মানবাধিকার, প্যালেস্টাইন ও বাংলাদেশ


বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ১৬ নভেম্বর তারিখের প্রতিবেদন অত্যন্ত সময়োচিত হয়েছে। (দেখুন, Bangladesh: UN Rights Review Amid Violent Crackdown) । তবে ‘মানবাধিকার’ কতোটা কাজের তা নিয়ে তর্ক আছে। থাকবে। বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে ইসরাইল প্যালেস্টাইনের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটাচ্ছে এবং জায়নিস্ট বর্ণবাদি রাষ্ট্র কায়েম রেখে বর্ণবৈষম্য ব্যবস্থা ( Apartheid) সবার নাকের ডগায় অনায়াসেই বহাল রাখতে পারছে। তাই মানবাধিকার নিয়ে বিতর্ক অস্বাভাবিক কিছু না।

কিন্তু সময়মতো হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টও কাজে লেগে যায়। হিউম্যান রাইটস, এমনেস্ট ইন্টারন্যাশলাল সহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোই দাবি করেছিল ইসরায়েল একটি বর্ণবৈষম্যবাদী রাষ্ট্র ( Apartheid State)। আজ সারা দুনিয়ায় তর্ক উঠেছে বর্ণবৈষম্যবাদী রাষ্ট্র হিশাবে আদৌ ইসরাইলের টিকে থাকা বৈধ কিনা। প্যালেস্টাইনের জনগণের পক্ষে বিশ্বজনমত ক্রমশ সরব হয়ে চলেছে।

মানবাধিকার আন্তর্জাতিক আইনের বাইরের কিছু না। নৈতিক বিধিবিধানেরও শক্ত রাজনৈতিক দাঁতও রয়েছে। সেটা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র বা শক্তিকেও বিপাকে ফেলে দিতে পারে। হামাসকে আর ‘সন্ত্রাসী’ বলা যাচ্ছে না। কারন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ফিলিস্তনের জনগণের রয়েছে। ইসরায়েল দখলদার। তারা প্যালেস্টাইন জনগণের মানবাধিকার ক্রমাগত লংঘন করে চলেছে। যুদ্ধাপরাধের বিপরীতে দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্ন আজ বিশ্বব্যাপী প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং একটি জাতিগোষ্ঠিকে ঘোষণা দিয়ে নির্বংশ করবার (ethnic cleansing) ঘৃণিত নীতির প্রতিবাদ চলছে বিশ্বব্যাপী। ঐতিহাসিক বাস্তবতার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা হিশাবে হামাসকে স্বীকৃতি দিতে হচ্ছে। তাই মনে রাখা দরকার আপাতদৃষ্টিতে যতোই অকার্যকর মনে হোক, ও মানবাধিকার ও রাজনীতির ব্যবধান খুবই ক্ষীণ।

তাই মনে রাখা দরকার মানবাধিকার হচ্ছে পাশ্চাত্যে গড়ে ওঠা আধুনিক রাষ্ট্রের সকল প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নিপীড়িত জনগণের নৈতিক ও আইনী হাতিয়ার। সন্ত্রাস ও সহিংসতার একচেটিয়া অধিকার আধুনিক রাষ্ট্র নিজের সার্বভৌম অধিকার হিশাবে কুক্ষিগত রাখে। ফলে রাষ্ট্র চাইলে জনগণকে অনায়াসেই আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে পারে। ডিজিটাই সিকিউরিটি এক্টের মতো আইন বানিয়ে প্রতিবাদ করবার মুখ সেলাই করে দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে মানবাধিকার আন্দোলন এই ধরণের জুলুমের বিরুদ্ধে আইন ও নৈতিকতার পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। বাংলাদেশ তার একটি ভাল উদাহরণ। গণরাজনৈতিক ধারার দুর্বলতার মধ্যেও মানবাধিকার বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন বেতসেলেম (btselem)-এর ভূমিকা থেকেও আমরা বুঝব কিভাবে মানবাধিকার প্যালেস্টাইন জনগণের প্রতিরোধের নৈতিক ও আইনী অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

