এক
হেফাজতে ইসলাম এপ্রিলের ৬ তারিখে ঢাকা শহরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে প্রশাসনের সঙ্গে ওয়াদা অনুযায়ী ঠিক ঠিক পাঁচটার সময় শেষ করে ফিরে গেছেন। ঢাকা শহরের মানুষ শাপলা চত্বরে এতো আলেম ওলামাদের একসাথে কখনো দেখে নি, তারা বিস্মিত। কত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন তা নিয়ে সঠিকভাবে কোন পরিসংখ্যান না পাওয়া গেলেও সংখ্যাটা তাক লাগিয়ে দেয়ার মতোই ছিল। হেফাজতের এই লং মার্চ যেন না হতে পারে তার জন্য সরকার নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল; ঢাকাগামী সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করার পরও এতো মানুষ কি করে ঢাকায় এলো তা বিস্ময়ের ব্যাপার বটে।
হেফাজতের এই কর্মসুচী শেষ হয়েছে, তাঁরা নিজ নি (আরো পড়ূন)
বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের তপসিল ঘোষণা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গতি ও চরিত্রে গুণগত রূপান্তর ঘটিয়ে দিয়েছে। আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হবে। তীব্র হচ্ছে। শুরুতেই জনগণের লড়াই-সংগ্রামকে বানচাল করে দেবার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে আগুন দেওয়া ও দাঙ্গা লাগিয়ে সেটা ইসলামপন্থিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা চলেছে। বিশেষত গরিব ও অসহার মানুষদের। জনগণের সতর্কতার ফলে এই অন্তর্ঘাত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নি। কিন্তু বিপদ কাটে নি। কারন এই আন্দোলনকে বিনাশ করার জন্য এই ইস্যুটাই যথেষ্ট। অতএব সতর্ক নজর রাখতে হবে। জনগণকে বোঝাতে হবে, কিভাবে এই ধরণের ঘটনা নিজেরা ঘটিয়ে ইসলামের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। তারপর দুনিয়াব্যাপী প্রচার চলে ইসলাম কতো বর্বর ধর্ম। মুসলমানরা কতো নি (আরো পড়ূন)
এক
দুই নেত্রী সংলাপ করলে ও আগামি নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে একটি আপোষ রফা হয়ে গেলেই বাংলাদেশের সংঘাত-সংকুল রাজনীতি শান্ত হয়ে যাবে এই অনুমান নিয়ে পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে অনেকের নিরর্থক কথাবার্তা এখন বিরক্তিকর কোলাহলে পরিণত হয়েছে। পত্রপত্রিকা, টেলিভিশান ও ওয়েবপোর্টাল এমন সব অন্তঃসারশূন্য তর্ক করছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নাই।
‘সুশীল’ কথাটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিন্দার্থে ব্যবহার শুরু হয়েছে এক এগারোর পর থেকে। কিন্তু আমরা প্রশ্ন করতে পারি বাংলাদেশে সুশীল রাজনীতির কি কোনই ইতিবাচক ভূমিকা নাই? সুশীল রাজনীতি বলতে আমি সেই রাজনীতির কথাই বলছি যা সাধারণত ‘ল (আরো পড়ূন)
নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশান ফ্লাশ আউট’ – অর্থাৎ হেফাজতিদের শহর থেকে টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে গুলি মেরে বোমা ফাটিয়ে যে ভাবেই হোক তাড়িয়ে দিতে হবে। শহর সাফ করতে হবে। শহর ধনি ও বড়লোকদের জায়গা। ভদ্রলোকদের নগর। সুশীলদের রাজধানী। যাদের পাহারা ও রক্ষা করবার দায়িত্ব র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও মজুদ। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিকিউরড শাপলা’, অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একই অপারেশনের নাম দেয় ‘অপারেশন ক্যাপচার শাপলা’। চরিত্রের দিক থেকে এটা ছিল মূলত একটি সামরিক অভিযান। নিজ দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের বিরুদ্ধে সাঁজোয়া যান ও মারণাস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়া। (আরো পড়ূন)
এক
