সকল কমিটিতে ৩৩ ভাগ পদ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৪ শতাংশের কম নারী নেতৃত্ব রয়েছে। বিএনপির সব পর্যায়ের কমিটিতে ১৫ ভাগ নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাপায় নারী নেতৃত্ব মাত্র ২০ শতাংশ। নারী নেতৃত্বের অনুপস্থিতি বোঝা যায় যে কোন রাজনৈতিক দলের মঞ্চের দিকে তাকালেই, সেখানে শুধুই পুরুষ আর পুরুষ; মাঝে মধ্যে দুই একজন নারী চোখে পড়ে।

ফলে নারীর রাজনৈতিক সক্রিয়তা নেতৃত্ব পর্যায়ে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জাতীয় সংসদে সাধারণ আসনে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না বা দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। সম্মিলিত নারীসমাজ এবং অন্যান্য নারী সংগঠন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল কমপক্ষে ১০% আসনে মনোনয়ন নারীদের দেওয়া বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছিল। এখনো তাই চায়।

জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের পাশাপাশি যদি ৫০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকতেই তাহলে তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা আছে তা দিয়ে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা সম্ভব এবং এর জন্যে নির্বাচন কমিশনকে যেসকল পদক্ষেপ নিতে হবে- তাও করা সম্ভব। সে সময় এখনও আছে। সময়ের কাজ সময়ে করাই ভাল।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

এই লেখাটি ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে 'নির্বাচনী বছর ও সংরক্ষিত নারী আসনের ভবিষ্যৎ' এই শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী

 

 


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।