জার্মানির কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেৎকিনের (৫ জুলাই ১৮৫৭ -- ২০ জুলাই ১৯৩৩) প্রস্তাবে মার্চের ৮ তারিখ 'আন্তর্জাতিক নারী দিবস' হিসেবে ১৯১১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। এটির শুরু আদিতে 'আন্তর্জাতিক নারী শ্রমিক দিবস' হিশাবে। এর পেছনে রয়েছে শতাব্দি জুড়ে শ্রমিক আন্দোলন এবং নারীপুরুষ নির্বিশেষে পুঁজির শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবার অদম্য তাগিদ। তিনি প্রধানত নারীবাদী হিশাবে এখন অধিক পরিচিত, কিন্তু ক্লারা জেৎকিন ইউরোপে কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। তিনি ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, রুশ বিপ্লবে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। লেনিনের সঙ্গে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের জন্য তিনি খ্যাত। কমিউনিস্ট আন্দোলনে পুরুষতান্ত্রিক আধ (আরো পড়ূন)
আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবস শ্রমিক নারীর সংগ্রামের ফসল। লাল সালাম। আজ নারী অনেক এগিয়েছে, সমাজের সর্ব স্তরে নারীকে দেখা যাচ্ছে; তারা সবাই মিলে পালন করছেন মার্চের ৮ তারিখ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটি একসময় ছিল শুধু নারী সংগঠনের এবং নারী শ্রমিক সংগঠনের নিজস্ব পালনের দিন। এখন তা হয় রাষ্ট্রীয় ভাবে, যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন এবং বক্তৃতা করেন। জাতিসংঘ ঘোষিত দিনের মধ্যে অন্যতম প্রধান দিন ৮ই মার্চ। বেগুনি শাড়ী বা বেগুনি পোষাক পরবার, নারীদের পরস্পরের প্রতি সংহতি প্রকাশের দিন।
কিন্তু এর ইতিহাস কতজন মনে রাখি? মনে হয় সকলের আর মনে রাখার প্রয়োজন হয় না, কারণ নারী দিবস এখন ‘বুর্জোয়া’ নারীদের ‘মুক্তি’ বা &l (আরো পড়ূন)
সম্প্রতি ‘নারীর প্রতি কটূক্তি’ করার কারণে সমাজের প্রভাবশালী একটি অংশ হঠাৎ ভীষণ রকম সক্রিয় হয়েছে। ফলে নারীর প্রতি যিনি কটূক্তি করেছেন, তার বিরুদ্ধে দ্রুত বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জামিনযোগ্য হলেও আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চলছে, কথা বলা, সভা-সমাবেশের অধিকার গায়েব হয়ে গেছে। মানহানির মামলায় ত্বরিত অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে বাংলাদেশের বিদ্যমান ক্ষমতাচর্চার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার করতে হবে। কিন্তু এ ঘটনায় অনেকে এমন ধারণা দিতে চাইছেন যে বাংলাদেশে ‘নারীবাদ’ খুব শক্তিশালী। প্রমাণ হচ্ছে নারীকে কোনো অবস্থায় বাংল (আরো পড়ূন)
মানুষ কে যে কোন একসময় সকল কর্মের হিসাব দিতে হয়; এটা জীবনের এমন এক অকাট্য সত্য যা নানান জাতির নানান ভাষায় প্রবাদ বাক্য হয়ে টিকে আছে। ইংরেজিতে বলে ' As you sow, so you reap' । খুব সম্ভবত বাইবেলের Old Testament থেকে উদ্ভূত। ইসলাম ধর্মে একে বলে ‘আমলনামা’ আর হিন্দু ধর্মে বলে ‘কর্মফল’। কর্মফলে বিশ্বাস করতে গেলে, আস্তিক হতে হবে কিম্বা বেহেস্ত-দোজখে বিশ্বাস করতে হবে, এমনটির প্রয়োজন নাই। নিউটন এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে একটি পদার্থবিদ্যার ধর্ম (Law of Physics) হিসাবে দেখেছেন; তাই বলেছেন, Every action has an equal and opposite reaction '। ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’এই প্রাকৃতিক আইন যেমন ব্যক্তির জন্য সত্য, তেমনই এটা গোষ্ঠি বা জ (আরো পড়ূন)
আজ ২৩ মে সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে সবার শ্রদ্ধেয় ‘নূরজাহান আপা’ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
