পুঁজিতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থায় উৎপাদিত জিনিস (product) কে বলা হয় পণ্য (commodity)। পণ্য বা কমোডিটির বৈশিষ্ট্য হল তার মূল্য বা ভ্যালুকে দুইভাবে বিবেচনা করা হয়ঃ একটি হল তার use value বা ব্যবহারিক মূল্য আর আরেকটি হল তার exchange value বা বিনিময় মূল্য। Use value বা ব্যবহারিক মূল্য হল পণ্য স্বয়ং। আর Exchange value বা বিনিময় মূল্য হল পণ্যটির মূল্য (value), যা দামের (price) মাধ্যমে টাকায় প্রকাশিত হয়। পণ্যের এই use value এবং exchange value দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। অর্থাৎ, একপ্রান্তে থাকে পণ্যটি আর অপর প্রান্তে থাকে টাকা।
পণ্যের মধ্যে যুগপৎভাবে নিহিত থাকা ইউজ ভ্যালু ও একচেঞ্জ ভ্যা (আরো পড়ূন)
ইউক্রেন যুদ্ধ বুঝতে হলে বিশ্ব ব্যবস্থার দ্বন্দ্ব বোঝার জন্য পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়ন এবং মরণাস্ত্র উৎপাদন ব্যবসার কালে ভূ-রাজনীতি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেটা সবার আগে বুঝতে হবে। বিশ্ব ব্যবস্থার গোড়াতে টান পড়ছে এবং পারমাণবিক যুদ্ধের কথাও শোনা যাচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের চরিত্র সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকা খুবই জরুরি।
ইউক্রেন যুদ্ধকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার দ্বন্দ্ব হিশাবে দেখায় ভুল নাই, যেখানে ইউক্রেনের জনগণকে বলি দেওয়া হচ্ছে। পতনশীল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিশাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক নীতি ও কৌশল এবং রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া সঠিক ভাবে বোঝা ও পর্যালোচনা জরু (আরো পড়ূন)
আপনাতে আপনি ফানা
হলে তারে যাবে জানা।
সিরাজ সাঁই কয় লালন কানা
স্বরূপে রূপ দেখ সংক্ষেপে।।
-- ফকির লালন শাহ
প্র: ধর্ম সম্পর্কে আপনার জানাশোনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং অবস্থান আলাদা, কিন্তু দেখা যায় আপনি রোজা রাখেন এবং রমজানের শেষ দশদিন আপনার আচার আচরণে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখা যায়। এরপর আপনার কবিতা, চিন্তা ও লেখালিখির মধ্যে নতুন চিন্তা বা ভাবের স্ফূরণ দেখা যায়। এর কারন কি?
উ: উপবাস, রোজা রাখা শুধু ইসলাম ধর্মের বিধান তাতো না। অন্য ধর্মেও উপবাস থাকার বিধান আছে। পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম নাই যেখানে উপবাস, রোজা, কৃচ্ছসাধন (আরো পড়ূন)
পশ্চিমা মিডিয়া সাড়ে পনেরো আনা মিথ্যুক। তাদের মিত্থ্যাচার সম্পর্কে আমাদের কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা আছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি যদি আমরা শুধু পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রপাগান্ডা দিয়ে বূঝতে চেষ্টা করি, তাহলে কিছুই আসলে বুঝব না। তারা যেটা হামেশা প্রচার করছে সেটা হোল রাশিয়া একটি সার্বভৌম দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। সম্প্রসারণবাদী রুশদের খায়েশ মেটাতে রাশিয়া ইউক্রেন নিজের দখলে নিতে চায়। এর ফলে শুধু ইউক্রেন নয় একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশসহ পূর্ব ইউরোপের আঞ্চলিক অখণ্ডতাও হুমকির মুখে পড়েছে, ইত্যাদি। এই যুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটভূক্ত ইউরোপীয় দেশগুলো যে রণধ্বণি তুলছে ও ইউরোপের জনগণকে (আরো পড়ূন)
ইউক্রেনের যুদ্ধ আরও তীব্র হচ্ছে। যুদ্ধ পূর্ব ইউক্রেনের দিকে জোরদার হবার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের চরিত্রেরও বদল ঘটতে থাকবে। পূর্ব ইউক্রেন বলতে বোঝায় পাঁচটি প্রদেশ: দনেস্ক (Donesk), খারখিভ (Kharkiv), লুহান্সক (Luhansk), জাপোরিঝঝিয়া (Zaporizhzhia) এবং নিপ্রোপেট্রোভস্ক(Donipropetrovsk)। ডনবাস অঞ্চল দখল নিয়ে ডনবাসের বিভিন্ন শহরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার বাহিনীর মধ্যে এখন রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলছে। ডনবাসে ৩০০ মাইল দীর্ঘ এক রণক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তবে লুহানস্ক এলাকায় ক্রেমিনা এবং আরও একটি ছোট শহরের দখল রুশ বাহিনীর হাত চলে গেছে। ডনবাস যুদ্ধের জয়-পরাজয় নির্ধা (আরো পড়ূন)
