ধরাতে সাঁই সৃষ্টি করে
আছে নিগুমে বসে
কি দেবো তুলনা তারে
তার তুলনা সে ।।
স্ত্রীলিঙ্গ পুংলিঙ্গ নপুংসক
এ তিন ভেবে না হবে ভাবুক
ত্রিভুবন যাঁর লোমকূপে তাঁর
করো দিশে ।।
কি রূপে নিরাকার হলো
ডিম্বরূপে কে ভাসিল
সে অন্বেষণ জানে যেজন
যায় সে দেশে ।।
বেদ পড়ে ভেদ পেত যদি সবে
গুরুর গৌরব থাকতো না ভবে
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয় দেখরে লালন
কি হয় কিসে ।।
জীব মরে জীব যায় জীবান্তরে
জীবের গতি মুক্তি রয় ভক্তির দ্বারে।।
রাম নারায়ন গৌর হরি
ঈশ্বর যদি গণ্য করি
তারাও সব গর্ভধারি
জীবের ভার দিই কারে ।।
যারে তারে ঈশ্বর বলা
বুদ্ধি নাই তার অর্ধ তোলা
ঈশ্বরের নাই যমের জ্বালা
তাই ভাবি মনের দ্বারে ।।
ত্রিজগতের মূলাধার সাঁই
জন্ম মৃত্যু তার কিছুই নাই
লালন বলে জানে সবাই
তবু ঘোর ধাঁধায় ঘোরে ।।
দেখনারে ভাব নগরে
ভাবের ঘরে ভাবের কিস্তি
তার ভিতরে জ্বলছে বাতি।।
ভাবের মানুষ ভাবের খেলা
ভাবে বসে দেখ নিরালা,
নীরে ক্ষীরে রয় জ্যোতি।।
জ্যোতিতে রতির উদয়
সামান্যে কি তাই জানা যায়,
তাতে কত রূপ দেখা যায়
যার লাগে মতি।।
যখন নিঃশব্দেরে খাবে
ভবের খেলা ভেঙ্গে যাবে,
লালন কয় দেখবি ফিরে কি গতি।।
(আরো পড়ূন)