সকল বয়সের নারীদের কাছেই তিনি ছিলেন নূরজাহান আপা। বাইরে তাঁর পরিচয় উপমহাদেশে প্রথম নারীদের পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে। পত্রিকার নাম ‘বেগম’। এই পত্রিকাটিকে বলা যায়, প্রথম ও একমাত্র সচিত্র নারী সাপ্তাহিক। তাঁর বাবা মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন সওগাত পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, মেয়েকে দিয়ে শুরু করেছিলেন নারীদের সাহিত্য ক্ষেত্রে এগিয়ে নেয়ার জন্যে পত্রিকাটি। বেগম পত্রিকাটি ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় বেগম। ১৯৫০ সাল থেকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। বলা যায়,এখন নারীদের অনেক পত্রিকা প্রকাশিত হলেও শুধু নারীদের জন্য এবং ন (আরো পড়ূন)
নেপাল আমাদের একটি অতি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রাকৃতিকভাবেও আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীরে - হিমালয় থেকে বরফ গলে পানি আমাদের নদ নদী পার হয়ে গড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। কাজেই এখানকার যে কোন পরিস্থিতি আমাদের ভাবায়, আমাদের আন্দোলিত করে। নেপালে যখন ভুমিকম্প হয়েছিল তখন বাংলাদেশও কেঁপে উঠেছিল কয়েকবার। অন্যদিকে আমাদের আর একটি প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ভারত; যা আমাদের তিনপাশ ঘিরে আছে। সম্পর্ক ভাল কি মন্দ যাই হোক, সীমান্তে কাঁটা তার আছে আর যখন তখন নানা অজুহাতে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী আমাদের মানুষ মারছে। এখানেও পানির সম্পর্ক আছে, ৫৪টি নদীর সাথে আমাদের সম্পর্ক। পানি নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। কাজেই আমাদের জনগণ ভারতের ব্যাপারে সবসময় নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না, যদিও এপারে (আরো পড়ূন)
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করি
প্রথমেই বলে রাখি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি আমি সমর্থন করি। এমন দাবীর সাথে দেশের মেডিকেল শিক্ষার পুরো ভবিষ্যত জড়িত। একটা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়ে গেছে বলে আবার পরীক্ষা নেয়া যাবে না এমন কথা যারা বলছেন আমি তাদে্র সাথে একমত নই। শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা ঢুকলে পরবর্তী সময়ে পুরো পেশার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’’। কথাটি অযৌক্তিক নয়, কাজেই এখন এই ভর্তি পরীক্ষা বাতিল না করলে এই অ-নিয়ম বন্ধ হবে না কোন দিনই।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ হচ্ছে নারী শিক্ষার্থী। এই (আরো পড়ূন)
একজন নয়, দুইজন নয় অনেক নারী একত্রে বিবস্ত্র ও শ্লীলতাহানীর শিকার হয়ে এবারে নতুন বছর শুরু হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, টিএসসি এলাকায়, রাজু ভাস্কর্যের কাছাকাছি। এখানে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অনেক আয়োজন ছিল, তাই জনগণের ভিড় ছিল। ঢাকাবাসীরা নিরাপত্তা দেয়া আছে জেনে পরিবার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে নারীদের ওপর যে বর্বর হামলা হয়েছে তার জন্য ঘৃণা প্রকাশের ভাষাও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। পুলিশের বেস্টনীর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটেছে, নির্জন কোন জায়গায় নয় শত শত মানুষের ভিড়ে । এই ধরণের কুৎসিৎ ও নির্লজ্জ ঘটনা ঘটার পরও নীরব দর্শক হয়ে থেকেছেন অনেকেই, যারা বাঁচাতে এসেছেন তাদের ওপরও হামলা হয়েছে। হা (আরো পড়ূন)
[রোকেয়াকে নিয়ে এই লেখাটি ২১ বছর আগে ১৯৯৩ সালে সাপ্তাহিক ‘রোববার’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। লেখাটি নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা থেকে প্রকাশিত ‘রোকেয়া পাঠের স্থান, কাল পাত্র ও বোরকা’ পুস্তিকাটিতেও অন্তর্ভূক্ত। ডিসেম্বরের নয় তারিখে রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুদিবস পেরিয়ে এসেছি আমরা আবার; সেই উপলক্ষে লেখাটি এখানে আবার দুই একটি জায়গায় খানিক পরিমার্জনা করে তুলে দেওয়া হোল। - সম্পাদনা বিভাগ]
[এক]
“উন্নতি কি পর্দার বাহিরে থাকে?”
পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সঙ্গে যুক্ত রফিকুল (আরো পড়ূন)
তোবার আন্দোলনকারী ও অনশনরত শ্রমিকদের নির্মম নির্যাতন করে যেভাবে পুলিশ তোবা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরী ‘মুক্ত’ করলো তার বিস্তারিত বর্ণনা গণমাধ্যমে এসেছে। নারী আন্দোলনের কর্মীদের তা প্রচণ্ড বিক্ষুব্ধ করেছে, তা বলাই বাহুল্য। নির্যাতনের বর্ণনা বিভিন্ন পত্রিকায় দেয়া আছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবার সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের নেত্রী মোশরেফা মিশু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিলের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের ভবন থেকে বের করে দিয়েছে। ভবন থেকে বের না হলে অনশনরত নারী শ্রমিকদের ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছেন।”
একই সাথে তোবার আর একজন শ্রমিক হাফসা সাংবাদিকদের বলেন, (আরো পড়ূন)
এক
হেফাজতে ইসলাম এপ্রিলের ৬ তারিখে ঢাকা শহরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে প্রশাসনের সঙ্গে ওয়াদা অনুযায়ী ঠিক ঠিক পাঁচটার সময় শেষ করে ফিরে গেছেন। ঢাকা শহরের মানুষ শাপলা চত্বরে এতো আলেম ওলামাদের একসাথে কখনো দেখে নি, তারা বিস্মিত। কত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন তা নিয়ে সঠিকভাবে কোন পরিসংখ্যান না পাওয়া গেলেও সংখ্যাটা তাক লাগিয়ে দেয়ার মতোই ছিল। হেফাজতের এই লং মার্চ যেন না হতে পারে তার জন্য সরকার নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল; ঢাকাগামী সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করার পরও এতো মানুষ কি করে ঢাকায় এলো তা বিস্ময়ের ব্যাপার বটে।
হেফাজতের এই কর্মসুচী শেষ হয়েছে, তাঁরা নিজ নি (আরো পড়ূন)
ঢাকার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে নারী কন্ঠ সোচ্চার।কখনো গণজাগরণ মঞ্চ থেকে কখনও ছোট ছোট দলে জোরালো কন্ঠে শ্লোগান তুলে হাজার হাজার মানুষকে উদ্বেলিত করেছেন কয়েকজন তরুণী, এটা অবশ্যই চোখে পড়ার মতো এবং ভাল। অনেক তরুণও শ্লোগান দিয়েছেন, কিন্তু তাদের কথা তেমন কেউ বলাবলি করছে না, কারণ মিডিয়া নারীকেই তুলে ধরতে চেয়েছে।এটা ঠিক এই নারীরা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলে গলা ফাটালেও এতো আলোচনা হোত না। শাহবাগে তরুণরা যে আন্দোলন করছেন তার সাথে শুরু থেকে নারীদের সম্পৃক্ততা জানা যায় নি, ব্লগার বলতে আমরা শুধু কয়েকজন পুরুষদের চেহারা বা নাম দেখছি। তবে আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে নারীকে দেখা যাচ্ছে। সেই দেখা যাওয়ার বিষয়টি একটু পর্যালোচনা করতে চাই।
গত ৫ (আরো পড়ূন)
সম্প্রতি নারী নির্যাতন, বিশেষ করে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা যেন মহামারীর আকার ধারণ করেছে। সবশেষ ঘটনা মাত্র ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা। করেছে এমন একজন যে এই একই শিশুকে ধর্ষণ করার কারণে জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেয়েছে।
এগুলো কিসের আলামত? যে দেশে একটি শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নাই, সে দেশের আর কী থাকে? ধর্ষিত শিশুটি যে বয়সের তাকে নারী বলাও যায় না। যে বয়সে সামাজিকভাবে নারী-পুরুষ বিভাজন স্পষ্ট হতে থাকে শিশুটি সেই সন্ধিচিহ্ন থেকে অনেক দূরে। এই বয়সে ছেলে মেয়েরা একসাথে খেলে, খায় দায়, ঘুমায়, দুষ্টামি করে। এই বয়সের শিশুকে নারী বানিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। নারী হবার বয়সে না পৌঁছেও রেহাই পায় নি সে এই বর্বরতা থেক (আরো পড়ূন)
সামাদ ভাই যেন হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, কিন্তু তাঁর দরাজ গলার হাসি এবং কথা বলার বিশেষ ভঙ্গি আমাদের কানে বাজতেই থাকবে।সামাদ ভাইয়ের অনেক সাংবাদিক ছাত্র-ছাত্রী আছেন, আমার সে সৌভাগ্য হয় নি। কিন্তু আমি তাঁকে যেভাবে দেখেছি, এবং তাঁর কাছ থেকে যে উপকার পেয়েছি আজ সে কথা না বললে বড় অপরাধ হবে। না, সেটা ব্যাক্তিগত উপকার নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কিভাবে দিতে হয় এবং তার জন্য কিভাবে কাজ করতে হয়, কৌশলী হতে হয়, সে শিক্ষা তিনি তাঁর অজান্তেই আমাকে দিয়েছেন। ওর মধ্য দিয়ে তিনটি বিষয়ে তাঁর নীতি ও অবস্থান তিনি আমাদের কাছে অনায়াসেই প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। কিন্তু সেটা করেছেন মুখে কিছু না বলে শুধু কাজ করবার মধ্য দিয়ে, নীরবে, নিজেকে প্রদর্শন করবার বা গৌরব দা (আরো পড়ূন)