এপ্রিলের ৮ তারিখে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রচার করে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ যথারীতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংকটের সময় উদ্ধার করেছে। সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের তেরো দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। ছয়ই এপ্রিলে ঢাকা শহরের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে হেফাজতে ইসলাম শুধু নিজেদের আবির্ভাবকেই স্পষ্ট করে তোলেনি, একই সঙ্গে তাদের ১৩ দফা সামনে নিয়ে এসে সরকার ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সুশীলদের মহাবিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে। তাছাড়া ঢাকার কূটনৈতিক মহলও নড়েচড়ে বসেছিল। হেফাজতের মহাসমাবেশে এতো লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে এটা কারো কল্পনার মধ্যেও ছিল না।
হেফাজতে ইসলা (আরো পড়ূন)
হেফাজতি ইসলামের ছয় এপ্রিলের সমাবেশ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে টান টান উত্তেজনা এবং আতংকের সাময়িক অবসান ঘটেছে। সাময়িক এ কারণে যে সমাজের বিরোধ যে-রাজনৈতিক রূপ লাভ করেছে তাতে এই টান টান অবস্থার পরিসমাপ্তি সহজে ঘটবে না। বরং হেফাজতে ইসলামের মধ্য দিয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব আমরা দেখলাম। যাদের সম্পর্কে সমাজের ধারণা খুবই অল্প। বিদ্যমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বাস্তবতা ও চরিত্রের কারণে তারা তাদের ধর্মীয় দাবিকে রাজনৈতিক দাবি হিশাবে হাজির করতে সক্ষম হয়েছে। শহুরে ভদ্রলোক ও বিদ্যমান ব্যবস্থার সুবিধাভোগী শ্রেণি তাদের পশ্চাতপদ ও গণবিরোধী চিন্তাচেতনার আবর্জনা এরপরও ঘাঁটতে থাকবে। দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকবে তারা। বুঝতে চেষ্টা করবে না কেন ঘটনাটি ঘটল। এর আর্থ- (আরো পড়ূন)
ঘটনার শুরু ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগন হামলায়, যা ৯/১১ বলে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে বিশেষ ধরনের ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দেয় এবং তা নির্মূল করবার জন্য নতুন ধরণের যুদ্ধের সূচনা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য ‘আল কায়েদা’কে দায়ী করে। বুশের নেতৃত্বে আমেরিকা আল-কায়েদার রাজনীতি ও হামলা মোকাবিলার যে নীতি গ্রহণ করে তার বৈশিষ্টগুলো হলোঃ
১. খ্রিশ্চান ইভানজেলিক ধারায় আল কায়েদা নির্মূলের যুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে খ্রিশ্চান জগতের ক্রুসেড সাব্যস্ত করে লড়া।
২. “ওয়ার অন টেরর” বা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের ডাক দেয়া, এই ডাকের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রকে পক্ষে টানা। স (আরো পড়ূন)
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিভাষায় ‘নিউকন’ ধারনাটির প্রবর্তন ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সত্তর দশকের শুরুর দিকে, মাইকেল হ্যারিংটনের হাত ধরে। মাইকেল নিজেকে ‘সমাজতন্ত্রী’ বলে দাবি করলেও তাঁর রাজনীতি উদারনৈতিক মার্কিন গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল বা লিবারেলিজম থেকে আলাদা কিছু নয়। তিনি চান শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাভুটির নিয়ম মেনে সমাজতন্ত্র কায়েম বা একধরণের সহনীয় পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরণের লিবারেলদের সংখ্যা কম নয়। এই উদারনীতিবাদীরা ধর্ম নিরপেক্ষও বটে। কিন্তু সত্তর দশকের দিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেখা গেল এই উদারবাদী বা লিবারেলদের বিশাল একটি অংশ হঠাৎ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে নির্মম মার্কিন যুদ্ধনীতি (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও শক্তিও নতুন পরিস্থিতিতে নতুন ভাবে বিন্যস্ত হচ্ছে। ভীত সন্ত্রস্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুই পক্ষের মধ্যে কোন একটা সমঝোতার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে শশব্যস্ত। তারা চাইছে রাজনীতির প্রধান দুই প্রতিপক্ষ সংলাপে বসুক। কোন একটা ফর্মুলা বের করে নির্বাচন করুক। হীনবীর্য পাতিবুর্জোয়া নীতিবাগীশরা যথারীতি সহিংসতা নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্কে আসর গুলজার করে রেখেছে। জামাত-শিবিরকে দানব বানাবার কাজে সকল সৃষ্টিশীলতা ব্যয় করতে তারা কসুর করছে না, যেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর তার ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বাহিনী দিয়ে জামাতি দানবদের আরও নিখুঁত টার্গেটে হত্যা করতে পারে। অন্যদিকে জামাত বির (আরো পড়ূন)
