চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

ভাসানী ও নতুন বৈপ্লবিক চিন্তার পুনর্গঠন

ভাসানী নিয়ে আমার পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে তরুণ সমাজের পক্ষে হাফিজ আল- মুতাসিম আমাকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন।

১. বাংলাদেশে প্রচলিত ইসলামপন্হার রাজনীতির সাথে ভাসানীর পার্থক্য ও গুরুত্ব কোথায়?

২. মুজিব জিয়া পরিবারতন্ত্রের দাগের বাহিরে ভাসানী আদর্শের জাগরণ ও সম্ভাবনা কতটুকু?

৩. আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠাতা ও কাগমীর সম্মেলনে 'আসসালামু আলাইকুম', বলনে ওয়ালা জননেতা ভাসানীর রাজনৈতিক অন্তিমকাল কেমন ছিলো ও কেন?

বলা বাহুল্য, তরুণদের প্রতি আমি দায় বোধ করি। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বড় বিষয়, কিন্তু সংক্ষেপে দুই একটি কথা বলবো।

ভাসানীর যে কোন জীবনী গ্রন্থে তৃতীয় প্রশ্নের কিছুটা হলেও উত্তর পাওয়া যাবে। তাই বাদ রাখছি।

ভাসানী-আদর্শের (আরো পড়ূন)

ভাসানী ও প্রচলিত ইসলামপন্থা

আরেকটি প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রচলিত ইসলামপন্হার রাজনীতির সাথে ভাসানীর পার্থক্য ও গুরুত্ব কোথায়? ('ভাসানীঃ বৈপ্লবিক চিন্তার পুনর্গঠন' দেখুন)< (আরো পড়ূন)

ভাসানী আছেন, আমাদের ভয় নাই

আজ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর (১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ – ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬) জন্ম দিন। বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স আজ ১৩৫ বছর হোত। তাঁর মৃত্যু আর জন্মের দিনটি আমি সাধারণত মনে রাখার চেষ্টা করি। গত বছরও এই দিনে তাঁকে নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। একটা সময় গিয়েছে যখন তাকে বিদ্রোহ ও বিপ্লবের খুব সরল ফ্রেমে বেঁধে রেখে ভাবতাম তাঁকে বোধহয় আমার বোঝা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু সেই বাঁধানো ফ্রেম ভেঙ্গে যেতে খুব সময় লাগে নি। আমরা যখন বাংলাদেশে বড় হচ্ছিলাম তখন আসামের ভাসান চরের মওলানা সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানতাম না। সেটা জেনেছি পরে, তাঁকে আরও ভালোভাবে বোঝার তাগিদে। বাংলাদেশের তরুণরা তাঁর সম্পর্কে কতোটা জানে তা এখন আমি আর নিশ্চিত নই। কিন্তু তাঁকে না জেনে বাংলাদেশের প (আরো পড়ূন)

ভাসানীঃ যেন তিনি থাকেন

আজ ১২ ডিসেম্বর। গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলাম। দুই-একটি পত্রিকা কানাকুঞ্চিতে ক্ষুদ্রভাবে মনে করিয়ে দিয়েছে। তবুও বলি, শুকরিয়া।

মরিজন বিবি এই তারিখে ১৮৮০ সালে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। হাজী শরাফত আলী খানের পুত্র। সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রাম ব্রিটিশ আমলে কেমন ছিল, এখন অনুমান করার উপায় নাই। বুঝতে পারি, যাকে আমরা অতি পশ্চাৎপদ গ্রাম হিসেবে ট্যাগ মারতে পছন্দ করি, ধানগড়া সেই রকমই ছিল। শরাফত আলী খান ছেলেকে মক্তবেই পড়িয়েছিলেন। ছেলে মক্তবে কিছুদিন শিক্ষকতাও করেছিলেন। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম চলে যান। তারপরের ইতিহাস উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী লড়াই ও জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি যুক্ত। এ লড়াইয়ের নায়ক হচ্ছে এ (আরো পড়ূন)

মওলানা ভাসানী ও নতুন বিপ্লবী রাজনীতি

 ভাসানী আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু বছর হোল। ইতিমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়েছে, চিন পুঁজিতান্ত্রিক অর্থনীতির পথ ধরেছে এবং পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে সকল দোষ আছে সেইসব বহন করবার পরেও অর্থনৈতিক সাফল্য বা বিপুল হারে ‘প্রবৃদ্ধি’দেখিয়ে দুনিয়ায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে।। এই সাফল্য রাজনৈতিকও বটে। এই অর্থে যে চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকে উৎখাত করে চিনের পুঁজিতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটে নি। কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় বহাল তবিয়তেই আছে। শুনতে স্ববিরোধী হলেও কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে পুঁজিতান্ত্রিক রূপান্তর বা লেনিনের ভাষায় বলা যায় শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কের ‘দ্রুত ও ত্বরান্বিত’ বিকাশ ঘটেছে। যারা সরাসরি মার্কস বা লেনিন (আরো পড়ূন)

'সবুজ' ভাসানি ,লাল 'ভাসানি' ?

‘কুকুর চিল্লায়, কিন্তু কাফেলা থামে না, কারন তাকে চলতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে সামনে, সম্মুখের গন্তব্যে।'
- একটি প্রাচীন আরবি প্রবাদ

সতেরো নভেম্বর ১৯৭৬ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি জন্মেছিলেন ১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ তারিখে। তাঁর জন্মদিন বা মৃত্যুদিন নিয়ে বাংলাদেশে কখনই বড় কোন আয়োজন চোখে পড়ে নি। এমনকি অনেক সময় দেখেছি তার জন্মদিন ও মৃত্যুদিন খুবই নীরবে পার হয়ে গিয়েছে।

বাঙালি বা বাংলাদেশীদের সম্পর্কে যে অভিযোগ সাধারণত শোনা যায় সেটা সত্য বলেই মনে হয়। যেমন, এরা এমন এক জনগোষ্ঠি যারা প্রবৃত্তি ও আবেগের জগত ত্যাগ করে স্মৃতি, বুদ্ধি, বিচার ও কল্পনার (আরো পড়ূন)