চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

মানবাধিকার, প্যালেস্টাইন ও বাংলাদেশ

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ১৬ নভেম্বর তারিখের প্রতিবেদন অত্যন্ত সময়োচিত হয়েছে। (দেখুন, Bangladesh: UN Rights Review Amid Violent Crackdown) । তবে ‘মানবাধিকার’ কতোটা কাজের তা নিয়ে তর্ক আছে। থাকবে। বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে ইসরাইল প্যালেস্টাইনের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটাচ্ছে এবং জায়নিস্ট বর্ণবাদি রাষ্ট্র কায়েম রেখে বর্ণবৈষম্য ব্যবস্থা ( Apartheid) সবার নাকের ডগায় অনায়াসেই বহাল রাখতে পারছে। তাই মানবাধিকার নিয়ে বিতর্ক অস্বাভাব (আরো পড়ূন)

নদী থেকে সমুদ্র...

From River to the Sea
Palestine WILL be FREE

সারা দুনিয়ায় ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলমান কিম্বা পরিচয় নির্বিশেষে সকলেই একদা মুক্ত হবে। জায়নিস্ট রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তির বিরুদ্ধে সারা দুনিয়ার জনগণের এই রণধ্বণি নতুন রাজনীতির ইঙ্গিত ঘোষণা করছে।

সমুদ্রের পরিবেশ ও বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণ আন্দোলনের জন্য পরিবেশবাদীদের কাছে সম্ভবত প্রাক্তন মার্কিন সেনা সদ্য Ken O' Keefe অপরিচিত নন। তবে ২০১০ সালে হামাস সম্পর্কে তার একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছিল।

হামাস কি সন্ত্রাসী?

যদি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার থাকে তাহলে হামাসও প্যালেস্টাইনের জনগ (আরো পড়ূন)

রাষ্ট্রেরও আগে মানুষ

পাশ্চাত্য মিডিয়াগুলিতে হরদম যখন দাবি করা হয় যে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, তখন অনেকের কাছে সেটা যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইনে ‘এপারথেইড’ যদি অপরাধ হয়, তাহলে একটি এপারথেইড রাষ্ট্র সগর্বে টিকিয়ে রাখার যুক্তি কি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোভূক্ত ইউরোপ কেন ইসইরাইল রাষ্ট্রের চরিত্র না বদলিয়ে সশস্ত্র, সহিংস ও ‘এপারথেইড’ রাষ্ট্র হিশাবেই ইসরায়েলকে টিকিয়ে রাখতে চাইছে? কেন ইসরাইলের চরিত্র ও নীতি পরিবর্তনের কথা বলছে না। কেন সারা বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যেই তারা একটি জনগোষ্ঠিকে এপারথেইড রাষ্ট্রের অধিকারের ধূয়া তুলে নির্মূল করবার সহযোগী হয়েছে? কেন তারা নির্বিচারে নিরীহ শিশু সহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনীদ (আরো পড়ূন)

এবার কি হামাস তাহলে প্রথম দফাতেই জিতে গেল?

নিজ বাসভূমি থেকে বিতাড়িত প্যালেস্টাইনের জনগণের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করা, অসলো শান্তি চুক্তিসহ বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়িত না করা, প্যালেস্টাইন জনগণের দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামকে চিরকালের জন্য যাদুঘরে পাঠিয়ে যাবার সকল প্রক্রিয়া জারি রাখা এবং সেটলার-কলোনিয়াল রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সোদি আরব সহ মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ করবার যে নীতি মার্কন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছিল – দেখা যাচ্ছে হামাসের এক হামলায় সবই ভেস্তে গিয়েছে। হামাসের হামলার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখন স্পষ্ট।

বাধ্য হয়ে ইসরাইলের সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ এখন প্যালেস্টাইনের জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোকেই হামাসের পক্ষে (আরো পড়ূন)

৫. ইউক্রেন: ঠাণ্ডাযুদ্ধ এবং ভূ-রাজনীতি

ইউক্রেন যুদ্ধ বুঝতে হলে বিশ্ব ব্যবস্থার দ্বন্দ্ব বোঝার জন্য পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়ন এবং মরণাস্ত্র উৎপাদন ব্যবসার কালে ভূ-রাজনীতি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেটা সবার আগে বুঝতে হবে। বিশ্ব ব্যবস্থার গোড়াতে টান পড়ছে এবং পারমাণবিক যুদ্ধের কথাও শোনা যাচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের চরিত্র সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকা খুবই জরুরি।

