চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

সন্ত্রাস, আইন ও ইনসাফ

ইংরেজিতে ‘সন্ত্রাস’ বোঝানোর দুটো শব্দ আছে: violence আর terror। দুটোর অর্থ কীভাবে কেমন করে আলাদা সেই বিষয় নিয়ে বাদবিসম্বাদ বহুদিনের। তাদের মধ্যে ফারাক বজায় রাখার কথা থাকলেও সংবাদপত্রে, সাহিত্যে, কথাবার্তায় দৈনন্দিন আলাপ-আলোচনায় তারা একাকার হয়ে যায়। বাংলাতেও আমরা তাই করি। যদি পার্থক্য বজায় রাখতে হয় তাহলে ভায়োলেন্সকে বলা যেতে পারে সহিংসতা, সশস্ত্রতা কিম্বা স্রেফ বলপ্রয়োগ। বলপ্রয়োগ সহিংস ও সশস্ত্র হতে পারে, আবার নাও পারে। নিরস্ত্র হয়েও বলপ্রয়োগ সম্ভব। অন্যদিকে terror বা terrorism-এর বাংলা করা হয় সন্ত্রাস। কিন্তু এই আলোচনায় আমরা দেখব দুইয়ের পার্থক্য বহাল রাখা জটিল ও কঠিন ব্যাপার। তাদের মধ্যে ধারণাগত পার্থক্য আছে কিনা, কিম্বা বিশেষ ব (আরো পড়ূন)

ক্রুসেড, জেহাদ ও শ্রেণীসংগ্রাম

১. কয়েকটি পদ্ধতিগত প্রশ্ন

লড়াকু আহমদ ছফা আর কাছে নেই; কিন্তু তার নাম ধারণ করে বানানো ‘আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা’-র প্রথম আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ক্রুসেড, জেহাদ ও শ্রেণীসংগ্রাম’। আফগানিস্তানে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও হিংসা-যুদ্ধ এবং আমাদের কর্তব্য বিষয়ে এই সভা। আরও বড়ো পরিসরে বললে দুনিয়া জুড়ে পুঁজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায়, জাতি, জনগোষ্ঠি, রাষ্ট্র কিম্বা নারী ও পুরুষের মধ্যে যে লড়াই চলছে তাকে শ্রেণীসংগ্রামের দিক থেকে বোঝার চেষ্টা করা। লড়াইয়ের বাস্তব রূপ যেমন আছে, তেমনি তার বাস্তব ভাষাও আছে, কেতাবি ভাষা নয়। স্থানকালপাত্র বা ইতিহাস ভ (আরো পড়ূন)

এই সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিন

এক

সিলভেস্টার স্ট্যালোন নামে অতিশয় পেশিবান এক অভিনেতা আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। র‌্যাম্বো নামক এক যুদ্ধবাজ নায়কের ভূমিকায় ইনি অভিনয় করে থাকেন। খালি গায়ের মারমুখো মাস্তান। নখ থেকে চুল পর্যন্ত যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত। এই নায়ক হামেশাই অন্য দেশ আক্রমণ করে। মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবার তাগিদ তার ট্রিগারে, “মুক্তি” আর “গণতন্ত্র” নামক মন্ত্র তার বারুদে সদাই ধ্বনিত। তার কাজ দুনিয়ার তাবৎ “খারাপ লোক”-গুলোকে গুলি করে মেরে ফেলা। কোন নীতি নেই, বাছ বিচার নেই। পৃথিবীর একদিকে আছে “গুড গাইস” অর্থাৎ ভাল লোক। ভাল লোকদের নেতার গায়ের রং, বলা বাহুল্য, সবসময়ই সাদা; আর, ম (আরো পড়ূন)

তাঁত ও তাঁতী অর্থনীতি, রাজনীতি ও জীবন

(দেশের বিভিন্ন এলাকার তাঁতীদের অবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ সাধারণত হয় না। তবু তাঁত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাঁতীদের সারিষ, সুতানাচার অভাব, পুঁজির টানাটানি ইত্যাদি খবর মাঝেমধ্যে পত্রিকায় আসে। যেটা আসে না সেটা হোল তাঁতখাতের হালহকিকত। আমরা কি এগুচ্ছি নাকি পিছিয়ে যাচ্ছি তার হদিস নেই। এই সব কথা ভেবে ভীত ও তাঁতীদের নিয়ে এই ক্রোড়পত্র। পাঠকদের

তাঁতীদের জীবন এবং তাঁতখাতের অবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা মনে করি আমাদের শিল্পায়নের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে তাঁতখাতের বিকাশের মধ্যে এবং এ নিয়ে আরো ব্যাপক ভাবনাচিন্তা তর্কবিতর্ক হওয়া দরকার। ব্যাপার (আরো পড়ূন)

কাসেদ আলী কি ভাবতেন: ব্যক্তিগত আলাপের আলোকে একজন অগ্রজ কমিউনিস্টের রচনাবলীর প্রাথমিক পাঠ

‘মার্কসবাদ ফতোয়া ফরাজবাদ নয়’- কাসেদ আলী

কাসেদ আলীকে চোখে দেখার আগে তাঁকে নামে চিনতাম। তাঁর “উপমহাদেশে শ্রেণী ও সমাজ” পুস্তিকাটি পড়ে তাঁর সম্পর্কে একটা ধারণা গড়ে তুলেছিলাম মনে মনে। কারো লিখা পড়ে লিখক সম্পর্কে ধারণা করে নেবার কাজটা বোধহয় আমরা সকলেই কমবেশী করি। বইটি কাসেদ আলী লিখেছিলেন ১৯৬৮-৬৯ সালে। যতোদূর আমার মনে পড়ে বইটি আমার হাতে এসেছিল ১৯৭৬ সালে। দেশ স্বাধীন হবার পর দেশে ছিলাম না অনেকদিন, কিছু সময়ের জন্য ফিরেছিলাম ১৯৭৬ সালে। সেই সময় বাংলাদেশের বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁরা কি চিন্তা ভাবনা করছেন সেটা গভীর আগ্রহের সঙ্গে জানার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের (আরো পড়ূন)