এক
জাতীয় ইনসাফ কমিটি গত ১৬ মার্চে তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ নতুন ভাবে ‘গঠন’ করবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। বাংলাদেশে চিন্তার দুর্ভিক্ষ এতোই প্রবল যে দৈনিক পত্রিকাগুলো গণরাজনৈতিক সত্তা হিশাবে রাষ্ট্রের ‘গঠন’-কে স্রেফ আইনী ব্যাপার ধরে নিয়েছে। তাদের রিপোর্টে সকলেই লিখেছে আমরা নাকি নতুন সংবিধান চাইছি। অথচ আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছি। বলেছি, রাষ্ট্র স্রেফ ‘আইনী’ প্রতিষ্ঠান নয় যে উকিল-ব্যারিস্টারদের ধরে এনে একটি টুকলিফাই সংবিধান লিখে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। এই ধরনের ধ্যান ধারনা কলোনিয়াল হ্যাঙ্গওভার। ইংরেজের শাসন করবার দরকার হয়েছে, তাই তারা একটা 'শাসন (আরো পড়ূন)
এক
রাজনৈতিক প্রস্তাবনা হিশাবে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- অতিশয় সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই গুরুত্বটুকু আমরা দিতে চাই। এর কারন হচ্ছে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এটি পেশ করা হয়েছে। জনগণ এই লড়াই থেকে বিএনপির কাছ থেকে কি পেতে পারে তার একটি ধারনা আমরা এই দলিলে পাই। অর্থাৎ আন্দোলনকে বেগবান করবার জন্য এই ধরনের রূপরেখা জনগণের সামনে হাজির করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের কাছে আন্দোলন সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ, তাই রূপরেখাকে আমরা প্রাধান্য দিতে চাই।
জনগণ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য (আরো পড়ূন)
আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণরাজনৈতিক চেতনা বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ পর্যালোচনা করছি। রাষ্ট্র ‘মেরামত’ করা জরুরি হয়ে পড়েছে এই দাবি শিশু কিশোরদের (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের রাজনীতির দুর্ভাগ্য হচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিক শ্রেণীর উপস্থিতি যেমন নাই, তেমনি কৃষকও হাজির নাই। জাতীয় রাজনীতিতে হতদরিদ্র সর্বহারা এবং বিভিন্ন মেহনতজীবী জনগণকেও আমরা হাজির দেখি না। দ্বিতীয়ত তথাকথিত প্রতিনিধিত্বমূলক গমতন্ত্র (?) জনগণকে স্রেফ ভোটের সংখ্যায় পর্যবসিত করে। বিএনপি আওয়ামী লীগের মতোই জনগণকে ভোটের সংখ্যা হিশাবে বোঝে। এর অধিক কিছু বোঝার কোন বাধ্যবাধকতা বিএনপির নাই। কারণ বিএনপি শ্রেণী রাজনীতি করে না। কিন্তু 'জনগণ' স্রেফ সংখ্যা নয়। গণরাজনৈতিক ধারার বিকাশের জন্য তাই বিভিন্ন শ্রেণীর আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সত্তার বিচার জরুরি। কিন্তু তথাকথিত নির্বাচন-সর্বস্ব গণতন্ত্রে সেটা বোঝার প্রয়োজন পড়ে না। ক্ষমতার বৈধতা নির্ব (আরো পড়ূন)
কিছুদিন আগেও আমরা প্রায়ই শুনতাম দল হিশাবে বিএনপি শেষ হয়ে গিয়েছে, একদিকে ভুল রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা এবং অপরদিকে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমখুন হাজার হাজার কর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ এবং লক্ষ লক্ষ কর্মীর মাথার ওপর মামলা ঝুলিয়ে রেখে তাদের ঘরছাড়া করা ইত্যাদি নানা কারনে বিএনপির পক্ষে আর জাতীয় দল হিশাবে দাঁড়ানো সম্ভব না, ইত্যাদি। এই সময় ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো গড়ে উঠেছিল এবং তাদের ছোট বড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি বিরোধী গণরাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু বিএনপির দিক থেকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদান যুক্ত হয়েছে সেটা হচ্ছে বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের সংগঠিত করবার চেষ্টা করে গিয়েছে, তার (আরো পড়ূন)
বিএনপি ‘দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত এক সুকঠিন ‘জাতীয় ঐকমত্য’ চায়। কিন্তু ‘দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত এক সুকঠিন ‘জাতীয় ঐকমত্য’ বলতে বিএনপি কি বোঝে? কিম্বা আমরাই বা এর দ্বারা কি বুঝেছি? ‘দেশ প্রেম’, 'জাতি' ‘জাতীয় ঐক্য’ ইত্যাদি আবেগী ধারণা। রাজনীতিতে আবেগের দরকার হয়, তার ব্যবহার আছে। সাধারণ মানুষের কাছে দেশ অরধানত তার 'আবাস', তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, সংস্কৃতি, ইত্যাদি। কিন্তু লুটেরা ও ধনী শ্রেণীর কাছে দেশ নিছকই তাদের অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি ও ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি স্ফীত করবার উপায় মাত্র। তারা চাইলেই দেশ ছেড় (আরো পড়ূন)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ (An Outline of the Structural Reforms of the State) তুলে ধরেছেন। এই ঘোষণা উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দশই ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। গোলাপবাগ সমাবেশে বিএনপি তার দশ দফা পেশ করেছিল। আমরা তখন বিএনপির সমাবেশের সাফল্যকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ বলেছি। কিন্তু গোলাপবাগ সমাবেশে ঘোষিত দশ দফাকে বলেছি, 'যাহা বাহান্ন তাহাই তেপ্পান্ন'। সমাবেশে জনগ (আরো পড়ূন)
১.