ইউক্রেন যুদ্ধকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার দ্বন্দ্ব হিশাবে দেখায় ভুল নাই, যেখানে ইউক্রেনের জনগণকে বলি দেওয়া হচ্ছে। পতনশীল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিশাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক নীতি ও কৌশল এবং রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া সঠিক ভাবে বোঝা ও পর্যালোচনা জরুরী। রাশিয়া সরাসরি যুদ্ধে জড়ালেও মার্কিন য (আরো পড়ূন)

৪. ইউক্রেন: এক-কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা এবং তার মতাদর্শ

পশ্চিমা মিডিয়া সাড়ে পনেরো আনা মিথ্যুক। তাদের মিত্থ্যাচার সম্পর্কে আমাদের কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা আছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি যদি আমরা শুধু পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রপাগান্ডা দিয়ে বূঝতে চেষ্টা করি, তাহলে কিছুই আসলে বুঝব না। তারা যেটা হামেশা প্রচার করছে সেটা হোল রাশিয়া একটি সার্বভৌম দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। সম্প্রসারণবাদী রুশদের খায়েশ মেটাতে রাশিয়া ইউক্রেন নিজের দখলে নিতে চায়। এর ফলে শুধু ইউক্রেন নয় একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশসহ পূর্ব ইউরোপের আঞ্চলিক অখণ্ডতাও হুমকির মুখে পড়েছে, ইত্যাদি। এই যুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটভূক্ত ইউরোপীয় দেশগুলো যে রণধ্বণি তুলছে ও ইউরোপের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছে সেটা হোল রাশিয়াকে শাস্ত (আরো পড়ূন)

৩. ইউক্রেন: ইতিহাস, মতাদর্শ ও হাইব্রিড যুদ্ধ

ইউক্রেনের যুদ্ধ আরও তীব্র হচ্ছে। যুদ্ধ পূর্ব ইউক্রেনের দিকে জোরদার হবার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের চরিত্রেরও বদল ঘটতে থাকবে। পূর্ব ইউক্রেন বলতে বোঝায় পাঁচটি প্রদেশ:  দনেস্ক (Donesk), খারখিভ (Kharkiv), লুহান্সক (Luhansk), জাপোরিঝঝিয়া (Zaporizhzhia) এবং নিপ্রোপেট্রোভস্ক(Donipropetrovsk)। ডনবাস অঞ্চল দখল নিয়ে ডনবাসের বিভিন্ন শহরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার বাহিনীর মধ্যে এখন রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলছে। ডনবাসে ৩০০ মাইল দীর্ঘ এক রণক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তবে  লুহানস্ক এলাকায় ক্রেমিনা এবং আরও একটি ছোট শহরের দখল রুশ বাহিনীর হাত চলে গেছে। ডনবাস যুদ্ধের জয়-পরাজয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে নির্ধারক ভূমিকা রাখবে বলে স (আরো পড়ূন)

২. ইউক্রেনের যুদ্ধ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কপট নীতি

যুদ্ধ মাত্রই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। কোন যুদ্ধই ব্যাতিক্রম নয়। যে কারণে রাশিয়ার যুদ্ধকে নৈতিক বা নীতিবাগীশ জায়গা থেকে অনেকেই 'আগ্রাসন বলে নিন্দা করছেন। আমরাও সরবে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সকল পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরুর ওপর জোর দিচ্ছি। কিন্তু নীতিবাগীশগিরি আর রাজনীতি দুটো ভিন্ন বিষয়। তাই ইউক্রেন কেন্দ্র করে একদিকে রাশিয়া আর অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটভূক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে সেটা আমাদের বোঝা দরকার। নির্মোহ ভাবে এই যুদ্ধের বাস্তব কারণ সম্যক অবহিত হওয়া জরুরি। তাই  রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে নিজেদের নীতিগত ভাবে ছহি আছি প্রমাণের চেষ্টা এখানে আমরা করব না। বরং মার্কন পররাষ্ট্র নীতির (আরো পড়ূন)

১. ইউক্রেন: ইউরোপের যুদ্ধ এবং আমাদের শিক্ষণীয়  

১. আবার লেনিন!