মানবাধিকারের প্রশ্নে সন্ত্রাসী ও সহিংস রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা রাজনীতিরও মুখ্য কাজ। মানবাধিকার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানের শর্ত তৈরি করতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকার বাদ দিয়ে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্ট শক্তির কাছে ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ব্যস্ত। এই নীতিহীনতা এবং ভুল কৌশল ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন ব্যর্থ করে দিতে পারে। জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাই ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কাজ। তারা সেটা করে নি। তারা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সকল মাববাধিকার বাস্তবায়নের কথা না বলে শুধু ভোটের অধিকারের কথা বলে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সম্পৃক্তি আমরা দেখি না। যার কুফল আমাদের ভোগ করতে হবে।

তাছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে কোটিপতি লুটেরা, মাফিয়া ও চোর-ডাকাত শ্রেণী ছাড়া কারা নির্বাচনের টিকিট পাবে? বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচনের কি কোন অবস্থা আছে? তাই জনগণ শুধু ভোটের অধিকার নয়, ব্যবস্থার বদল চায়। ভোটের অধিকার ছাড়া আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত আর কোন মানবাধিকার কি নাই? সেইসব অধিকার বাস্তবায়নের কি হবে?

রাষ্ট্রকে মানবাধিকার লংঘনের জন্য জাতিসংঘের কাছে জবাবদিহিতে বাধ্য করা সহিংস, সন্ত্রাসী এবং মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রের নৈতিক এবং রাজনৈতিক পরাজয়। নৈতিক, কারন আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লংঘনের ফলে রাষ্ট্র তার নৈতিক বৈধতা হারায়। তখন অবৈধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানবাধিকার রক্ষা ও বাস্তবায়নে সক্ষম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দাবি জনগণ তুলতে পারে, তোলে এবং তুলতে বাধ্য। কিন্তু ভোটের অধিকারের নামে গণ্মানুষকে ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করবার নীতি সযত্নে পরিহার করা হয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশকে চরম মূলত দিতে হবে। জাতীয় রাজনীতিড় গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ ও পালাবদলের মূহূর্তে তাকে ভোটাভুটির রাজনীতি ও ভোটের অধিকারে সংকীর্ণ করে ফেলা জনগণের অভিপ্রায়ের বিরোধিতা করা। এই বোধটুকু আমামদের জাগ্রত করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রবল রাজনৈতিক সংকটের সময় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ও এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলোর মানবাধিকার রিপোর্ট তাই রাজনোইতিক লড়াই-সংরামের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তখন ‘মানবাধিকার’ স্রেফ বাহ্যিক মানবাধিকার না থেকে রাজনৈতিক মর্ম নিয়ে হাজির হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অস্বীকার ও লংঘন তখন ক্ষমতাসীনদের জন্য রাজনৈতিক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে মানবাধিকার নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করে। ক্ষমতাসীনরা যদি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সহিংসতা ও সংঘাত চালিয়ে যেতে পারে তাহলে তাকে মোকাবিলা করবার ক্ষেত্রে জনগণের পালটা সশস্ত্র প্রতিরোধও বৈধ বলে গণ্য হতে শুরু করে। একাত্তরে সহিংস ও সশস্ত্র সামরিক-আমলাতান্ত্রিক পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ সে কারনে আন্তর্জাতিক ভাবে বৈধতা এবং স্বীকৃতি লাভ করেছিল। আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চাই না।

নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করে প্রমাণ করল আলাপ-আলোচনা ও আপোষের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ক্ষমতাসীনরা আগ্রহী নয়। দিল্লি সমর্থিত একটি ফ্যাসিস্ট ও গণবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থা সশস্ত্র পদ্ধতিতে উৎখাত আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ও বৈধ কৌশল হিশাবে বিবেচনার আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তৈরি হোল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাশ্চাত্য শক্তি এই সংকটকে তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করবার শর্তও এতে তৈরি হোল। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোন আলাপ-আলোচনা বা সমঝোতার জন্য সংলাপে রাজি না হয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন শক্তি একতরফা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করাকে সহজ ভাবে নেবার উপায় নাই। এর পেছনে দিল্লির শক্ত হাত রয়েছে। বাংলাদেশকে পরাশক্তিগুলোর যুদ্ধক্ষেত্র বানানো হোল। ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে আরেকটি সংঘাত্ময় স্তরে উন্নীত করল। মারাত্মক রাজনৈতিক সংকটের দিকে বাংলাদেশকে তারা ঠেলে দিল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এখন শুধু আর বাংলাদেশের সংকট হয়ে থাকবে না, ভারত ও মিয়ানমারও এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল। গভীর উপমহাদেশীয় সংকট হিশাবে বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে হাজির হতে থাকবে।