পাকিস্তান আমল থেকেই গণতন্ত্র কায়েমের প্রশ্ন স্রেফ নির্বাচনী প্রশ্ন, অর্থাৎ নির্বাচন করা বা না করা, কার অধীনে নির্বাচন হবে, কিভাবে হবে -- ইত্যাদি তর্কের মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরও আজ অবধি সেই তর্কের অবসান হয় নি। বাংলাদেশ পুরানা প্রত্নতাত্ত্বিক ভাঙা রেকর্ডের মতো নির্বাচনসর্বস্ব পাকিস্তানী রাজনীতিই করে যাচ্ছে। নির্বাচন আর গণতন্ত্র সমার্থক নয় -- এই অতি প্রাথমিক জ্ঞানটুকু আমরা আজও অর্জন করতে পারি নি।
‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ও রাষ্ট্র ‘গঠন’ করবার ধারণা যে একদমই ভিন্ন ও পৃথক এবং গণতন্ত্র কায়েম যে আসলে সকল শৃংখল থেকে মুক্ত স্বাধীন জনগণের (আরো পড়ূন)
গত ২৫ ডিসেম্বর (২০২১) প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফিউজে) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ হিশাবে লেখাটির সারসংক্ষেপ পেশ করেছি। কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনাও করেছি। পুরা নিবন্ধটি এখানে পেশ করা হোল।
বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং এখনকার সুনির্দিষ্ট কর্তব্যের আলোকে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট নিয়ে কিছু কথা বলবার জন্য এই খসড়া। উদ্দেশ্য হচ্ছে কিছু বিষয় কেন্দ্র করে আলোচনার সুত্রপাত ঘটানো। আমি মতবাদী নই, অর্থাৎ আগাম নির্ধারিত বদ্ধমূল মতের বোঝা বেড়ানো আমার ধাতে নাই। অতএব এখানে উদ্দেশ্য হবে চিন্তা উসকে দেওয়া, যেন আমরা বদ্ধমূল চিন্তার খোপ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ভ (আরো পড়ূন)
১. ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ, মিছিল, জনসভা
অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশে অল্প কয়েকটি কোটিপতি এবং মাফিয়া পরিবার ছাড়া অধিকাংশ মানুষই অতিশয় খারাপ অবস্থায় আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোটিপতি আমানতকারী ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন। দেশে আয়বৈষম্য বাড়ছে বিপুল ভাবে। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় আয় বৈষম্যের যে মাত্রা সহনীয় বলে গণ্য করা হয় বাংলাদেশ তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে দাঁড়
(আরো পড়ূন)
[এক]
বাংলাদেশের আগামি রাজনীতির অভিমুখ সঠিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দুটো ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে নিজেদের ‘স্বাতন্ত্র্য’ সঠিক ভাবে নির্ণয়, উপলব্ধি এবং তা কার্যকর ভাবে প্রকাশ করবার সঠিক ভাষা ও রণধ্বণি আবিষ্কার। অর্থাৎ কেন জনগোষ্ঠি হিসাবে আমরা স্বতন্ত্র সেই উপলব্ধি এবং তা প্রকাশের উপযুক্ত ভাষা আমাদের থাকা চাই। একই ভাবে অন্য জনগোষ্ঠির সঙ্গে আমাদের পার্থক্যও বোঝা দরকার। যেমন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বাঙালি, কিন্তু তারপরও পশ্চিম বাংলার যে বাঙালি নিজেকে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে ‘ভারতীয়’ গণ্য করে, আমরা তাদের চেয়ে ভিন্ন। কিন্ (আরো পড়ূন)
ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়বেন না
বাজেটের পরিসংখ্যান নিয়ে তর্কাতর্কি পরে করুন। গণিত পরে। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেবেন না। সহজ করে ভাবুন, যাতে সহজ ভাবে ট্যাক্স ব্যাপারটা কী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল আল আব্দুল মোহিত চাইলেই জনগণ রাষ্ট্রকে দিতে বাধ্য কিনা বুঝতে পারেন। রাষ্ট্র আপনার কাছ থেকে নানান ধরনের খাজনা নিচ্ছে। কেন নিচ্ছে? কারন রাষ্ট্রের খর্চাখরচ আছে। যেমন, পুলিশ-র্যাব-সেনাবাহিনী-আমলাদের বেতন, জাতীয় সংসদের সদস্যদের বেতন, রাস্তাঘাট তৈরিতে খরচ, বড় বড় প্রকল্পের জন্য খরচ, ইত্যাদি । তো ঠিক আছে। এটা তো মোগল আমলে রাজরাজড়াও নিতো, তাই না? ইংরেজ আমলে নিতো ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি। তারপর নিতেন বিলাতের
(আরো পড়ূন)
প্রথম আলোর মিজানুর রহমান খান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া “গণতন্ত্রমনস্ক অনুভূতিপ্রসূত” ব্যক্তি কিনা সেই সন্দেহ রেখেছেন। ‘গণতন্ত্রমনস্ক অনুভূতিপ্রসূত’! কী দুর্দান্ত ভাষা! আর সেই বিশেষ ‘অনুভুতি’ মাপার ডাক্তার হয়েছেন মিজান। বাহ! বাহ! এটা কি রাজনীতি পর্যালোচনার ভাষা নাকি যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা জাতীয় মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ? অথবা ‘ব্যাটলিং বেগামস’ এবং ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলার ভিত্তিতে প্রথম-আলো-ডেইলি স্টার গ্রুপের এক এগারোর রাজনীতির নতুন ড্রিল? গত ১১ মে ২০১৭ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো মিজানুর রহমান খানের (আরো পড়ূন)