ইউক্রেনের সংকট শেষাবধি যুদ্ধে গড়ালো। তথাকথিত স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর অনেকে এই আশা করেছিলেন যে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধ বিগ্রহের দুর্দশায় বিশ্বকে পড়তে হবে না। মানুষের বৈষয়িক সমৃদ্ধি এবং নৈতিক বিকাশের দিকে নজর দেওয়া সহজ হবে। কিন্তু ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের 'সাম্রাজ্যবাদ' সংক্রান্ত তত্ত্ব সত্য বলে বারবারই প্রমাণিত হয়েছে। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার বৈশিষ্টই হচ্ছে হানাদারি এবং যুদ্ধ । ইউক্রেন যুদ্ধ  সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের অনন্ত যুদ্ধের কালপর্বের পর গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ঘটনা। যা নতুন করে পুরানা সত্যকে যেমন আমাদের সামনে হাজির ক (আরো পড়ূন)

ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার যুদ্ধ চালানো এবং পুতিনের আব্বাগিরি

গত বছর, মানে ২০২১ সালের সামারে করোনাকালীন কঠিন নিয়ন্ত্রণ ট‍্যুরিজম-বাণিজ‍্যের কারণে শিথিল হওয়ায়, আমি এবং আমার শিক্ষক, পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজের এসোসিয়েট প্রফেসর একটা ঝুলে থাকা আড্ডা দিতে তালিনের কেজিবি মিউজিয়ামের ২৩ তলার টপফ্লোর রেস্টুরেন্টে বসি। কেজিবি, সোভিয়েত ইউনিয়নকালে যেটা দেশটির প্রধান সিকিউরিটি এজেন্সি ছিল, সেটা এখন জাদুঘর, ট‍্যুরিস্টদের প্রধান আকর্ষণও। তালিন রাজধানীর স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়া স্বাধীন হয় ১৯৯১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের সাথে-সাথে ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে এবং তখন আমার শিক্ষক বিশ্ববিদ‍্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তার কাছে কেজিবি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন একই জিনি -- প্রচণ্ড ভয়ের, আতঙ্কের। ইউরোপীয়ান ইউন (আরো পড়ূন)

‘বাচ্চাবাজি’, শরিয়া এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আফগান জনগণের বিজয়

এক

এখানে আফগানিস্তান নিয়ে আমরা একটু ভিন্ন ভাবে আলোচনা করব, যেন বাঁধিগৎ তর্কাতর্কি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি।

বাঁধিগৎ তর্কাতর্কি নানান ধরনের হতে পারে। যেমন, তালেবানরা হানাদার ও দখলদার মার্কিন বাহিনীর চোখে সন্ত্রাসী বা ‘টেররিস্ট’। তাদের ইসলাম , বিশেষত ‘শরিয়া আইন’ পাশ্চাত্যের লিবারেল বা উদারবাদী চিন্তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফলে আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে কোন আলোচনা আসলে আফগানিস্তানে কি ঘটছে বা কি ঘটল সেই দিকে নিবিষ্ট না থেকে সেটা ইসলাম ও ‘শরিয়া’ আইন নিয়ে তর্কে পর্যবসিত করা হয়। যার পরিণতি শেষাবধি ইসলামের (আরো পড়ূন)

আফগানিস্তান: পাশ্চত্যের 'ক্রুসেড' ও নিপীড়িত জনগোষ্ঠির সংগ্রাম

আফগানদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ‘ক্রুসেড’ চলছে। সেকুলার ভাষায় এই ক্রুসেডের নাম ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’। আফগানদের লড়াই দখলদার মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই, দখলদারদের বিরুদ্ধে নিপীড়িত আফগানদের লড়াই। এই লড়াই ন্যায় সঙ্গত ও ন্যায্য। গণতান্ত্রিক ধ্যানধারনার দিক থেকে আফগানদের লড়াই জাতীয় মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের লড়াই। এই লড়াই করতে গিয়ে যে মতাদর্শকে সঠিক ও বাস্তবোচিত মনে হয়েছে আফগানরা তাই গ্রহণ করেছে। কিন্তু আফগানদের জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের 'তালেবান' বলা হয়। 'তালেবান' বলা উদ্দেশ্যপূর্ণ।

জর্জ বুশের ক্রুসেড শুরু হবার সময় থেকে ‘ইসলাম’- (আরো পড়ূন)

