চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

কর্পোরেট মিডিয়া ও বহুজাতিক কর্পোরেশান

মাইক্রোবিডকে বাংলায় বলা হয় ‘প্লাস্টিক কণা’ বা ‘প্লাস্টিক দানা’। প্রসাধন দ্রব্যে এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। যদিও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে প্লাস্টিক কণার ব্যবহার নিষিদ্ধের বিলে স্বাক্ষর করেন। ফেব্রুয়ারিতে কানাডা এটিকে ‘বিষাক্ত দ্রব্য’ (টক্সিক সাবস্টেন্স) হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটেন সরকারও ঘোষণা দেয় ২০১৭ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক কণার ব্যবহার সম্পুর্ণ বন্ধ করে দেয়া হবে। অন্যান্য দেশও একই পথ অনুসরণ করছে।

মানব শরীর এবং পরিবেশ উভয়ের জন্য প্লাস্টিক কণার মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছ (আরো পড়ূন)

ব্রেক্সিট ২: কার বিরুদ্ধে অসন্তোষ কার পাতে!

ব্রেক্সিট গণভোটের ফলাফল শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করে যাওয়ার পক্ষে হয়েছে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোটের ফলাফলে ত্যাগের পক্ষ জয়ী হয়েছে শতকরা ৫২-৪৮ অনুপাতে। এতে গণভোট-উত্তর পরিস্থিতি যা হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল তা একের পর এক ঘটা শুরু হয়েছে। সারা বিশ্বে ফলাফলের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সর্বব্যাপী। এটা বোঝা কঠিন ন যে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও এর প্রভাব পড়বে। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদকে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের “পোশাক খাত চ্যালেঞ্জের মুখে” পড়েছে। ওদিকে ইতোমধ্যে প্রতি বৃটিশ পাউন্ড গণভোটের আগের তুলনায় দশ টাকা করে মূল্য হারিয়েছে। পরিস্থিতি আরো কতটা খারাপের দিকে যাবে তা নিয়ে অনুমান চলছে।

এ নিয়ে গভীরে (আরো পড়ূন)

ব্রেক্সিট ১ : ভাঙাগড়ার শুরু

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র বৃটেন এক গণভোটে ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এখনও আভ্যন্তরীণ। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ কে এখনও এই সিদ্ধান্ত জানানো হয় নি। ইতোমধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর উল্টাপাল্টা প্রভাব পড়া শুরু করেছে। বৃটেনের গণভোটের এই সিদ্ধান্তে বিশ্বের প্রভাবশালী শেয়ার বাজারগুলোর অবস্থা টালমাটাল হতে শুরু করেছে।

ব্রেক্সিট, নতুন পরিস্থিতির মধ্যে জন্ম নেওয়া একটা নতুন শব্দ -- ব্রিটেন আর এক্সিট, এ দুইয়ের সংমিশ্রণে তৈরী। পুরনো শব্দ দু’টি মিলিয়ে পয়দা করা হয়ে হয়েছে নতুন শব্দ ব্রেক্সিট। কেন? বিগত ১৯৭৩ সাল থেকে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য। ব্রিটেন ইইউ ছেড়ে যাবে কি না তা জানতে গণভোট (আরো পড়ূন)

চিনের বিশ্বব্যাংক: বিশ্ব অর্থনীতির চৈনিক মোড়

দ্বিতীয় কিস্তি

চলতি শতকের প্রথম দশক (২০০১-১০)থেকেই দুনিয়া জুড়ে নানান ঘটনায় বারবার আলামত ফুটে উঠছিল যে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এক মহা-ওলটপালট আসন্ন। দুনিয়া জুড়ে পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কের বিস্তৃতি ও পুঁজির পুঞ্জিভবন ভবন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যে বিশ্বযজ্ঞ চলেছে তাকে এক কথায় আন্তর্জাতিক পুঁজির তৎপরতার বলা হয়। সেই তৎপরতা পুঁজির নিজস্ব স্বভাবের অধীন। তার কার্যকারণ নৈর্ব্যক্তিক -- মানুষের ইচ্ছাধীন নয় – একথা অনেক রথী মহারথী বলে গিয়েছেন। এদের মধ্যে কার্ল মার্কস অন্যতম। তাঁর লেখালিখির মধ্য দিয়ে মানুষের ইচ্ছার বাইরের পুঁজির এই বিশ্ব ব্যাপী চলন ও বিচলনের কার্যকারণকে ‘পুঁ (আরো পড়ূন)