পুলিশ যে ভাবে গুলি করে মানুষ মারছে তা নজিরবিহীন সন্দেহ নাই। কিন্তু এটা যে প্রথমবারের মত ঘটছে এমনটি নয়। বাংলাদেশ ডাকনামের যে ভু-অংশটিতে আমরা এতদিন আছি তার জন্মের সমান বয়স বর্তমানের গণহত্যার। আমরা দল বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলা, ক্রসফায়ার, গুম পার হয়ে গণহত্যায় পৌঁছেছি। বলাই বাহুল্য, এই সময়ের বিবেচনায় এর সাথে আরও নানা বা ভিন্ন ভিন্ন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়ে চলতি গণহত্যা আমাদের যে বিনাশের পথে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য। আমরা যদি মনে করি হঠাৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তালগোল পাকিয়ে গেছে আর দেশে গণহত্যা শুরু হয়েছে তাহলে বিপদের পালে হাওয়াই দেয়া হবে। নিষ্ঠার সাথে এই গণহত্যার পূর্বাপর খতিয়ে দেখতে হবে । কিন্তু এই দেখবার পথে একটা বড় মুশকিল হল মিডিয়া (আরো পড়ূন)
সরকার যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠিকে ‘নির্মূল’ করাই সরকারের উদ্দেশ্য। একে কেন গণহত্যা বলা হচ্ছে তাতে অনেকে আপত্তি করছেন। এই হত্যাযজ্ঞ যারা চালিয়ে যেতে চান তারাই এই প্রশ্ন তুলছেন। যদি রক্ত তারা ঝরাতে না চান তাহলে সকল পক্ষকে অবিলম্বে হানাহানি বন্ধ করবার জন্যই তারা ডাক দিতেন। কূটতর্ক করতেন না। কিন্তু তারা তা না করে এই হত্যাকাণ্ড গণহত্যা কিনা সেই কূটতর্কই শুরু করেছেন। আমি এর আগে বারবার বলেছি সরকার যেভাবে মানুষ হত্যা করছে সেটা গণহত্যাই। এই হত্যালিপ্সা নিবৃত্ত করা দরকার। পুলিশের প্রতিও দাবি জানাতে হবে যেন অবিলম্বে গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করে। জামাত-শিবিরকেও অবিলম্বে সকল প্রকার হামলা ব (আরো পড়ূন)
‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই’ শ্লোগান নিমিষে পরিণত হল ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি’ শ্লোগানে— ট্রাইব্যুনাল দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু দণ্ডাদেশ রায় ঘোষিত হওয়ার পর। আনন্দের ঢেউ বয়ে গেল শাহবাগ চত্বরে যেখানে ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ডাকে যুদ্ধাপরাধীদের ‘ফাঁসির’ দাবিতে সাধারণ মানুষ, মিডিয়া এবং তথাকথিত বামপন্থীরা ২৫ দিন ধরে অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে জামায়াত-শিবির-পুলিশ সংঘর্ষে মারা পড়ল ৬ পুলিশ সদস্য সহ ৫১ জন, আহত তিন শতাধিক এবং এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। কোথাও জামায়াত-শিবির পুলিশের উপর হামলা করেছে কোথাও পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলে গুলি করেছে। যেহেতু মরছে জামায়াত-শিবির মিডিয়াও একটি পক্ষ নিয়ে নিউজ ট্রিটমেন্ট দিচ (আরো পড়ূন)
নির্বিচারে পুলিশ গুলি করে একদিনে ষাটেরও অধিক মানুষ হত্যা করেছে, এখনও হত্যাযজ্ঞ চলছে। ফলে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা। এই বর্বরতার কঠোর নিন্দা করা। এর আগে ‘এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করুন’ বলে আবেদন জানিয়েছি সকল পক্ষের কাছে। কিন্তু তার পরিবর্তে এই হত্যাযজ্ঞকে কেন ‘গণহত্যা’ বলা হোল তা নিয়ে শোরগোল শুরু করে দিয়েছে দলবাজ ও মতান্ধরা। তারা বলছে জামাত শিবির পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, অতএব নির্বিচারে পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা জায়েজ। কারন মারা হচ্ছে জামাত-শিবির। তাদের দাবি, যেহেতু পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে অতএব ক্ষমতাসীন সরকারের গ (আরো পড়ূন)