২. চিন ও আমরা

আমরা চিন নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু যেভাবে চিন নিয়ে কথা হয় তাতে আমাদের বিশেষ আগ্রহ নাই। যেমন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা কি ভারত ছেড়ে পিকিং-এর দিকে ঝুঁকছে? ভারতকে শায়েস্তা করতে হলে আমাদের কি চিনের পক্ষে থাকা উচিত? ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকে কি চিন সমর্থন দিচ্ছে? এইসব নিরর্থক কৌতুহল ও গালগল্পের আবর্জনার বাইরে ভাবতে পারার সামর্থ্য আমাদের এতদিনে হওয়া উচিত ছিলো। হয় নি। তা নিয়ে দুঃখ করার কিছু নাই। কারণ ফ্যাসিস্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদী (পড়ুন, হিন্দুত্ববাদী) মতাদর্শ এবং উপমহাদেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের বিরুদ্ধে লড়াই বাংলাদেশের জনগণের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। কখনই না। সামনে দিনগুলোতে আরও কঠিন হবে। একাত্তরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙা (আরো পড়ূন)

১. চিন এবং আমরা

নিজের ঠিক নাই কিন্তু চিন ও ভারত নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার অবধি নাই। সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ বাংলাদেশে খুবই হাস্যকর কিছু তর্ক তৈরি করেছে। যেমন, আমরা কার পক্ষে থাকব? বালখিল্য জোকারে দেশ ভর্তি বলেই এই ধরণের প্রশ্ন তোলা হয়। কেন বললাম? কারন আপনি কার পক্ষে থাকবেন কি থাকবেন না সেটা কেউই বাংলাদেশকে জিজ্ঞাসা করে নি, করবেও না। ঘুড়ির সুতা অনেক আগেই ছিঁড়ে গিয়েছে। ভূ-রাজনীতির হিশাব নিকাশ এখন বাংলাদেশের নাগালের বাইরে।

দশক দেড়েক আগেও ভূ-রাজনৈতিক কারণে পরাশক্তিগুলো কিছুটা হলেও বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিত। সেসময় চিন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বঙ্গোপসাগরীয় দেশ বাংলাদেশকে পক্ষে রাখা না রাখার প্রতিযোগিতা ছিল। সেই প্রতিযোগিতার সুবিধা বাংলাদে (আরো পড়ূন)

কাশ্মিরের নারী: নারীমুক্তি ও স্বাধীনতা

কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এমন নয় যে কাশ্মিরে এখন যা ঘটছে তা হঠাৎ করে হয়েছে বলেই এই উদ্বিগ্নতা। বিগত ৭০ বছর ধরে, ১৯৪৭ সালের পর থেকেই কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে বিরোধ ও কাড়াকাড়ি তার বিরুদ্ধে কাশ্মিরের মানুষ সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় সৈন্যদের দমন-পীড়ন আমাদের সকলের জানা। এরই মধ্যে কাশ্মীরের জনগণ জীবন-যাপন করছেন; লেখা-পড়া, চাকুরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব কিছুই হচ্ছে।

কিন্তু সম্প্রতি গত ৫ আগস্ট ২০১৯ ভারতের বিজেপি সরকার ভারতের সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ রহিত করে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এরপর তাদের ওপর দমন পীড়ন যেভাবে শুরু করেছে, তাতে বিশ্বের সব দ (আরো পড়ূন)

২. গুগি ওয়া থিয়োঙ্গো: নয়া-উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সাহিত্য  

শুধু সাম্রাজ্যবাদীর মুখোশ উন্মোচন নয়, নয়া-উপনিবেশ অধিকৃত দেশগুলোর স্বৈরশাসকদের মুখোশও উন্মোচিত হয় নগুগি ওয়া থিয়াঙ্গোর উপন্যাসে। ২০০৬ সালে প্রকাশিত ‘উইজার্ড অফ দ্যা ক্রো’-কে সমালোচকরা চিহ্নিত করেছেন ‘অ্যান এপিক স্যাটায়ার অফ নিও কলোনিয়ালিজাম’ নামে; উপন্যাসটা ঠিক তেমন ধাঁচেরই একটা কালজয়ী উপন্যাস। ৭৬৬ পৃষ্ঠার বিশাল কাহিনীটি যাদু বাস্তবতার আদলে অত্যন্ত রসালোভাবে একজন নয়া ঔপনিবেশিক স্বৈরশাসক এবং তাকে বেষ্টন করে রাখা চাটুকার মন্ত্রী, অমাত্য আর উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্মাণ করেছেন থিয়োঙ্গো। তার কালজয়ী এই উপন্যাস। ‘যে বছর আবুরিরিয়া-র স্বৈরাচারী শাসক পৃথিবীর সর্বোচ্চতম টাওয়ার বানানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন, কামিতি নামে এক হত (আরো পড়ূন)

