দিল্লির সাথে শেখ হাসিনার চুক্তি আত্মঘাতী বশ্যতা


 

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর এবং দিল্লীর সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের যে অংশ শেখ হাসিনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে এতে আমাদের ‘লাভ’ হবে বলে দাবি করছেন তাঁরা অবশ্য কিভাবে এই লাভালাভের হিশাব করেছেন তার কোন হদিস আমাদের দেন নি। তাঁরা যে মানদণ্ড দিয়ে এই সফরের লাভক্ষতি মাপছেন সেটা ভারতের শাসক শ্রেণীর মানদণ্ড বলে আমি তাঁদের সম্মানিত করতে চাই না। ভারতের শাসক শ্রেণী তাদের ‘লাভ’-টা তো অবশ্যই দেখবে। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের প্রতি ছত্রে ছত্রে তার চিহ্ন স্পষ্ট। কিন্তু যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক মূলত ভারতের শাসক শ্রেণীর কাছে দাসখত লিখে দেবার শামিল তাকে এই দেশের নাগরিক হয়েও যারা ‘লাভ’ হয়েছে বলে দাবি করছে তাদের খোঁজ নিলে আমরা দেখব মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের বেসামরিক পোশাকে সামরিক শাসনের সমর্থক শ্রেণীরই এরা অংশ। দ্বিতীয়ত, একটি অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী ও অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে শেখ হাসিনার ক্ষমতারোহণের তারা সমর্থক। শেখ হাসিনার ক্ষমতা মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের বাবুর্চিখানাতেই পাক হয়েছে এই সত্য আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। একই সত্য দিল্লীর সঙ্গে শেখ হাসিনার চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক রচনার মধ্যেও ব্যক্ত। মনে আছে নিশ্চই আমাদের যে দিল্লীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বর্তমান পররাষ্ট্র নীতির শুরু সাবেক সেনাপতি মইনুদ্দিন আহমদের অশ্বমেধ যজ্ঞের আদলে ছয় ঘোড়া আমদানির মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছিল। শেখ হাসিনা সেই যজ্ঞানুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পূর্ণ করলেন মাত্র।

এতে আমাদের অবাক হওয়ার কিছু নাই।

শেখ হাসিনা নিজ গুণে ক্ষমতায় আসেন নি। ক্ষমতায় আসবার পরপরই বিডিআরের ঘটনা এবং সেনাবাহিনীতে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তাঁকে আরো দুর্বল করে দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয়দের অভিযোগ যে তিনি নাকি পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছে অর্থ নিয়ে তাঁর নির্বাচনী মিত্র হিশাবে একবার একটি ইসলামি দলের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। এতে রি রি পড়ে গিয়েছিল।

এখন ভারতের শাসক শ্রেণীর মন জয় করতে হলে অতিরিক্ত অনেক কিছুই শেখ হাসিনাকে ছাড় দিতে হবে। অগাস্টের পনেরো তারিখের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় কার্যকরী করবার দায়ও এখনো তাঁর রয়ে গেছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে ভারতের শাসক শ্রেণীর খুঁটির বল তাঁর পেছনে থাকা চাই। অগাস্টের পনেরো তারিখের ঘটনা নিছকই ক্রিমিনাল এক্ট নয়, একই সঙ্গে তার রাজনৈতিক চরিত্রও রয়েছে। সেই চরিত্রের আঞ্চলিক তাৎপর্য আছে। ভারতের শাসক শ্রেণীর সমর্থন তাঁর দরকার। শেখ হাসিনার জন্য আমার করুণা হয়। খুবই খুবই দুর্বল অবস্থানে দাঁড়িয়েই তিনি দিল্লীর বাঘা বাঘা চাঁইদের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে গিয়েছেন। ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ শেখ হাসিনা ভারতের শাসক শ্রেণীর কাছ থেকে আদায় করতে পারবেন সেটা রীতিমতো অসম্ভব।

চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকে কী আছে সেই তর্কের আগে তিনি কাদের নিয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ঠিক করবার জন্য ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে বসেছেন, সেই দিকেই একটু তাকানো যাক। সমঝোতা স্মারকে তাঁকে যাঁরা সহায়তা করেছেন তাঁদের নাম উল্লেখ করতে গিয়ে শুরুতেই যাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রী মিস্টার রমেশ চন্দ্র সেন। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপুমণির নামও এসেছে পরে-- অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে মন্ত্রীর গুরুত্বের দিক থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব ছিল না। এরপরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের নাম-- এইচ টি ইমাম, মশিউর রহমান এবং গওহর রিজভি। ব্যস। এঁরাই বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্তা হয়ে ভারতের বিপরীতে ছিলেন। বলাবাহুল্য ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক করিম এবং অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তারা ছিলেন।