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে পুলিশ যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে তাকে নির্বিচার গণহত্যা ছাড়া মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের দিক থেকে আর কিছুই বলা যায় না। বিক্ষোভ ও মিছিল দেখলেই গুলি করবার নির্দেশ পালন করছে পুলিশ। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে হত্যার উৎসব চলছে। কাদের মোল্লার রায়ে কেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হোল না একদল তার বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারির ছয় তারিখ থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে, দাবি করছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নয়, যেভাবেই হোক ফাঁসি দিতে হবে। ফাঁসির রায় ছাড়া শাহবাগ ঘরে ফিরবে না। আদালতের ওপর এই অন্যায় চাপ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটা ঘটছে প্রকাশ্যে। পেছনে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ক্ষমতার চাপ।
আদালত&nbs (আরো পড়ূন)
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোষ্ঠির মধ্যে নানান বিরোধ ও অমীমাংসিত প্রশ্ন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। তা সত্ত্বেও দলীয় সংকীর্ণতা ও বিভাজনই তীব্রতর হয়েছে, নতুন কোন দিশা হয়ে উঠতে পারে নি। রাজনৈতিক বাস্তবতা বর্তমানে এমন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে যা যেকোন সময় বিপজ্জনক বাঁক নিতে পারে।
নিয়ন্ত্রণহীন সংঘাতের আশংকা গত কয়েকদিনে আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশেষত, গত দুই সপ্তাহের ঘটনা-ঘটন সর্বশেষ যে সংঘাত প্রবণতা তৈরী করেছে তাতে অনেকের মত আমরাও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি যেভাবে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে তা কিছুতেই ইতিবাচক হবে বলে আমরা মনে করি না। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি বিস্তারিত হব (আরো পড়ূন)
‘কওমি মাদ্রাসাগুলি জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র’ আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের এমন আগ্রাসী মন্তব্যের পর সারাদেশের মাদ্রাসাগুলোর ছাত্রশিক্ষক, আলেমউলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে কওমি মাদ্রাসাগুলো নতুন করে আলোচনায় চলে আসে। পশ্চাৎ থেকে প্রচারমাধ্যমের উসিলায় তুমুল আক্রমণের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। সাথে সাথে মাদ্রাসার নেতৃস্থানীয় আলেমদের প্রবল প্রতিবাদ জনগণের কাছে মোটামুটি এটা বুঝাতে সক্ষম হযেছে যে, ঢালাও এবং উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নাই।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। সময় খুবই নাজ (আরো পড়ূন)
মাদরাসা শিক্ষা প্রসঙ্গে
ইসলামী শিক্ষার একটি গৌরবময় ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রায় ১৩০০ বছরের এই সময়ে ইসলামী শিক্ষাবীদরা জ্ঞানের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিলেন তৎপর, সরব এবং অগ্রসর। বিস্তৃত এবং সুবিশাল ইসলামী সাম্রাজ্য জুড়ে ইতিহাসখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্রগুলির প্রতিষ্ঠা ঘটে। এই বিস্তৃত সময়জুড়ে পৃথিবীতে শিক্ষার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব্ দিয়ে গেছে ইসলামী শিক্ষাবীদরাই। তা সত্ত্বেও অবাক করা একটি বিষয় বেশ লক্ষনীয়।
ইসলামী শিক্ষা দর্শন- এই শিরোনামে যেমন বর্তমানে, তেমনি পিছনের দিনগুলিতেও , খুব একটা কাজ হয়নি। এই অবস্থার যেমন দেখা মেলে পাশ্চাত্য জ্ঞান চর্চার পরিমন্ডলে, তেমনি ইসলামী বিশ্বেও। ইসলামী জ্ঞান চর্চার পরিমন্ডলে এই শিরোনামে কাজ না হওয়ার কারণ মোট (আরো পড়ূন)