১. গুগি ওয়া থিয়োঙ্গো: নয়া-উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সাহিত্য

১৯৯৬ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদের নিজাম মহাবিদ্যলয়ে কেনিয়ার নাট্যকার,ঔপন্যাসিক এবং প্রাবন্ধিক গুগি ওয়া থিয়োঙ্গো  ( Ngũg wa Thiong'o) যখন নয়া ঔপনিবেশবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আফ্রিকার জাতীয় আন্দোলনগুলো নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তখন ইদি আমিন, গাদ্দাফি এবং সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে তার অভিমত জানাতে চাওয়া হয়। উত্তরে বলেন “ আমার কাছে কি ধরণের উত্তর আশা করছেন তা আমি জানি। দুচার কথায় এর জবাব দেয়া কঠিন। তবে একটা কথা আমি জোর দিয়ে বলতে চাই -- আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারজাত মৌলবাদ অন্য সমস্ত রকম মৌলবাদের চেয়ে বিপজ্জনক”। মৌলবাদের সংজ্ঞার পরিধি ব্যাপ্তির কারণে লেখক থিয়োঙ্গো যথার্থভাবে সব থেকে বিপজ্জনক মৌলবাদকে সনাক্ত করতে যে পেরেছেন সেই বিষয়ে কো (আরো পড়ূন)

উপসাগরীয় দুই শাহজাদা'র কাহিনী

 সাংবাদিক জামাল খশগগীর হত্যার ঘটনা ৩৩ বছর বয়সী সউদী শাহজাদা মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) ক্যারিয়ারে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষকরা নানা আন্দাজ পেশ করছেন। ঠিক সেই সময় তার চেয়ে ২৫ বছরের বড় আরেক শাহজাদা একটু দূরে থেকে সব দেখছেন এবং নিশ্চয়ই একটু অস্বস্তি বোধ করছেন।

এমবিএসের সঙ্গে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ইস্যুতে জড়িয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাহজাদা মোহাম্মদ বিন জায়েদ (এমবিজেড)। এর মধ্যে দুটি হচ্ছে, ইয়েমেন যুদ্ধ এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য রাষ্ট্র কাতারের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপ।

এই দুটি বিষয়ের ফল বেশি সুখকর ছিল না। ইয়েমেন য (আরো পড়ূন)

ওমর মুখতার ও উপনিবেশবিরোধী যুদ্ধ

“হয় জিতবো নয় মরবো” -ওমর মুখতার

“অবিচার নিপীড়িত মানুষকে নায়ক করে তোলে। প্রতিরোধের একজন আইকনিক নেতা হিসেবে লিবিয়ার জনগণ আজও স্মরণ রেখেছে ওমর-আল-মুখতারকে ( ১৮৬২-১৯৩১ ), যিনি তার জীবনের শেষ বিশ বছর নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন ইতালির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। লিবিয়াবাসীদের কাছে আল-মুখতার মৃত্যুর ছিয়াশি বছর পরেও, সমষ্টিগত চেতনায় জীবিত ; তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মধ্যেও। শুধুমাত্র একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবেই নয় বরং তার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব এবং তার ট্রেডমার্ক এর মতো চোখের সেই চিকন ফ্রেমের চশমার কারণেও” --ঠিক এভাবেই গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ওমর-আল-মুখতারে (আরো পড়ূন)

সাবা মাহমুদঃ ইসলাম প্রশ্ন ও পাশ্চাত্য মোকাবেলা

প্রাক কথা

৯/১১ পরবর্তী দুনিয়ায় সাধারণ ভাবে ধর্ম এবং বিশেষ ভাবে ইসলাম প্রশ্ন সামনে চলে আসার কারনে একাডেমিক জগতে ধর্ম, দর্শন, রাষ্ট্র ইত্যাদি নতুন করে পর্যালোচনার অধীন হচ্ছে আবার, বিশেষত এদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিচার জরুরী হয়ে উঠেছে। এই তাগিদে নতুন উৎসাহে ইসলাম নিয়ে নতুন পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। ‘আধুনিকতা’, ‘প্রগতি’, ‘স্বাধীনতা’, ‘অধিকার’ ইত্যাদি ধারণা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে তার ছেদ ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়ে সেক্যুলার, উদারনৈতিক এবং প্রগতিশীল ধারার যে চিন্তা জারি আছে, সেটাও বাস্তব ও ব্যবহারিক প্রশ্নের কোন কার্যকর মীমাংসার প্রস্ (আরো পড়ূন)