অনেকদিন পর ঢাকা শহরে নির্বাচন হচ্ছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এতে শুধু মেয়র নয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনও করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে এখন যে পোস্টার, ব্যানার দেখছি তা শুধু মেয়রদের জন্য নয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যেও বেশ সাড়া জাগিয়েছে। নারী প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর হওয়ার বিধান আছে, যদিও সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে কোনো নারীর প্রার্থী হবার ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই। নারীদের মধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন, যারা নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য কাজ করতে চান। কিন্তু নারী প্রার্থীদের এবার প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে পশ্চাৎপদ, পুরুষতান্ত্রিক ও নারীর প্রতি অবমাননাকর আচরণের পরিচয় দিয়েছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো (আরো পড়ূন)
পাঁচই জানুয়ারির নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন ছিল না; এ বিষয়ে সমাজে কোনো বিতর্ক নাই। ক্ষমতাসীনরা শুরুতে বলতেন নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, তবে বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করায় একে আদর্শ নির্বাচন বলা যায় না। তারা অচিরেই আরেকটি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা তারা আর মানেন নি। প্রতিশ্রুতি পালন করার কোন নৈতিক কিম্বা রাজনৈতিক দায়ও বোধ করেন নি। বরং আরও পাঁচ কি দশ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন বলে অহংকারী হয়েছিলেন। ভাষা, কথা বলার ধরন ও শরীরের ভঙ্গি দিয়ে ক্ষমতাসীনরা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা বুঝি চিরকালের জন্যই ক্ষমতায় এসেছেন। সমাজে এর প্রতিক্রিয়া হয়েছে মারাত্মক নেতিবাচক। এই বছরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার অচ (আরো পড়ূন)
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিত নিয়ে কমবেশী সবাই চিন্তিত, চলমান সংকটের অনিশ্চয়তা থেকে থেকে বেরুবার পথ স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয় এই অর্থে যে, একেবারে প্রাথমিক উপায় হিসাবে সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাই, কিম্বা দেখা যাচ্ছেনা। রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যে আকার ধারণ করেছে, তাতে করে একটি নির্বাচন মোটেও কোনো অর্থপূর্ণ পরিবর্তন ঘটাবেনা। যদি ধরেও নেয়া হয়, অন্তত জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে এবং অর্থনীতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে আশু সমাধান নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা। তাও একমাত্র পূরণ হতে পারে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বাধ্য হলে কিম্বা বিদায় নিলে।
কিন্তু কখন একটা (আরো পড়ূন)
রাজনীতির উপর তলায় আমরা যে সংকট দেখি তার গোড়া উপরে না, গোড়াতেই। অতএব গোড়া ধরে কথা না বললে আমাদের সামনে রাজনৈতিক ইস্যুটা ঠিক কী, সেটা বোঝানো কঠিন। কিন্তু আলোচনাটা উপরের ঘটনাঘটন থেকেই শুরু করা দরকার হয়ে পড়ে। নইলে সাধারণ পাঠকরা এ বিষয়ে বিশেষ আগ্রহী হয় না।
রাজনৈতিক তর্কাতর্কির গোড়ায় না গিয়ে সামাজিক আলোচনা-সমালোচনা ভাসাভাসা রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে প্রধানত গণমাধ্যমই। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ক্ষেত্রেও গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রধান। এই পরিস্থিতিতে পত্রিকায় মন্তব্যমূলক লেখা সংকটের চরিত্র ধরতে কিংবা বোঝাতে পারে না। সংকট আরও গাঢ় হতে থাকে।
ধরুন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা। আচ্ছা, আমরা কী দাবি কিংবা কী নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ম (আরো পড়ূন)
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল !
