ফকিরি করবি ক্ষ্যাপা কোন রাগে
আছে হিন্দু-মুসলমান দুই ভাগে।।
ভেস্তের আশায় মোমিনগণ
হিন্দুরা দেয় স্বর্গেতে মন
চল কী সে অটল মোকাম
নিহাজ করে জান আগে।।
সেই ফকিরি সাধন করে
খোলসা রয় হজুরে
ভেস্তের সুখ ফাটক সমান
সবাই ভালো তাই জানে।।
আখেরে অটল প্রাপ্তি কিসে হয়
মুরশিদের ঠাঁই জানা যায়
সিরাজ সাই তাই লালন ভেড়ো
ভুগিস নে ভবের ভোগে।।
(শুদ্ধ পাঠ নির্ণয়: ১৫ এপ্রিল ২০১৮)
(শাহ, ২০০৯, পৃষ্ঠা ৫২)
(আরো পড়ূন)
একবার জগন্নাথে দেখ যেয়ে
(জাত কূল) কেমনে রাখবি বাঁচিয়ে
চণ্ডালে রাঁধিলে অন্ন ব্রাহ্মণে তা লয় খেয়ে।।
জোলা ছিল কুবীর দাস
তার তুড়ানী বার মাস
উঠিয়ে উথলিয়ে
সেই তুড়ানী খায় যে ধনি
সে আসে দর্শন পেয়ে।।
ধন্য প্রভু জগন্নাথ
চায়না রে সে জাত অজাত
(থাকে) ভক্তের অধীন হয়ে
(যতো সব) জাত বিচারি, দূরাচারি
তারাই যায় সব দূর হয়ে।।
জাত না গেলে পায়না হরি
কি ছার জাতের গৌরব করি
ছুঁসনে বলিয়ে;
লালন কয় জাত হাতে পেলে
পোড়াতাম অনল দিয়ে।।
একবার জগন্নাথ দেখ যেয়ে
(জাত কূল) কেমনে রাখবি বাঁচিয়ে।।
চণ্ডালে রাঁধিলে অন্ন ব্রাহ্মণে তা লয় খেয়ে।।
জোলা ছিল কুবীর দাস
তার তুড়ানী বার মাস
উঠিয়ে উথলিয়ে।।
সেই তুড়ানী খায় যে ধনি
সে আসে দর্শন পেয়ে।।
ধন্য প্রভু জগন্নাথ
চায়না সে জাত অজাত
(থাকে) ভক্তের অধীন হয়ে
(যতো সব) জাত বিচারি, দূরাচারি
তারাই যায় সব দূর হয়ে।।
জাত না গেলে পায়না হরি
কি ছার জাতের গৌরব করি
ছুঁস নে বলিয়ে;
লালন বলে জাত হাতে পেলে
পোড়াতাম অনল দিয়ে।।