জাফর ভাইকে ডায়ালাইসিস নিতে হবে, এটা আমি কখনও ভাবি নি। কিন্তু তিনি নির্বিকার। কোন কাজের কথা থাকলে ফোন দিলেই চলে যেতাম। কাজের গতিতে কোন খামতি নাই। যখন অসুস্থতা তাঁকে কাবু করে ফেলছে, তারপরও তাঁর টেলিভিশান টক শোতে সুযোগ পেলেই হাজির থাকতেন। ডায়ালাইসিস নিতে নিতে নিজের বেডে বসে কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে হুইল চেয়ারে বসে ছুটে গিয়েছেন। মৃত্যুর আগে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বিছানায় জোর করে তাঁকে ধরে বেঁধে রাখতে হয়েছে। একদমই অসুস্থ হয়ে পড়ার পর একদিন তাঁকে দেখে মানসিক ভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে যাই। ঠিক করেছিলাম আর যাব না। এই শীর্ণকায় অসুস্থ জাফর ভাইকে আমি চিনি না। মৃত্যুর দুইদিন আগে ফরিদা আখতার আর আমি আবার গিয়েছিলা (আরো পড়ূন)
হঠাৎ দৈনিক সমকাল থেকে স্বল্প পরিসরে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরি – অর্থাৎ জাফর ভাইকে নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এটা আসলে আমার জন্য কঠিন। তাঁকে নিয়ে লেখার বিষয় বিপুল। এ ধরণের মানুষ সমাজে কালেভদ্রে জন্মগ্রহণ করে। জর্মন দার্শনিক নীটশের একটা কথা মনে পড়ল; নীটশের একটি ফয়সালা হচ্ছে বড় মাপের মানুষদের নিয়ে কিছু বলতে চাইলে হয় বিস্ময়ে অভিভূত থাক, অথবা উন্নাসিক হও! নাক উঁচু করে ভাব দেখাও এ আর এমন কী! কিছুই হয় নি ভাব করে এড়িয়ে যাও! আমার এখন হয়েছে সে অবস্থা! অর্থাৎ জাফর ভাইকে নিয়ে লেখালিখি কঠিন কাজ।
জাফর ভাইয়ের সাথে আমার জীবন নানা ভাবে সরাসরি জড়িত। আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি, তার জন্য নয়। তাঁর সঙ্গে অনেকেই কাজ করেছেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গ (আরো পড়ূন)
তার মৃত্যুতেও গৌরব আছে। নিজ দেশে, নিজ হাসপাতালে, নিজ চিকিৎসক ও কর্মীদের হাতের সেবা নিয়ে তিনি গেছেন। কোনো আপোষ করেন নি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বা জাফর ভাইকে আর কোনো সভায় বা মানববন্ধনের ব্যানারের পেছনে কিংবা মিছিলের সামনে হুইল চেয়ারে দেখা যাবে না । কিংবা দেখা যাবে না কোনো টেলিভিশন টক শো তে। তিনি এই ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। তাকে বেঁধে রাখতে পারেনি দেশের কোটি মানুষের ভালবাসা। তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেকের মতো আমরাও ছুটে গিয়েছিলাম। এত শোকের মাঝখানেও সেখানে গিয়ে মনে হল, জাফর ভাইয়ের এই মৃত্যুতে গৌরব আছে। তিনি নিজের গড়ে তোলা হাসপাতালেই, নিজেদের গড়ে তোলা চিকিৎসক ও (আরো পড়ূন)
ই-সিগারেটের বিষয়টি অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে এবং শহরের তরুণদের মধ্যে ‘জনপ্রিয়’ হয়ে উঠেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবগত না হয়েই এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। ধুমপান ছাড়ার চেষ্টা করা শুধুমাত্র নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নির্ভর হওয়া খুব যুক্তিসংগত কাজ নয়, তাতে অন্য আরেকটি পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে।
তামাকজাত দ্রব্য সেবন স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর- এই কঠিন সত্য কথাটি সকলেই বোঝেন। এর জন্যে নতুন তথ্য উপাত্ত্ব হাজির করে প্রমাণ করতে হবে না। বছরে ১,২৬,০০০ মা (আরো পড়ূন)
অনুবাদকের ভূমিকা: ফ্রাঁনৎস ফাঁনোর জন্ম মার্তিনিক (Martinique)-এর রাজধানী ফোর্ট দে ফ্রান্স (Fort-de-France) শহরে, ১৯২৫ সালের ২০ জুলাই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফাঁনো ফরাসি মুক্তিবাহিনীর কালোসেনাদের ইউনিটে যোগ দেন। যুদ্ধের পর লিয়ন (Lyon)-এ ডাক্তারি পড়তে যান ফাঁনো। সেখানেই মনোবিজ্ঞান ও মানসিক রোগ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। লিয়নেই প্রথম তার সাথে স্ত্রী জোসি (Marie-Josephe Duble´Josie)-এর সাথে পরিচয় হয়। সেখানেই তারা বিয়ে করেন। ১৯৫৩ সালে মনোরোগবিদ্যা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর ফাঁনো আলজেরিয়াতে যান। সেখানে থাকেন তিন বছর। এরপর তিউনিস, ঘানা হয়ে চিকিৎসার জন্য সোভিয়েত রাশিয়ায় যান ১৯৬১ সাল (আরো পড়ূন)
ঢাকার তিনটি সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার হালচাল
চিন্তা’র তরফে সম্প্রতি ঢাকা শহরের তিনটি সরকারি হাসপাতাল--ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবার হালচাল ঘুরে দেখেছেন আমাদের প্রতিবেদক রোকেয়া বেগম ও শাহীনুর বেগম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০। সকাল ১১.৩০ টা থেকে ১.৩০
এই সময়ের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর বিভাগ ও বহির্বিভাগ ঘুরে রোগীদের অবস্থা দেখার চেষ্টা করি। আমরা দেখতে পাই, ইনডোর ব (আরো পড়ূন)