আফগানিস্তান: মাদ্রাসার হাফেজ ও শিশুকিশোর হত্যা

কিশোর হাফেজ হত্যার ক্ষরণ

আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশে মাদ্রাসার শহিদ কিশোর ছাত্রদের ছবি মন ভয়ংকর ভাবে বিষন্ন ও শোকার্ত করে। এই কিশোরদের অনেকে সবে মাত্র মাদ্রাসায় তিরিশ পারা কোরান হেফজ ব মুখস্থ করেছে। হাফেজ হবার স্বীকৃতি ও সনদ পত্র পাবার জন্য মাদ্রাসার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় তারা জড়ো হয়েছিল। এই বাচ্চাদের মিলিটারি হেলিকপ্টার থেকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো কোয়ালিশানের 'পরামর্শদাতা'দের সহায়তায় আফগান এয়ার ফোর্স হত্যা অভিযানগুলো পরিচালনা করে। আল জাজিরার কাছে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হাজি গোলাম বলছেন, 'আমি ক্ষেতে কাজ করছিলাম, এমন সময় আমি হেলিকপ্টার ও জেট বিমানের ম (আরো পড়ূন)

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বহুজাতিক কর্পোরেশান

মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থার নিয়মেই ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিজয় লাভ করেছেন। তিনি কোন কারচুপি করেন নি। গণতান্ত্রিক ভাবেই, এমনকি বিরূপ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন। বলা হচ্ছে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ্য ব্যক্তি নন। এমনকি তাকে পাগল প্রমাণ করবারও চেষ্টা চলছে। কয়েকজন সাইকোলজিস্টের বরাতে বলা হয়েছে তাঁর আচরণের মধ্য দিয়ে নাকি প্রমাণিত হচ্ছে তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। এগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির আভ্যন্তরীণ খেয়োখেয়ির গল্প। দিল্লি কা লাড্ডু। আপনি খেলে পস্তাবেন, না খেলে মজা লস করবেন।

আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নই, এবং আমরা মার্কিন নাগরিকও নই। মার্কিন দেশের রাজনীতির আভ্যন্তরীণ খেয়োখেয়ির প্রতি নজর রাখ (আরো পড়ূন)

টেকনলজির বাহাদুরি বনাম শহিদ হবার সামর্থ্য

জিহ্বা কাটা পড়বেই...

ফেইসবুকে মাঝে মধ্যে চলমান বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করবার সুযোগ নিতাম। কিন্তু ফেইসবুক গণতন্ত্রের মানসকন্যা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইন্টারনেটে যেতে পারি, কিন্তু ফেইসবুক খুলতে পারি না। এতে আমার বিশেষ ক্ষোভ আছে বলব না। তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’ নামক ব্যবস্থায় চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া, কিম্বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গীত গাওয়া যে আসলে উলুবনে হনুমানের চিৎকার সেটা এখন থিওরি কপচিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে না। তাই কি?

তথাকথিত আধুনিক বা উদার গণতন্ত্রে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ইত্যাদি বিস্তর হাবিজাবি কথা বলা হয় কিন্তু এই প্রকার কথা ডু (আরো পড়ূন)

তুরস্ক ও রাশিয়ার বিবাদ

আজকের দুনিয়ার আইএস বা ইসলামী স্টেট ইস্যুটি দিনকে দিন বিশ্বরাজনীতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। ব্যাপারটি অনেকটা ‘কুইনাইন সারাবে কে’ অবস্থার মতো। ম্যালেরিয়া তাড়ানোর জন্য রোগীকে কুইনাইন খাওয়ানো হয়েছিল। এতে কুইনাইন ম্যালেরিয়া তাড়ানো গিয়েছিল কিনা, সেকথা চাপা পড়ে গিয়ে এর চেয়েও বড় ঘটনা হয়ে গিয়েছিল নতুন রোগ সৃষ্টি। কুইনাইন এ নতুন রোগ ডেকে এনেছে। তা থেকে আবার আরও অনেক নতুন নতুন রোগের বিস্তার ঘটেছে।

একই ভাবে সর্বশেষ জটিল ঘটনাটি হলো, তুরস্কের বোমারু বিমান এক রাশিয়ান বোমারু বিমানকে গোলা মেরে ভূপাতিত করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলেও কমিউনিস্ট প্রগতিশীলদের চোখে রাশিয়া এখন নতুন সহানুভূতির রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সিরিয়াতে রাশ (আরো পড়ূন)

