এক জায়গা থেকে সরিয়ে শাড়ি পরা দেবি থেমিসকে আবারও আদালত প্রাঙ্গনে পুনর্স্থাপন করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘গ্রিক দেবী থেমিসের এই প্রতীককে চিরতরে পরিত্যাগ করতে হবে”। কারন হিসাবে বলেছেন, শাড়ী পরা দেবি থেমিসকে ‘জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে’ স্থাপন করা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গনে শাড়ি পরা থেমিসের মূর্তি কোন প্রত্নতাত্ত্বিক বা ঐতিহাসিক ভাস্কর্য নয় যে একে রক্ষা করবার কোন প্রত্নতাত্ত্বিক কিম্বা ঐতিহাসিক যুক্তি আছে। আদালত প্রাঙ্গনে এই প্রকার কোন দেবিমূর্তি বসাবার কোন ইচ্ছা বাংলাদেশের জনগণ ব্যক্ত করে নি। জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের বিরোধী এই দেবিকে বাংলাদেশের কোথাও স্থান দেয়া যাবে না। ‘গণমানুষের সকল (আরো পড়ূন)
আর ক’দিন পরেই ঈদ। পুরো এক মাস সিয়াম সাধনার পর সব মানুষের জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঈদ খুশি বয়ে আনে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ঢাকা শহরে ঈদের বাজারের জন্য রাস্তায় বের হওয়া যায় না, ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকা লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, টেলিভিশনে ইফতারের আয়োজনে নানা সু-স্বাদু খাবারের ছড়াছড়ি দেখানো হয়, ঈদের বাজারের দামি দামি কাপড় কেনাবেচার প্রতিবেদন দেখানো হয়। তখন বোঝা যায়, রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। এদেশে আনন্দের সীমা নেই। তার ওপর বিশ্বব্যাংক বলে দিয়েছে, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছে, শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে যাবে। সবাই সুখে আছে! সুখে থাকবে। ক্রিকেট খেলার জয়ে উল্লসিত বাংলাদেশের তরুণরা, মিরপুর স্টেডিয়ামে তাদের ভিড় লক্ষণীয়। আমরা তো তাই চা (আরো পড়ূন)
কর্তৃত্ব থাকলেই ব্যবহার ঠিক না
‘আদালত অবমাননা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ ও আদালতের রায়ে ‘আদালতের কর্তৃত্ব’ (authority) নিয়ে একটা কথা উঠেছে। এর অর্থ কী আসলে? এই প্রসঙ্গে ‘আদালতের কর্তৃত্ব ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি লেখা লিখেছিলাম। চিন্তা ওয়েবে তা খানিক সংস্কার করে তোলা আছে।
সেখানে দেখিয়েছিলাম জনগণকে বাদ দিয়ে কিম্বা জনগণের উর্ধে ‘আদালতের কর্তৃত্ব’ নামক বিমূর্ত বা ঐশ্বরিক কোন ক্ষমতা নাই। আদালত জনগণের অভিপ্রায়ের অধীন আর সেই অভি (আরো পড়ূন)
'আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন' --- আদালতকে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী
বাংলাদেশের সংবিধান ঘোষণা করে যে 'চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল' [গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ৩৯ (১)]। প্রশ্ন হচ্ছে, আদালত কি নাগরিকদের এই সাংবিধানিক অধিকার হরণ করতে পারে? উত্তর হচ্ছে, না। যদি তা করে তাহলে নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করবার কারণে আদালত নিজেই নিজের সাংবিধানিক কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ করে ফেলে।
আদালত পুলিশও নয়, মিলিটারিও নয়, কিম্বা নির্বাহী প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলও নয় – তাহলে ‘আদালতের কর্তৃত্ব’ (আরো পড়ূন)