ভারতীয় পক্ষে ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চিদাম্বরম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ, রেলওয়ে মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, বাণিজ্য মন্ত্রী আনন্দ শর্মা, পররাষ্ট্র বিষয়ক স্টেট মিনিস্টার প্রেনিত কাউর, পররাষ্ট্র বিষয়ক মিনিস্টার অব স্টেট এম কে নারায়নান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শ্রী টি.কে.এ. নাইআর। তাছাড়া বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টি.কে.এ নায়ের ভারতীয় পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করেছেন। শুধু ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থ নয়, ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থ হাসিল করাই ছিল চুক্তি ও সমঝোতার মূল্য উদ্দেশ্য।

নামগুলো আমি পাঠকদের জানাচ্ছি অসম সম্পর্কের প্রমাণ হিশাবে শুধু নয় এই ধরণের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশের দিক থেকে আদৌ কোন প্রস্তুতি ছিল কিনা সেই বিষয়েই আমার সন্দেহ আছে। সমঝোতা স্মারকে বিভিন্ন বাক্যের মানে আসলে কী দাঁড়ায় সেই সব অনুধাবনের জন্য সে প্রস্তুতি ও লোকবল দরকার তার অনুপস্থিতি ছিল বিস্ময়কর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর লটবহরে লোকবলের অভাব ছিল না।

এই লেখাটি তাঁদের চ্যালেঞ্জ করবার জন্য শুরু করছি। যাঁরা দাবি করছেন, ভারতের সঙ্গে তিনটি নিরাপত্তা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করে আমাদের ‘লাভ’ হয়েছে। তাঁদেরকে প্রমাণ করতে হবে লাভটা কোথায় হয়েছে? এক কিস্তিতে শেষ হবে না। শেখ হাসিনা মৌর্য শেরাটন হোটেলে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোন বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘ভারতের ১০০ কোটি ডলার বা প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।’ (দেখুন প্রথম আলো, ১৪ জানুয়ারি ২০১০)

তাঁকেই প্রশ্ন করি, ভারতের কাছ থেকে ঋণ নেবার প্রয়োজন আপনার হোল কেন? যেখানে আমাদের ব্যাংকে যে টাকা রয়েছে সেই টাকাই আমরা খরচ করতে পারছি না সেখানে অপ্রয়োজনীয় টাকা ঋণ নিয়ে ভারতের কাছে সুদ গুণে দেওয়ায় বাংলাদেশের কী লাভ? কী খাতে এবং কোন ভারতীয় স্বার্থে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তো আছেই, কিন্তু সেটা তো এর পরের কথা। সুদ খাবে ভারত, কিন্তু ‘বাংলাদেশই বেশি লাভবান হবে’ এর চেয়ে হাস্যকর যুক্তি আর কিছুই হতে পারে না।

বিস্ময়কর যে একদিকে বলা হচ্ছে তিনি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। এটা একটা ফ্রেইমওয়ার্ক ফলে কিভাবে ভারতের সঙ্গে তথাকথিত কানেকটিভিটি ও ট্রানজিট দেওয়া হবে সেই বিষয়ে কথাবার্তা চলতে পারে। মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর কিভাবে ভারত ‘ব্যবহার’ করবে সেই দিকে অগ্রসর শুধু সমঝোতা স্মারকে চলবে না। কিন্তু শেখ হাসিনার কথায় মনে হয় তিনি মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ভারতের হাতে তুলে দিয়েই দেশে ফিরেছেন। বলছেন, ‘আজকের দিনে তো দরজা আটকে বসে থাকতে পারি না। সব ঘরে তো কাঁটা মেরে বসে থাকতে পারি না।’ তাঁর এই নীতির সঙ্গে একমত হওয়া অসম্ভব। আমরা সব ‘ঘর’ কি সবার জন্য ট্রানজিট আর কানেকটিভিটির জন্য খুলে দেবো। তাঁর কথার প্রতীকী মানেও যদি করি তাহলে কি আমরা আমাদের শোবার ঘরও বাইরের জন্য খুলে দেবো? আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন বলে কি কিছুই নাই? জনগোষ্ঠি হিশাবে আমাদের মর্যাদার প্রশ্ন তো পরে। দেশ বা রাষ্ট্রকে নিজের বাড়ি ভাবলে তো চলবে না।

তিনি তাঁর ঘরবাড়ি যেমন খুশি যে কাউকেই ব্যবহার করতে দিতে পারেন, কিন্তু দোহাই বাংলাদেশকে নয়। মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরকে তিনি ‘দুটো সম্পদ’ আকারে দেখেছেন। তাঁর সম্পদ তিনি যেমন খুশি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু মংলা ও চট্টগ্রাম নিছকই অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, একই সঙ্গে জিও-স্ট্রাটেজিক বিষয়। ভূরাজনৈতিক জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত।