প্রক্সি যুদ্ধের টানাপড়েন

তুর্কিরা মার্কিনীদের দেয়া এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিয়ে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে তুরস্কের আকাশ সীমায় মাত্র সতেরো সেকেন্ডের জন্য ঢুকে পড়া একটি ‘সুখয় এস ইউ ২৪’ রুশ যুদ্ধ বিমান ২৪ নভেম্বর গুলি করে ফেলে দিয়েছে। পাইলটরা যখন প্যারাসুট দিয়ে আকাশ থেকে নামছিলেন তখন সিরিয়া সীমান্তের ওপারে তুরস্ক সমর্থিত তুর্কমেন যোদ্ধারা তাদের গুলি করে। আকাশে গুলি করেই একজনকে হত্যা করা হয়, অন্য জন রাশিয়ায় ফিরতে পেরেছে।

রুশরা এতে ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন: “সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা আমাদের পিঠে ছুরি মেরে দিল, এছাড়া একে আর অন্য কোন ভাবেই ব্যাখ্যা করে বোঝানো যায় না”। খুবই কড়া কথা। পুতিন আরো বলেছেন, রাশিয়া আগেই প্রমাণ করে দেখিয়েছে কি (আরো পড়ূন)

‘কয়টা লাশ পড়ল আমরা গুনে দেখি না’

‘We don’t do body counting’ - Gen. Tommy R. Franks, US Army

চিন্তার আলস্য এমন এক স্বোপার্জিত অসুখ যা সারিয়ে তোলা মুশকিল। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হচ্ছে তেমনি স্বেচ্ছায় চিন্তা করতে অক্ষম হবার সাধনা: যখন কোন ঘটনা বা বিষয় নিয়ে আমরা আর চিন্তা করতে চাই না। অলস হয়ে যাই। তখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে আমরা আমাদের চিন্তার অক্ষমতা ঢাকতে চেষ্টা করি।

যেমন, আইসিস। আইসিস নিয়ে বাংলাদেশে যা কিছু পড়েছি তার সারকথা দুটা:

এক. আইসিস হচ্ছে সিআইএ আর মোসাদের ষড়যন্ত্র বা মার্কিন ও ইসরায়েলি কাণ্ড, তাদেরই সৃষ্টি। বাকি ব্যাখা সহজ। সিআইএ ও মোসাদ কোথায় কিভাবে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রমাণ দাখিল (আরো পড়ূন)

ইতালিয়ান নাগরিক হত্যা ও তিনটি অর্থপূর্ণ ইঙ্গিত

মনে হচ্ছে পাশ্চাত্য দেশগুলো ইতালির নাগরিক সিজার তাভেল্লার হত্যাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসাবে মানতে নারাজ। ঘটনা হোল, সিজার গত সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের গভর্নর হাউসের দক্ষিণ পাশের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষা ফুটপাতে খুন হন। দুই অস্ত্রধারি রিভলবার দিয়ে পর পর তিনটি গুলি করে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা একজনের মোটরসাইকেলে চড়ে ৮৩ নম্বর সড়ক ধরে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে সিজারের মৃত্যু হয়। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মী। প্রুফ নামে ওলন্দাজ সরকারের উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অর্থ সহায়তায় পরিচালিত একটি বড়সড় প্রকল্পে সিজার কাজ করতেন। ইকো করপরেশানের (আরো পড়ূন)

জরিপের রাজনীতি

ইন্টারনেশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট ( বা আই আর আই) বাংলাদেশে অফিস খুলেছে ২০০৩ সালে। কী চায় তারা বাংলাদেশে? তাদেরই দাবি, তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে চায়। কিভাবে তারা সেটা করবে? আমরা অসভ্য, গণতন্ত্র বুঝি না, গণতান্ত্রিক আচার আচরণ করি না, অতএব তারা আমাদের গণতন্ত্রের ট্রেনিং দেবে। তার জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ দেবে তারা।

সকলকে দেবে কি? যেমন ধরুন আওয়ামি লীগ, বিএনপি কিম্বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে? ধরুন তারা খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা কিম্বা এই স্তরের নেতা নেত্রীদের গণতন্ত্রের ট্রনিং দিল। তাতে খারাপ কি? না এটা তাদের উদ্দেশ্য নয়। দিলে খারাপ কি ভালো হোত জানি না, পাঠকগণ নিজেরা নিজেদের বুদ্ধি মোতাবেক ভেবে নেবেন। কিন্তু ইন্টারনেশনাল রিপাবলিক (আরো পড়ূন)