আদালতে বাংলা ভাষা পুরাপুরি প্রবর্তন না হবার অর্থ সাধারন ভাবে আদালত, তবে বিশেষ ভাবে উচ্চ আদালত সংবিধান মানেন না এবং নিজেদের সংবিধান ও প্রজাতন্ত্রের অধীন গণ্য করেন না। উচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে এই আভিযোগ গুরুতর, হাল্কা ভাবে নেবার কোন উপায় নাই। সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ লিখিত থাকবার পরেও সংবিধান আদালতের জন্য কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। উচ্চ আদালতে বাংলার প্রচলন হয় নি। আদালত সংবিধান উপেক্ষা, অস্বীকার বা ভঙ্গ করতে পারে এই দৃষ্টান্ত বিচারব্যবস্থা ও রাষ্ট্র উভয়ের জন্য বিপজ্জনক। এর জন্য উচ্চ আদালতকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় নি বা হয় না। এই বাস্তবতা আমরা কী ধরণের রাষ্ট্র তৈরি করেছি তার একটি ভাল লক্ষণ। (আরো পড়ূন)
এক
ডক্টর কামাল হোসেন, শুধু গণতন্ত্রে আর সন্তুষ্ট নন, তিনি ‘কার্যকর গণতন্ত্র’ চান (দেখুন,‘Quest for a working democracy: Consensus on neutral election period government’ , দৈনিক ডেইলি স্টার ৬ ডিসেম্বর ২০১৩; একই নিবন্ধের অনুবাদ দেখুন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার ঐক্যমত্যের সন্ধানে’, দৈনিক প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর ২০১৩)। তিনি আইনজীবী। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার চূড়ান্ত দলীয়করণ ঘটেছে, তারপরও তিনি বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে তোলার জন্য আইনের মধ্যে থেকে একটা সমঝোতা চান। সেই পথ হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের শরণাপ (আরো পড়ূন)
এক
বিচারকরা সমাজের বাইরের কেউ নন, সমাজের উর্ধেও নন। সমাজের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক মেরুকরণ সমাজের আর দশজনের মতো তাদেরকেও স্পর্শ করে। এই সীমাবদ্ধতা জেনেও কাকে ‘বিচার’ বলা যায় আর কাকে ‘বিচার’ বলা যায় না সে ব্যাপারে বিচারশাস্ত্রের আইনী ও ব্যবহারিক দিক থেকে কিছু ‘মানদণ্ড’ ঐতিহাসিক ভাবে গড়ে উঠেছে, যাকে আজকাল ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড’ বলা হয়।
ঐতিহাসিক ভাবে গড়ে ওঠা কথাটার তাৎপর্য বোঝা দরকার। এই অর্থেই বিচারের মানদণ্ড ঐতিহাসিক যে কাকে ‘বিচার’ বলা হবে আর কাকে বিচার বলা হবে না সেটা কেউ ওয়াশিংটনে, জেনিভায় বা ইংলণ্ (আরো পড়ূন)
“আমি হচ্ছি ভাঙা কুলা। পঞ্চম সংশোধনী থেকে শুরু করে ত্রয়োদশ সংশোধনী পর্যন্ত সবগুলো রায়ই আমাকে দিতে হয়েছে” - সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, মানবজমিন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা বিচার করে বিদ্যমান গণবিরোধী অগণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের রাজনীতি কী হতে পারে তার নীতি ও কৌশল নির্ধারণই এখন বাংলাদেশের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। সেই দিকে নজর রেখে কয়েক কিস্তিতে লেখা শুরু করেছিলাম, প্রথম লেখা ছিল ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আঞ্চলিক উত্তাপ’ (এখানে দেখুন) । তবে অনিবার্য কারনে লেখার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে (আরো পড়ূন)
একটি রিট আবেদনের মামলায় মাননীয় বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২১ জুন শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিশাবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০০২ সালে গঠিত প্রত্যয়ন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে বলে অভিমতও দেওয়া হয়েছে। প্রফেসর এমাজউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০০২ সালে গঠিত প্রত্যয়ন কমিটির তিনি একজন সদস্য। তিনি তাঁর আত্মপক্ষ ব্যাখ্যা করে একটি ব (আরো পড়ূন)