এই ধরণের মন্তব্যে থেকে দেশ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের আতংকিত করে। ‘সব ঘরে কাঁটা দিয়ে থাকা’ আর বিপরীতে কাছা খুলে সব ভারতের কাছে সমর্পণ করা এই দুইয়ের মাঝখানে যে তৃতীয় আরেকটি অবস্থান নেওয়া সম্ভব শেখ হাসিনার সম্ভবত তা জানা নাই। জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করে এমন গণমুখী পররাষ্ট্র নীতি সম্ভব যেখানে নিজের স্বার্থ রক্ষা করে বা তার ভাষায় নিজের ঘরে ‘কাঁটা’ দিয়ে অন্যদের সঙ্গে পররাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রচনা সম্ভব। এই ধারণা তাঁর আছে সেই প্রমাণ তিনি তাঁর কথার ধরনের মধ্যেই অনুপস্থিত বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘নেপাল ও ভূটানও যাতে এসব বন্দর ব্যবহার করতে পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’ কিন্তু সমঝোতা স্মারকের ২৩ অনুচ্ছেদে শুধু বলা আছে, ‘বাংলাদেশ ভারতের কাছে মংলা ও চট্টগ্রাম নেপাল ও ভূটানকে ব্যবহার করতে দেবে সেই ইচ্ছাটাও প্রকাশ করেছে মাত্র। এটা কোন সিদ্ধান্ত নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ নেপালকে ব্যবহারের অনুমতি দিক কি না দিক, ভুটানকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে কি হবে না সেইসব ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অধীনস্থ কোন বিষয় নয়। তাহলে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের এই বাসনা লিপিবদ্ধ রাখবার মাজেজা কি? মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে কি ভারতীয় আধিপত্যই কায়েম হবে যে তাঁদের অনুমতির প্রয়োজন হবে। কিম্বা তাঁদের না বললে তাঁরা গোস্বা হবে? আমরা কাকে ব্যবহার করতে দেব না দেব সেটা আমাদের ব্যাপার। এখানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো কোন ব্যাপার আছে কিনা সেটা আমরা অচিরেই দেখব।

চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের প্রতিটি ইস্যু নিয়ে আগামি কয়েকটি কিস্তিতে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো। কিন্তু যে কারণে এই সমঝোতা স্মারক মূলত ভারতের কাছে দাসখত লিখে দেবার শামিল সেই দিকে খানিক নির্দেশ রেখে এখানকার মতো এই লেখা শেষ করব। আমরা সমঝোতা স্মারকের ৪৭ ও ৪৮ অনুচ্ছেদের দিকে পাঠকের মনোনিবেশ আশা করছি। এই অনুচ্ছেদ হচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠন সংক্রান্ত। জাতিসংঘের পুনর্গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদসহ জাতিসংঘের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে দুটো দেশ প্রতিষ্ঠানটিকে আরো ‘প্রতিনিধিত্বশীল, গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকর’ করে গড়ে তুলবার জন্য কাজ করবে। কিন্তু ভারত উদীয়মান পরাশক্তি হিশাবে নিরাপত্তা কাউন্সিলের সবসময়ের সদস্য (Permanent Member) হতে চায়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য এটা যে আত্মঘাতী নীতি হবে এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। বাংলাদেশকে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদী দেশ হিশাবে প্রচারের ক্ষেত্রে ভারতের জুড়ি নাই। ভারত চরম মানবাধিকার লংঘনকারী দেশ। মার্কিন ও ইসরাইলের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা চুক্তির মধ্য দিয়ে ভারত মূলত বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের বিপরীতেই অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পানি, পরিবেশ, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিরোধ এতোই প্রকট যে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের পারমেনেন্ট সদস্য বানানোর অর্থ হচ্ছে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্বার্থ তুলে ধরবার ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বাধা তৈরি করা।

কিন্তু শেখ হাসিনাই এই ক্ষেত্রে সমঝোতা, প্রতিশ্রুতি এবং কার্যত এক ধরণের চুক্তিই করে এসেছেন যে বাংলাদেশ ভারতকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চিরস্থায়ী সদস্য হিশাবে সমর্থন দেবে। বলা হচ্ছে ‘Prime Minister of Bangladesh conveyed her country's support in principle for India's candidature for the permanent membership of the United Nations Security Council as and when the reform of the UN Security Council is achieved.’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে সমর্থন দেবেন ‘নীতিগত’ ভাবে সেটা মেনে এসেছেন। পরাশক্তি হিশাবে ভারতের বশ্যতা স্বীকার এবং বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়াবার এমন কুদৃষ্টান্ত আর কিছু হতে পারে কিনা আমার জানা নাই।

১ মাঘ ১৪১৬। ১৪ জানুয়ারি ২০১০। শ্যামলী।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।