কী কঠিন ভারতী না জানি
পরাইল কোন্ প্রাণে কৌপিনী।
হেনকালে ফকির হয় যার
শত শত ধন্য সে মার
কেমন রয়েছে সে ঘর ছেড়ে
সোনার গৌরমণি
পরের ছেলের দেখে এ হাল
শোকানলে আমরা বেহাল
না জানি এ শোকের কি হাল
জ্বলছে উহার মা জননী।।
তারে যে দিয়েছে এ কৌপিনী ডোর
তারে বিধি দেখাইত মোর
ঘুচাইত মনের ঘোর
লালন বলে, কিছু বাণী।
(আরো পড়ূন)
দাঁড়া কানাই একবার তোরে দেখি
কে তোরে করিল বেহাল
হলি রে কোন দুখের দুখী।।
পরনে ছিল পীত-ধড়া
মাথায় ছিল মোহনচূড়া।
সে বেশ হইলি ছাড়া
বেহাল বেশ নিলি কেন সুখী।।
ধেনু রাখতে মোদের সাথে
আবাই আবাই ধ্বনি দিতে
এখন এসে নদীয়াতে
হরি ধ্বনি দাও এ ভাব কী।।
ভুল বুঝি পড়েছে ভাই তোর
আমি সেই ছিদাম নফর।
লালন কয় ভাব শুনে বিভোর
দেখলে সফল হতো আঁখি।।
(আরো পড়ূন)
যার ভাবে মুড়েছি মাথা
সে জানে আর আমি জানি
অন্যে আর জানিবে কোথা।।
মনের কথা রাখবো মনে
বলবো না তা কারো সনে
ঋণ শুধিব কতদিনে
সদাই আমার সেহি চিন্তা।।
সুখের কথা বোঝে সুখী
দুঃখের কথা বোঝে দুখী
পাগল বোঝে পাগলের বোল
অন্যে বুঝিবে কি তা।।
যারে ছিদাম তোরা দুই ভাই
আমার বদহাল শুনে কাজ নাই
বিনয় করে বলছে কানাই
লালন পদে রচিল তা।।
(আরো পড়ূন)
তোমার করে বাঁশী মাথায় চূড়া নাই
কার ভাবে এ ভাব হারে জীবন কানাই।।
ক্ষীর, সর ও ননী খেতে
বাঁশিটি সদাই বাজাতে
কী অসুখ পেলি তাতে
ফকির হলি ভাই।।
অগুরু চন্দন আদি
মাখিতে নিরবধি
সেই অঙ্গ ধূলায় অদ্ভূতি ।।
এখন দেখতে পাই।।
বৃন্দাবন যথার্থ বন
তু’ বিনে হোল রে এখন
মানুষ লীলে করবে কোন জন
লালন ভাবে তাই।।
(আরো পড়ূন)