ভুলে যাওয়া উচিত নয় প্যালেস্টাইন খোদ বাংলা ভূখণ্ডেই আছে। আরাকান থেকে ফিলিস্তিনী জনগণের মতো রোহিঙ্গাদের জাতিগত ভাবে নির্বংশ ও শেকড়হীন (ethnic cleansing) করা হয়েছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে, মেয়েদের ধর্ষণ ও শিশুদের হত্যা করে তাদের বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপমহাদেশ কার্যত বারুদের পাহাড়ের ওপর বসে আছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধের আগুন বাংলাদেশে আসতে সেকন্ডও অপেক্ষা করবে না।

তাই আমি বারবার বোঝাবার চেষ্টা করেছি একালে মানবাধিকারের প্রশ্ন ভূরাজনীতি এবং জাতীয় ক্ষেত্রে রাজনৈতিক লড়াই সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মার্কিন স্যাংকশনের দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত, এই স্যংকশানগুলোর ভিত্তি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবাধিকার রিপোর্ট।

এই এক বিচিত্র বাংলাদেশ যেখানে জঙ্গণের অভিপ্রায় বোঝা এবং গণশক্তির বিকাশের কাজ বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের দূত পিটার হাসের চেহারার দিকে সদা সর্বদা মধুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। পিটার হাস বাংলাদেশে যুক্ত্রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব নিয়োজিত, বাংলাদেশের জনগণের নয়। অথচ রাজনোইতিক দল ও গণ্মাধ্যমগুলোর ধারণা যা করবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই করবে। তাদের কিম্বা বাংলাদেশের জনগণে যেন কিছুই করবার নাই। বিরোধী দলের ধারণা পিটার হাসই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে। এতে জনগণের কোন মুক্তি ঘটবে কি?

রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দাবির অধিক কিছু ভাবতে অক্ষম। ভোটে নির্বাচিত হয়ে দল হিশাবে ক্ষমতা ভোগের অধিক কিছু তারা ভাবতে পারে না। দূরদর্শী রাজনৈতিক চিন্তা বা কর্মসূচি হাজির করবার ক্ষেত্রে মারাত্মক অভাব কাটিয়ে তোলা বাংলাদেশে কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান দুর্বলতা এই অপার রাজনৈতিক অক্ষমতার মধ্যে।

দ্বিতীয়ত আরেকটি দিক উল্লেখ করা দরকার। নিজেদের সদাসর্বদা ‘ভিক্টিম’ গণ্য করা রাজনৈতিক অসুখে পরিণত হয়েছে। ভিকটিম নিজে কিছু করে না। তার ধারনা অন্যেরা এসে তার অবস্থা বদলে দেবে। সেটা হয় না। ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের চেষ্টা তাই ক্রমাগত নির্বাচনের দাবির অতলে মার খেয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের ওপর যে ভয়াবহ নির্যাতন ও দমনপীড়নের অভিযোগ উঠেছে তাকে গুরুত্ব দিয়ে সাড়া দেবার কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই প্রতিবেদন এল। ব্যাপকভাবে খেয়ালখুশিমতো গণগ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ব্যাপক আকারে নিপীড়ন সহ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর নিয়ম লংঘনের প্রমান দিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো জাতিসংঘে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এসব অপরাধ সংঘটিত করবার জন্য যেসব অফিসার আদেশ দিয়েছে তাদের বিচার ও শাস্তি না দিয়ে সেই সকল আইন ও নিয়ম লংঘনকারিদের বাংলাদেশ পুরস্কৃত করেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংঘটনগুলোর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬০০ জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ আছে। কিছু মানুষকে পরে মুক্তি দেয়া হয়েছে, আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে অথবা হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ১০০ মানুষ এখনো নিখোঁজ। ভিকটিমের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তাদের মামলা নিতে বা তদন্ত করতে অস্বীকার করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপরের নির্দেশের কথাই তারা উল্লেখ করে তারা।

এই সকল বাস্তব পরিপ্রেক্ষিতের আলোকে ক্ষমতাসীনদের শর্তে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন।

পরিণতি ভাল হবে ভাববার কোন কারন নাই।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।