চিনের বিশ্ব ব্যাংক: বিশ্ব অর্থনীতির চৈনিক মোড়

প্র থ ম  কি স্তি

দুনিয়ার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সাধারণত ‘গ্লোবাল ইকনমিক অর্ডার’ নামে আলোচনা করা হয়, সেই ব্যবস্থার মধ্যে রূপান্তরের চিহ্নগুলো বহুদিন ধরেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছিল। গত সাত বছর ধরে সেই ব্যবস্থার মধ্যে একটা ‘মোচড়’-এর কথা বলে আসছিলাম আমরা। এই মোচড়ানি বিদ্যমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ঠিক ভেঙ্গে পড়ার অভিমুখি নয় বরং কাঁধ বদল অথবা আরেক কাঁধে মাথা রেখে পুরা ব্যবস্থার পাশ ফিরে শোয়া বলা যায়। এই পাশ ফিরে শোয়ার পরিণতিও নানান দিক থেকে  বিরাট বদল ঘটাতে পারে। এই প্রসঙ্গে এ বিষয়ে প্রথম কিস্তি পেশ করা হোল।

(আরো পড়ূন)

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ফিরে আসে নাই

ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের হেড অফিস থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ দিন-শেষে (অর্থাৎ বাংলাদেশের ২১ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে) পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

অনেকেই জানেন গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভি ওয়াশিংটনে আছেন, এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কথা বলার জন্য তিনি সেখানে আছেন।এখনও ফেরেননি। বিশ্বব্যাংকের সাথে গত ২০ সেপ্টেম্বর তাঁর আলাপের পর বিশ্বব্যাংকের এই বিবৃতি তৈরি ও প্রকাশিত হওয়ার কয়েকঘন্টা আগেই অর্থমন্ত্রী মাল মুহিত ঐদিনই (তবে আমাদের তখন রাত্রি) দেশের রাতের স্থানীয় খবরে ‘বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ফিরে আসছে’, ‘বিবৃতি আসছে’ ইত্ (আরো পড়ূন)

পদ্মা সেতু ঋণ বাতিল ও বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে বিশ্বব্যংকের যে এত ভুরি ভুরি সমালোচক আছে পদ্মাসেতু নিয়ে কথা-বার্তা উঠার আগে তা ঠাহর করা যায় নাই। এহ বাহ্য, প্রকারান্তরে মিডিয়ার উপর শেখ হাসিনার দখল কতখানি তা বেশ অনুভব করা গেছে। এসব সমালোচনার মূল বিষয়, হাসিনা সরকারের দিকে দুর্নীতির উঠানো আঙ্গুল যে যেভাবে পারে সত্য-মিথ্যা, আর্ধেক বুঝা, না-বুঝা দিয়ে মুচড়ে দেয়া। আর সেই সঙ্গে বিশ্বব্যংকের বিরুদ্ধে এ উসিলায় একপ্রস্থ লিখার আনন্দে অনেকে জ্ঞানের বহর খুলতে শুরু করেছে! ষ্ট্রাটেজিটা হলো,হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যেখান থেকে এসেছে সেই প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংককের গায়েই কালি লাগানো;এতে যার যা সাধ্যে কুলায়, এমন সমস্ত তীর ছুড়ে যতটা সম্ভব হাসিনার ইমেজ ড্যামেজ বা ক্ষতি রিপেয়ার করা। ব্যাপারটা (আরো পড়ূন)