ভবে মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার
সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার – ফকির লালন শাহ
মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানমনস্কতা, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশে যে ‘বিজ্ঞানবাদিতা’ জারি রয়েছে তার সমালোচনা করে দৈনিক যুগান্তরে ‘বিজ্ঞান চাই, বিজ্ঞানবাদিতা চাই না’ শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। এরপর এ ধরনের লেখা লিখবার জন্য অপরিসীম সাড়া পাই। বিশেষত তাদের কাছ থেকে যারা বয়সে কম অথচ চিন্তা করতে ভালবাসে। কোন ‘মত’-কেই যারা বিচার ছাড়া মেনে নিতে রাজি না। স্রেফ মত প্রকাশের অধিকার কিম্বা স্বাধীনতার তর্কের জায়গা থেকে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনত কিম্বা অন্যের কথা বল (আরো পড়ূন)
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানুষের গুম হয়ে যাওয়া, কারো কারো লাশ হয়ে প্রত্যাবর্তন আর অনেকের চিরতরে হারিয়ে যাওয়া, পুলিশি হেফাজতে অহরহ হত্যা ইত্যাদি বাংলাদেশে দৈনন্দিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। এই ধরণের পরিস্থিতিতে কিছু লেখালিখি করা বিপজ্জনক। একটি অবস্থান হচ্ছে মানবাধিকার রক্ষার দাবি। এই অবস্থানের অনুমান হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও নিরাপত্তার ছায়ায় দাঁড়িয়ে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মানবাধিকার ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত রয়েছে। মানবাধিকার রক্ষার জন্য বিবিধ আন্তর্জাতিক ঘোষণা, সনদ ও অঙ্গীকারও কম নাই; ফলে মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্ন কমবেশী আন্তর্জাতিক বিধিবিধান হিসাবে স্বীকৃত। মানবাধিকার কর্মীদের জন্য আন্তর্জাতিক (আরো পড়ূন)
আমরা নিত্যদিন পৃথিবীকে সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসতে দেখি; সূর্য পূব আকাশে ওঠে, আর বিকালে পশ্চিমে ডুবে যায়। হ্যাঁ, ‘ডুবে’ যায়। বিকালে সুর্যের কি ঘটে তার অভিজ্ঞতাটা কোন কিছু পানিতে ডুবে যাবার মত। লাল হয়ে আছে সন্ধ্যার আকাশ, আর দিগন্ত রেখার নীচে ডুবে যাচ্ছে সূর্য ! ডুবে যাওয়া কথাটা সূর্য সম্পর্কে খাটে কিনা তর্ক হতে পারে। কিন্তু অভিজ্ঞতার জগতে ‘ডোবা’ বা ‘ডুবে যাওয়া’ নামক একটা ব্যাপার আছে যাকে বিকালে পশ্চিমাকাশে সূর্যের নিষ্ক্রান্ত হবার ঘটনাকে উপলব্ধি ও ব্যক্ত করতে ব্যবহার হয়; আমরা ব্যবহার করি।
বিজ্ঞান বলে, এটা ঠিক না। সূর্য 'ডোবে' না। আমরা পশ্চিমের কোন দেশে গেলে দেখব সূর্য ডোবে নি। আরও দূরে গেলে দেখব সূর (আরো পড়ূন)
তাঁর সঙ্গে দুইবার মাত্র দেখা হয়েছিল। এর একটা বড় কারণ, তিনি তাঁর জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষকতার সূত্রে থাকতেন চট্টগ্রামে। দ্বিতীয় কারণ আমরা এমন এক সমাজ তৈরী করেছি যেখানে জ্ঞানের কদর নাই, বিজ্ঞান তো দূরের কথা। সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও বিশ্বসভায় নেতৃত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে মৌলিক বিজ্ঞান চিন্তার ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নাই। বিজ্ঞানীর যোগ্য সামাজিক সম্মান আমরা দিতে জানি না; তাঁদেরকে ঘিরে আমাদের কোন সামাজিক সংঘ নাই; চিন্তার আদান প্রদানের কোন সাধারণ পাটাতন নাই। ফলে জ্ঞানবিজ্ঞানের আউলিয়া হয়ে তাঁরা তাঁদের নির্জন সাধনায় একা একা রত থেকেছেন। এখন যখন সংবাদ পাচ্ছি যে তিনি আর নাই, তখন বেদনায় কাতর হতে পারি, কিন্তু সেটা কুমিরের অশ্রুর বেশি মূল্য পা (আরো পড়ূন)