আবার ইংরেজি দুই হাজার তেরো সালের ১৬ ডিসেম্বর আসছে। সামনে বিজয় দিবস। যে ‘বিজয়’ একাত্তরে আমরা অর্জন করেছি তার তাৎপর্য যদি আমরা উপলব্ধি করি তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি যাই হোক এই দিনটি ঠিক ভাবে উদযাপন করা দরকার। সেটা সম্ভব হবে কিনা তার আশংকা দেখা দিয়েছে। একটি নিউজপোর্টালের খবরে দেখেছি চলতি বছরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল করা হয়েছে। অথচ এই দিনটি জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক রচনার দিন – মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভুমিকা স্মরণ করা ও সৈনিকতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। খবর অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই অনুষ্ঠা (আরো পড়ূন)
এ লেখা যখন লিখছি তখন আঠারো দলের হরতাল ও সমাবেশের প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে। বিরোধী দলের ওপর নতুন করে দমন পীড়ন শুরু হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গভীর রাতে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবার সময় গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমূল বিশ্বাস। বেগম জিয়ার গুলশানের বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা তার ভাষা বদলান নি। একদিকে বিরোধী দলের ওপর দমন পীড়ন জেল জুলুম আর অন্যদিকে তাদের সংলাপে ডাকা – এ এক পরাবাস্তব পরিস্থিতি। সরকার পক্ষীয় গণমাধ্যমগুলো নির্লজ্জ ভ (আরো পড়ূন)
বাম ঘেঁষা সমাজবিজ্ঞানীরা কমবেশী সকলেই মানেন যে একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কের উদ্ভব ও বিস্তার একটি মাত্রা অতিক্রম করলে পুরানা প্রাক-পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে পড়তে থাকে, সমাজের রূপান্তর ঘটা শুরু হয়। এই অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সূচনা ঘটে। এই ফর্মুলা মাথায় রেখেই তথাকথিত প্রগতিশীল ঘরানার রাজনীতির নিজেদের রাজনৈতিক কর্তব্য নির্ণয় করবার কথা। এই প্রাক-পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্ক উৎখাত করে একটি জনগোষ্ঠি ঐতিহাসিক উল্লম্ফনের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে তাদের যাত্রা শুরু করে। গণতান্ত্রিক বিপ্লবের এটাই সারকথা।
তবে ইউরোপের ইতিহাসকে সকল জনগোষ্ঠির ইতিহাস অনুমান করে এই সাক্ষ্য দেওয়া হয়। মোটাদাগে এই বিপ্লবের লক্ষ্য থাকে তিনটি। এক.
(আরো পড়ূন)
শেখ হাসিনা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানবেন না, সেটা তিনি পরিষ্কার বলে আসছেন। এর জন্য তিনি বিস্তর রক্তক্ষয় ঘটিয়েছেন। আরও যদি ঘটে তিনি এই অবস্থান থেকে নড়বেন না। আসন্ন আগামি জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকেই তিনি নির্বাচন করতে চান, সেই ইঙ্গিত রাজনীতিতে নানাভাবে তিনি দিয়ে রেখেছেন। যদি সদয় হয়ে নিজে ক্ষমতার দণ্ড হাতে না রাখেন তাহলেও তাঁকে নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনের ওপর তাঁর দাপট ও ক্ষমতা পুরাপুরি বহাল রয়েছে। যদি আদৌ নির্বাচন হয় তাহলে দলীয় আধিপত্য ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে তাঁকে যে ভাবে হোক নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তিনি জানেন, রাজনীতিতে সহিংসতার মাত্রা যে স্তরে তিনি নিয়ে এসেছেন তার প্রাণঘাতী মেরুকরণের কুফল ত (আরো পড়ূন)
ইতিহাস, সামাজিক বিতর্ক ও আদালতের এখতিয়ার
একটি রিট আবেদনের মামলায় মাননীয় বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২১ জুন শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিশাবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০০২ সালে গঠিত প্রত্যয়ন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে বলে অভিমতও দেওয়া হয়েছে। প্রফেসর এমাজউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে সুপারি (আরো পড়ূন)