তৈরি পোশাক কারখানা বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত। এই রপ্তানি খাতের ওপর আমাদের বৈদেশিক আয় নির্ভরশীল। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ঘামে ও পরিশ্রমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হয়। অথচ সবসময়ই তাদের মজুরি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়, শ্রমিকের রক্ত ঝরে। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবি সব সময়ই উপেক্ষা করা হয়েছে। কেন?
ন্যুনতম মজুরি ইস্যুকে সর্বোচ্চ জাতীয় রাজনৈতিক ইস্যু হিশাবে গুরুত্ব না দিয়ে নিছকই শ্রমিক আর মালিকদের দরকষাকষির বিষয় হিসেবে দেখা যাবে না। এটা রাষ্ট্রের সহায়তায় মালিকপক্ষের এক তরফা সিদ্ধান্ত নেবার বিষয় না। একদিকে গার্মেন্ট শ্রমিক এবং পাশাপাশি বিদেশে ঘাম ও রক্ত উজাড় করে পাঠানো রেমিটেন্সই আমাদের অর্থনীতির খুঁটি। (আরো পড়ূন)
মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানে মানুষের সংখ্যা খুব কম, মাত্র ৭৫ লাখ, তাদের দেশের আয়তন ১৪৩,১০০ বর্গ কিলোমিটার। তুলনায় বাংলাদেশের আয়তন ১৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার অথচ জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। অর্থাৎ প্রায় একই সমান আয়তনে তাজিকিস্তানে ১৭ গুন কম মানুষের বাস। শুধু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরেই প্রায় ২ কোটি মানুষ থাকে। তাজিকিস্তানে উঁচু পর্বত থেকে শুরু করে নিচে সমতল ভূমি – তার মানে এই সব অঞ্চলে যতো রকম ফসলের বৈচিত্র্য পাওয়া যাওয়ার কথা তাদের কাছে সবই ছিল এককালে, এখন অনেক কিছু হারিয়ে গিয়েও আছে। তাজিকিস্তান বিশ্বের শুষ্ক অঞ্চলের অন্যতম, তাই শুষ্ক অঞ্চলের ফসল এখানকার কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্য।
তাজিকিস্তান মূলত কৃষি প্রধান দেশ। কিন্তু পাহাড়ি। উঁচু পর (আরো পড়ূন)
২০ জুন, ২০১৯ তারিখে খুব ভোরে প্রায় সাড়ে তিনটায় টার্কিস এয়ারলাইনের বিমানে করে দুসাম্বে এয়ারপোর্টে পৌঁছালাম তখন সূর্য ওঠে নি। একটু আলো-আঁধারিতে নামলাম। ইস্তাম্বুলে দীর্ঘ যাত্রা বিরতি খুব আরামদায়ক ছিল না। আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টগুলো দিনে দিনে সাধারণ যাত্রীদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে উঠছে। ব্রান্ডের ডিউটি ফ্রী শপ নানান বিলাস সামগ্রীতে ভরা অথচ সাধারণ যাত্রীদের খাবার জন্য ভাল কোন ব্যবস্থা নাই। এই রুটটি প্রবাসী শ্রমিকদের রাস্তা, ভাবছিলাম যাতায়াতে তাদের কত না কষ্ট হয়। ইস্তাম্বুলে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হয়েছে দীর্ঘ আট ঘন্টা বসে থাকতে।
দুসাম্বে এয়ারপোর্ট ছোট, চার পাশে পাহাড়ের সারি, ভোরের আলোতে সুন্দর দেখাচ্ছিল। কিন্তু পাহাড়গুলোকে কেমন যেন ন্যাড়া মনে হচ (আরো পড়ূন)
সবুজ বিপ্লবের রাজনীতি, বিষ ও প্যাকেজ
গত শতাব্দির মাঝামাঝি সময় থেকে কৃষির কৃৎকৌশলে পরিবর্তন আনবার পরিপ্রেক্ষিতে বীজের ধারণায় এবং বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনা হয়। সরকারি উদ্যোগে হলেও সেটা ছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। ফসলের একাংশকে বীজ হিশাবে সংগ্রহে রাখা, বীজ বাছাই, পরের মৌসুমে বীছন তৈরি এবং জমির বৈচিত্র ও বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে বিভিন্ন জাতের ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত কৃষক পরিবারই নিতেন। সেখানে কৃষক নারীর প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকত। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষ ভাবে চিনে, কৃষকদের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টি কৃষকদের সংগঠিত করে এবং গণযুদ্ধ ও রাজনৈতিক বিপ্ল (আরো পড়ূন)
থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহাচক্রী সিরিধরন চট্টগ্রামে ঘাস রোপন করছেন, এই ছবিটি আমার মনে গভীর ভাবে দাগ কেটেছে। ঘাস রোপন করা যে একটি রাজকীয় কর্ম হতে পারে রাজকুমারির বিন্না ঘাস রোপন দিয়ে বুঝতে পারছি। কিন্তু এই রাজকীয় বার্তা সবার কাছে এবং সর্বদিকে ঠিকমতো পৌঁছালো কিনা হলফ করে বলতে পারব না। আমার ভাল লাগছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করি বলে ঘাসের প্রতি আমার মমতা অতিশয় গভীর, রীতিমতো আধ্যাত্মিকতার স্তরের মায়া বলা যায়। তাই এখন তুচ্ছ ঘাস নিয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করব।
ঘাস রোপন 'বিন্না ঘাস উন্নয়ন কেন্দ্র' উদ্বোধনের অংশ। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বিন্না ঘাস ব্যবহার করে পাহাড়ে ভূমিক্ষয় রোধ করা। চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় বিন্না ঘাস উন্নয়ন প্র (আরো পড়ূন)
পদ্মার চর সংলগ্ন কল্যাণপুর গ্রামে গরিব নারীদের প্রধান আয়ের উৎস ছাগল পালন। এই গ্রামে ২৫ থেকে ৩০ টি পরিবার ছাগল পালন করেই সংসার চালান। এদের জায়গা জমি নেই। এই সব পরিবারের পুরুষরা ইটের ভাটায় অথবা ভ্যান চালানোর কাজ করে। গ্রামটি কুষ্টিয়া জেলায় কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নে অবস্থিত। ইতিমধ্যে গ্রামটি মিডিয়াতে পরিচিত হয়ে গেছে ‘ফসলের ক্ষেতে নারীদের যাওয়া নিষেধ’ এই শিরোনামে। এদিকে এই গ্রামের কৃষকের প্রধান ফসল কলার আবাদ। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষকেরা কলার আবাদ করে। বাণিজ্যিক চাষে কৃষকদের কলা চাষে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে হয়। কাজেই কলার বাগানে কোন প্রকার সমস্যা হলে তাদের বড় লোকসান গুনতে হয়।
ছাগল পালনের জন্য আলাদা কোন তৈরী খাদ্যের জন্য (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশে মনসান্তো অপরিচিত নয়। বিশেষত বিকৃত বীজ ও ফসলের জন্য এই কোম্পানি সারা দুনিয়াতেই পরিচিত। বিকৃত বীজকে ইংরেজিতে সংক্ষেপে জিএমও (জেনেটিকালি মডিফাইড অরগানিজম) বলা হয়। ‘মডিফাইড’ শুনলে মনে হয় বুঝি বীজের স্বভাবে বিকৃতি না ঘটিয়ে কেবল আরও উন্নত করা হয়েছে। বীজের স্বাভাবিক গঠন অক্ষূণ্ণ রেখে তাকে আরও উন্নত করা, বীজের কাছ থেকে আরও ভালো ফসল আদায় করে নেওয়া খারাপ কিছু নয়। কৃষক সব সময়ই এই কাজটি ভাল বীজ পাবার জন্য জমি থেকে ভালো বীজ নির্বাচন কিম্বা বীজের বিশেষ গুণ আদায় করে নেবার জন্য উন্নত জাতের সঙ্গে সংকরায়ন করে। ফলে জেনেটিক মডিফিকেশান কিম্বা গঠনসংকেতে ( Gene) বীজের স্বাভাবিক প্রকৃতি অক্ষূণ্ণ রেখে সংস্কার মোটেও মন্দ কিছু নয়।
(আরো পড়ূন)
ভাবছিলাম কোন ঘটনা কিম্বা ছোটখাট লক্ষণ দেখে সমাজে চিন্তাভাবনার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে কমবেশী নিশ্চিত কোন ধারণা করা সম্ভব কিনা। যার ভিত্তিতে সমাজের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে আগাম কিছু বলে দেওয়া হয়তো সম্ভব।
এভাবে কল্পনা করুন। চৈত্রের দাবদাহ, খাঁ খাঁ রোদ। আপনি গ্রামে। দেখছেন গ্রামের একজন অসহায় অভাবী মহিলা একটি পুকুরের প্রশস্ত পাড়ের পাশে এসে অঝোরে কাঁদছে। এটা ছোটখাট পুকুর নয়। গ্রামের মোটামুটি ধনির পুকুর। মহিলার হাতে তার ছাগলের দড়ি্র একটি প্রান্ত। হয়তো এই পশুটিই তার জীবনের একমাত্র সম্বল। একটি পুকুরের পাড়ে ছাগলকে ঘাস খাওয়াবার জন্য চরাতে এসেছিল। কিন্তু এসে দেখছে পুকুরের মালিক আগাছানাশক দিয়ে সবগুলো ঘাস মেরে ফেলেছে। ঘাসগুলো যেন কেউ আগুনে পুড়ে দ (আরো পড়ূন)
