এক
মানুষকে মুক্ত বা স্বাধীন ভাবতে পারা মানবেতিহাসে খুব বড়সড় ঘটনা। ইতিহাসের একটা কালপর্ব পার হয়ে এসে সবে মাত্র আধুনিক কালে আমরা ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’ বা ‘ব্যক্তির মুক্তি’র কথা বলি। কিন্তু ভাবা দরকার একটি গোত্রবাদি, গোষ্ঠবাদি, রক্তের সম্পর্কের ওপর দাঁড়ানো সমাজে মানুষ স্বাধীন বা মুক্ত এই ধারণার আবির্ভাব কিভাবে ঘটল? বিস্ময়কর! শুধু তাই না, আল্লা ছাড়া ইহলোকে সেই স্বাধীন ও মুক্ত মানুষের দেশ কাল পাত্র দ্বারা সীমিত কোন ইহলৌকিক বস্তু বা ব্যক্তির অধীনস্থতা মেনে নেওয়া ঘোরতর অধর্ম, বা ইসলামের ভাষায় ‘শির্ক’ বা শেরেকি – এই রুহানি ধারণাটিও কিভাবে তৈরি হোল (আরো পড়ূন)
এই খসড়া নোটটি চিন্তা পাঠচক্রের একটি চলমান কাজের খসড়া যা ইসলাম নিয়ে আমাদের অপরাপর কাজের সঙ্গে যুক্ত। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্মচিন্তা ও দর্শনের ইতিহাসের আলোকে ইসলামের মৌলিক প্রস্তাবনা নতুন ভাবে উপলব্ধি এবং বিদ্যমান জ্ঞানচর্চার সীমানা অতিক্রম করবার সম্ভাবনা অন্বেষণ। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক বর্গ নিয়ে ফলপ্রসূ পর্যালোচনার ধারা গড়ে তোলা খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে। গ্রিক-খ্রিস্টিয় চিন্তা এবং সম্প্রতিকালে পাশ্চাত্যে আধুনিক ও উত্তরাধুনিক পরিমণ্ডলে যে তর্কবিতর্ক চলছে সেখানে ইসলাম তার নিজের উন্মোচন, স্বাতন্ত্র্য ও সম্ভাবনা নিয়ে কিভাবে হাজির হতে পারে সেই সম্ভাবনা বিচার একালে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। গ্রিক-খ্রিস্টিয় চিন্তার ঐতিহাসিক অবদান (আরো পড়ূন)
আপনাতে আপনি ফানা
হলে তারে যাবে জানা।
সিরাজ সাঁই কয় লালন কানা
স্বরূপে রূপ দেখ সংক্ষেপে।।
-- ফকির লালন শাহ
প্র: ধর্ম সম্পর্কে আপনার জানাশোনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং অবস্থান আলাদা, কিন্তু দেখা যায় আপনি রোজা রাখেন এবং রমজানের শেষ দশদিন আপনার আচার আচরণে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখা যায়। এরপর আপনার কবিতা, চিন্তা ও লেখালিখির মধ্যে নতুন চিন্তা বা ভাবের স্ফূরণ দেখা যায়। এর কারন কি?
উ: উপবাস, রোজা রাখা শুধু ইসলাম ধর্মের বিধান তাতো না। অন্য ধর্মেও উপবাস থাকার বিধান আছে। পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম নাই যেখানে উপবাস, রোজা, কৃচ্ছসাধন বা নিজের শরীর ও আত্মার দিকে পরিষ্কার ও প (আরো পড়ূন)