মার্চের ৫ থেকে ৯ তারিখে কাতার জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হয় পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশের সম্মেলন। দোহার এই সম্মেলনে গিয়ে সরাসরি জানার সুযোগ হয়েছে কাতারে অবস্থানরত রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসী শ্রমিকরা কত কষ্টে আছেন। বড় বড় দালান, আকাশছোঁয়া বিল্ডিং আছে দোহায়। এসব দেখে মনে পড়লো আমাদের প্রবাসী ভাইদের কথা। তাদেরই শ্রমে-ঘামে এই বিল্ডিং এবং রাস্তা তৈরি হয়েছে। দোহার চাকচিক্য তাদেরই অবদান।
কাতারের দোহা শহরে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশের সম্মেলন। মার্চের ৫ থেকে ৯ তারিখে কাতার জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন করা হয়েছিল। আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান উবিনীগের পক্ষ থেকে তিন জন গিয়েছিলাম সিভিল সোসাইটি ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য। মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি (আরো পড়ূন)
গ্যাসের দাম বাড়ে, বিদ্যুতের দাম বাড়ে, বাড়ী ভাড়া বাড়ে, শুধু গার্মেন্ট শ্রমিকের মজুরী বাড়ে না। রানা প্লাজায় শ্রমিকদের জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল। যদি স্রেফ বেঁচে থাকা আর মজুরির তুলনা করা হয় তাহলে বলতে হয় গার্মেন্ট মালিকরা তিলে তিলে নিত্যদিনই শ্রমিকদের মারে। সে্টা কম ভয়াবহ নয়। রানা প্লাজার পাঁচ বচর পর্যালোচনা করতে এসে শ্রমিক নেতারা এই সময়ের গার্মেন্ট শ্রমিকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যে মজুরি সেটাই বারবার জোর দিয়ে বললেন।
বর্তমানে গার্মেন্ট শ্রমিকরা যে বেতন পায় বাড়ী ভাড়া তার চেয়েও বেশি। দু’বছর আগে শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন যে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা হলো ৫৩০০ টাকা। এই টাকা থেকে বাড়ি ভাড়া দিতে হচ্ছে চার হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে বা (আরো পড়ূন)
তোবা গার্মেন্টের অভিজ্ঞতা সামনে রেখে শ্রমিক আন্দোলন প্রসঙ্গে সাধারণ ভাবে বাংলাদেশের বামপন্থিদের নীতি ও কৌশল সম্পর্কে এখানে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। বিশেষত শ্রমিক শ্রেণির অর্থনৈতিক স্বার্থ আর শ্রমিক শ্রেণির রাজনীতির পার্থক্য সম্পর্কে। একটি হোল শ্রমিকদের অর্থনৈতিক দাবি দাওয়া আদায়ের লড়াই আর অন্যটি পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্ক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে সমাজ ও ইতিহাসের রূপান্তর ঘটানোর রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রকল্প ও তৎপরতা। শেষেরটি কমিউনিস্ট রাজনীতি হিসাবেও পরিচিত। দুইয়ের ক্ষেত্রে ‘শ্রমিক’ কথাটা থাকলেও, দুটো ভিন্ন বিষয়। অর্থনৈতিক শ্রেণি হিসাবে ‘শ্রমিক’ এবং পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্ক ও ব্যবস্থা বদলে দিয়ে নতুন ধরণের সম্পর্ক চর্চার বিদ্যা (আরো পড়ূন)
তোবা গার্মেন্ট কেন্দ্র করে শ্রমিকদের আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পূর্ণ সমর্থন করে সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরে একটি লেখা লিখেছিলাম 'দেখুন অভিযুক্ত গার্মেন্ট মালিকের জামিন বনাম শ্রমিক আন্দোলন, ১০ অগাস্ট ২০১৪)। তোবা গার্মেন্টের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও বোনাসের অর্থনৈতিক দাবি আদায় করে নেবার জন্য যারা তোবা বিল্ডিং-এ অনশনের কর্মসূচি সফল করেছিলেন, তাদের কৌশল সঠিক কি বেঠিক তা নিয়ে একটি তর্ক উঠেছে। এই ক্ষেত্রে বামপন্থিদলগুলোর মধ্যে ঐক্য বেড়েছে, নাকি অনৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও কিছু কথা উঠেছে। আমি মনে করি সুনির্দিষ্ট ভাবে তোবা গার্মেন্টের শ্রমিক (আরো পড়ূন)
ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা হলে কি রফতানিমুখি পোশাক খাত বন্ধ হয়ে যাবে?
তীব্র শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে সরকার তৈরি পোশাক খাতের শ্রমের ন্যূনতম মজুরি নতুন করে নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের মুদ্রার মান ও দ্রব্যমূল্যের বিচারে এ তিন হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির ফলে শ্রমিকরা দারিদ্র্যসীমার অনেক নিচে থেকে জীবন ধারণ করতে বাধ্য হবে। এ খাতের মালিকরা বলছেন, শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী যদি ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা করা হয় তবে দেশের তৈরি পোশাক খাত বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজার, সেই বাজারে বাংলাদেশের (আরো পড়ূন)
আজ পহেলা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। আবার কিছূদিন আগে ঘটা করে পালিত হয়েছে ৮ই মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শতবর্ষ পূর্তি। মে দিবস পালনে বিশেষ জোর না থাকলেও নারী দিবস পালনে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেমন বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল তেমনি সমানগুরুত্ব পেয়েছে দেশের উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা, নারী সংগঠন, রাজনৈতিক দল সমূহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কাছে।
এবারের নারী দিবসের শতবর্ষে সমঅধিকার ও সমসুযোগ প্রতিষ্ঠায় নারী হোক রাজনীতির সমঅংশিদার, শ্লোগানটি সামনে রাখা হয়েছে। তারপরও অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে নারীর উপর সহিংসতার নানা মাত্রা প্রধানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। বিষয়বস্তু হিশাবে এসব সংস্থা শতকরা কতোভাগ নারী পারিবারিক জীবনে স্বামী অথবা (আরো পড়ূন)