মার্কিন শুনানি, নিরপেক্ষতার রাজনীতি ও পরাশক্তির ভূমিকা

এক

মার্কিন কংগ্রেসে গত বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় ২১ নভেম্বর ২০১৩)বাংলাদেশের ওপর একটি শুনানি হয়েছে। এর প্রতি বাংলাদেশে আগ্রহ রয়েছে প্রচুর। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়াই একপক্ষীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের পথে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জনগণ উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত। বাংলাদেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ভাবে এই নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে।

তবে দিল্লী ব্যাতিক্রম। শেখ হাসিনাকে দিল্লী সমর্থন করছে ও করবে। ভারতের প্রভাবশালী সাংবাদিকদের লেখালিখি থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশে সংঘাত ও রক্তপাতের জন্য দিল্লী তৈরী। শেখ হাসিনাকে যে ভাবেই হোক ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে বাংলাদেশ (আরো পড়ূন)

তালেবান, স্বাস্থ্যকর্মী, গোয়েন্দা এজেন্ট ও জাতিসংঘ

তালেবান হামলায় স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু। প্রশ্ন হচ্ছে, যুদ্ধের গোয়েন্দা এজেন্ট হয়েই কি জাতিসংঘ নিজেকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে?

গত ১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচী ও পেশোয়ারে ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে এধরণের গুলিতে নিহত বা বোমা বিস্ফোরণ কিম্বা আত্মঘাতি বোমার আঘাতে হতাহত হওয়া প্রায় রুটিন ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সেই বিচারে ১৮ ডিসেম্বরের এই ঘটনা আলাদা বা নতুন কিছুনা। কেউ কেউ হয়ত বলবেন, সংখ্যার দিক থেকে এটা হতাহতের পরিসংখ্যানে সংখ্যা বৃদ্ধির বেশি কিছু নয়। কিন্তু একে আর দশটা রুটিন ঘটনার মতো করে দেখার বিপত্তি আছে। এই ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মী হত্যার ঘটনায় চোখ ফেলার কারণ এখানে ভিন্ন। সে দৃষ্টিকোণের কেন্দ্রে আছ (আরো পড়ূন)

হিলারির সফর ও বাংলাদেশের ‘কৌশলগত’ তাৎপর্য

যতোদূর জানা যায়, হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে আসেন নি, অর্থাৎ যে সময় শেখ হাসিনা তাকে চেয়েছেন সেই সময় নয়, ডক্টর ইউনুস নিয়ে টানাপড়েন একটা কারন ছিল। এমন কি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই তাঁকে বাংলাদেশে আনবার চেষ্টা চলছিল। এই বছর মে মাসে চিন থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লী যাবার পথে মাঝখানে ছুটির দিনে বাংলাদেশ সফরে আসার দিনক্ষণ হিলারি নিজেই নির্ধারণ করেছেন। আসার পর  তিনি প্লেন থেকে নেমেছেন দেরি করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি তার জন্য যে নৈশভোজের আনজাম করেছিলেন, হিলারি তাতে শামিল হন নি। অনেকে ধরে নিয়েছেন তিনি সরকারের কাছ থেকে একটা দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছেন। কি (আরো পড়ূন)

হিলারি ক্লিনটনের ‘স্মার্ট পাওয়ার এপ্রোচ’

হিলারি ক্লিনটন শুধু বাংলাদেশে আসছেন না। প্রথমত তিনি আসছেন চিন থেকে। তারপর তিনি আসবেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে যাবেন ভারতে। কলকাতায় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও দেখা করবেন। তাঁর বাংলাদেশ সফরকে দিল্লী-ঢাকা-ওয়াশিংটন মিলে চিনের বিরুদ্ধে একটা প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তোলার সফর হিশাবে দেখতে চাইছেন অনেকে। এটা খুবই সরল ভাবে দেখা। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা এবং ভাঙন বেসামাল হয়ে পড়ছে প্রায়ই। এর কারনে শক্তিশালী দেশগুলোর সামরিক ও নিরাপত্তা ভাবনা নতুন বাস্তবতায় বদলাচ্ছে। এর রূপ ঠিক কী দাঁড়াবে সেটা এখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠে নি। চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈরিতাও আগের মতো তীব্র নয়, এবং এই বৈরিতা চিরস্থায়ী হবে সেটাও আগাম অন (আরো পড়ূন)