‘ঘরে কেবা জাগে কে বা ঘুমায়, কে কারে দেখায় স্বপন’ - ফকির লালন শাহ
ভারতে বাঙালি মুসলমানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। এখানের জনসংখ্যায় প্রায় তিরিশ শতাংশ মানুষ বাঙালি মুসলিম। আর বাঙালি নমঃশূদ্র ও বাঙালি মুসলমান মিলিয়ে যে সংখ্যা দাঁড়ায় তা বাঙালি বর্ণহিন্দুর থেকে অনেক অনেক বেশি। একই চিত্র অসমের। সেখানে অহমিয়াদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে বাঙালির উপস্থিতি। আর সেখানকার বাঙালির বেশিরভাগটাই হয় বাঙালি নমঃশূদ্র, নয়তো বাঙালি মুসলিম। বাঙালি বর্ণহিন্দু এদের থেকে সংখ্যায় কম। আবার পশ্চিমবঙ্
(আরো পড়ূন)
আবারও ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী দিল্লিতে বাঙালি মুসলমানের ওপর রাষ্ট্রীয় আক্রমণ চালানো হোল। এবার হামলা ঘটেছে জাহাঙ্গিরপুরি এলাকায়। এর আগে দিল্লির শাহীনবাগে এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে ‘দাঙ্গা’র নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে একতরফা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছিল সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় ক্ষমতার সুবাদে ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র, সংগঠিত হয়েছিল গণহত্যা। তারই চুড়ান্ত পরিণতিতে বুল ডোজার দিয়ে বাঙালি মুসলমানের মসজিদ আর বস্তি গুঁড়িয়ে দিল ভারতের গেরুয়া শাসকবর্গ। বাঙালি মুসলমানের রুটিরুজি-আশ্রয় আর ঈমানের ওপর হামলা চালালো গেরুয়া দিল্লী! সেটা (আরো পড়ূন)
যুদ্ধ মাত্রই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। কোন যুদ্ধই ব্যাতিক্রম নয়। যে কারণে রাশিয়ার যুদ্ধকে নৈতিক বা নীতিবাগীশ জায়গা থেকে অনেকেই 'আগ্রাসন বলে নিন্দা করছেন। আমরাও সরবে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সকল পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরুর ওপর জোর দিচ্ছি। কিন্তু নীতিবাগীশগিরি আর রাজনীতি দুটো ভিন্ন বিষয়। তাই ইউক্রেন কেন্দ্র করে একদিকে রাশিয়া আর অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটভূক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে সেটা আমাদের বোঝা দরকার। নির্মোহ ভাবে এই যুদ্ধের বাস্তব কারণ সম্যক অবহিত হওয়া জরুরি। তাই রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে নিজেদের নীতিগত ভাবে ছহি আছি প্রমাণের চেষ্টা এখান (আরো পড়ূন)
১. আবার লেনিন!
ইউক্রেনের সংকট শেষাবধি যুদ্ধে গড়ালো। তথাকথিত স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর অনেকে এই আশা করেছিলেন যে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধ বিগ্রহের দুর্দশায় বিশ্বকে পড়তে হবে না। মানুষের বৈষয়িক সমৃদ্ধি এবং নৈতিক বিকাশের দিকে নজর দেওয়া সহজ হবে। কিন্তু ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের 'সাম্রাজ্যবাদ' সংক্রান্ত তত্ত্ব সত্য বলে বারবারই প্রমাণিত হয়েছে। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার বৈশিষ্টই হচ্ছে হানাদারি এবং যুদ্ধ । ইউক্রেন যুদ্ধ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের অনন্ত যুদ্ধের কালপর্বের পর গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ঘটনা। যা নতুন কর
(আরো পড়ূন)
গত বছর, মানে ২০২১ সালের সামারে করোনাকালীন কঠিন নিয়ন্ত্রণ ট্যুরিজম-বাণিজ্যের কারণে শিথিল হওয়ায়, আমি এবং আমার শিক্ষক, পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজের এসোসিয়েট প্রফেসর একটা ঝুলে থাকা আড্ডা দিতে তালিনের কেজিবি মিউজিয়ামের ২৩ তলার টপফ্লোর রেস্টুরেন্টে বসি। কেজিবি, সোভিয়েত ইউনিয়নকালে যেটা দেশটির প্রধান সিকিউরিটি এজেন্সি ছিল, সেটা এখন জাদুঘর, ট্যুরিস্টদের প্রধান আকর্ষণও। তালিন রাজধানীর স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়া স্বাধীন হয় ১৯৯১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের সাথে-সাথে ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে এবং তখন আমার শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তার কাছে কেজিবি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন একই জিনি (আরো পড়ূন)