বন্ধু আহমদ ছফা প্রচণ্ড খরা, উত্তরবঙ্গের মরুকরণ এবং ভয়াবহ পানি সঙ্কটের কথা উঠলেই কমপক্ষে পাক্কা আধাঘণ্টা ধরে দুটো বিষয়ে কথা বলে যায়। এক নম্বর হলো, মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা মিছিল। দুই নম্বর, শেখ মুজিবুর রহমানের ভারতনীতি। আমি জানি আমার মতো আরো অনেকে এই দুই বিষয় নিয়ে কথা বহুবার শুনেছে কিংবা শুনতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, ছফা যখন কোনো বিষয়ে তার মতামত নির্ধারণ করে ফেলে তখন তার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে সেই সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এমন কোনো কাজ নাই যা সে করে না। এক কথা হাজার বার বলার ‘কৌশল’ টা এই নিষ্ঠার অংশ। তবুও তার কথা বার বার শুনতে কেউ বিরক্ত হয়েছে সেই খবর কখনো কানে আসে নাই। কারণ হলো, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সংস্কৃতির অত্যন্ত মৌলিক প্রশ্ন (আরো পড়ূন)
[এক]
মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরির কাছে আমি একটি দরখাস্ত পেশ করব। কিন্তু তার আগে নিজের সম্পর্কে দুই একটি কথা না বলে পারছি না।
আমি কৃষকদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেতখামারে কাজ করছি। এটা গ্রাম বা কৃষিব্যবস্থার প্রতি কোন রোমান্টিক ধারণার বশবর্তী হয়ে নয়। তবে অনেকের মতোই শহরের চেয়ে গ্রাম আমার ভাল লাগে। নিজেকে অনেক সময় প্রশ্ন করি, ভাল লাগার ব্যারামটা শহরের ‘গেঞ্জাম’ থেকে দূরে থাকার বাসনা কিনা। কিন্তু সবসময়ই নেতিবাচক উত্তর পাই। কারন শহরও আমার ভাল লাগে, কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। দিনানুদিনের লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে শহরে সাধারণ মান (আরো পড়ূন)
আবুল মনসুর আহমদরে অনেকেই কেবল ব্যঙ্গ লেখক হিশাবে চিনতে চান। কিন্তু তাকে কেবল ব্যঙ্গ লেখক মনে করা তাঁকে ব্যঙ্গের শামিল। এতে তাঁর আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান আড়াল হইয়া যায়। ১৯৪৭ সালের আগের ও পরের ইতিহাস, বিশেষ কইরা আমাদের এই অঞ্চলের কৃষি প্রশ্ন ও তার রূপান্তর জানতে বুঝতে চাইলে আবুল মনসুর আহমদরে বাদ দিয়া সেইটা এক প্রকার অসম্ভব। তিনি ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ নামে একটা আত্মজীবনী লেইখা গেছেন। যেইটা নিছক আবুল মনসুরের আত্নজীবনী না, আমাদের এই ভু-খন্ডের আত্মজীবনীও বটে।
বইটা বিশাল, পুরা বইয়ের আলোচনা এইখানে সম্ভব না। আমরা শুধু কৃষক-প্রজা পার্টির ইতিহাসে নজর ফিরাব। আমাদের ইতিহাস আলোচনায় কৃষক-প্রজা পার্টি নিয়া আলোচনা করতে দেখা যায় না। (আরো পড়ূন)
উবিনীগ ও নয়াকৃষি আন্দোলনের ধান মেলা ও কৃষক সমাবেশ
ডিসেম্বর মাসের দুই থেকে চার তারিখ উবিনীগ ও নয়াকৃষি আন্দোলনের ধানমেলা ও কৃষক সমাবেশ হয়েছিল টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার রিদয়পুর বিদ্যাঘরে। নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উবিনীগ’ এর একটি উদ্যোগ হচ্ছে নয়াকৃষি আন্দোলন। দেশীয় বীজের সংরক্ষণ, পুনরুৎপাদন, খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা এবং রাসায়নিক সার ও কীট নাশক মুক্ত চাষাবাদ বিস্তারে মেলাটির আয়োজন করা হয়। উনিশটি জেলা থেকে দুই হাজার কৃষক মেলায় যোগ দিয়েছিলেন। মেলায় ছিলেন চিন্তার নিজস্ব প্রতিবেদক আতাউর রহমান রাইহান
‘আঁরা কত সোন্দর আছিলাম!’
নিজের নাম ঠিকানা জানি (আরো পড়ূন)
ধানের বৈচিত্র রক্ষা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম
উবিনীগ ও নয়াকৃষি আন্দোলনের আয়োজনে দুই থেকে চার ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের রিদয়পুর বিদ্যাঘরে ধান মেলা ও কৃষক সমাবেশ চলছে। মেলায় বিভিন্ন এলাকার নয়াকৃষির কৃষকদের সংগৃহীত ধানের বীজের প্রদর্শনী চলবে। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। এসবের পাশাপাশি ডিসেম্বরের তিন তারিখে বিশ্ব কীটনাশক বন্ধ দিবস উপলক্ষে সকাল নয়টায় মিছিল হবে। চার ডিসেম্বর হবে কৃষকদের শপথ অনুষ্ঠান। এছাড়া প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে একটা পর্যন্ত ও বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দুটি অধিবেশ (আরো পড়ূন)