মওলানা আবদুল কাদির আজাদ সুবহানি (১৮৯৬-১৯৬৩) ছিলেন বিখ্যাত রব্বানি দর্শনের প্রবক্তা। তিনি আল্লামা আজাদ সুবহানি নামে অধিক পরিচিত। ইসলামের নবি রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসালামকে রুহানি বয়ানের আলোকে পেশ করা এবং 'বিপ্লবী নবি হিশাবে হাজির করার প্রচেষ্টা সাহসী ও নতুন। ধর্ম নির্বিশেষে মোহাম্মদ (সা) দলিত, গরিব, হতদরিদ্র, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত জনগণের সিপাহসালার হিশাবে হাজির করার মধ্য দিয়ে আজাদ সুবহানি বিখ্যাত হয়েছেন। বলাবাহুল্য ইসলামকে ক্রমাগত পরকালবাদী জগৎবিমুখ ধর্ম হিশাবে প্রতিষ্ঠিত করার ধারা শক্তিশালী। বিপরীতে বিপ (আরো পড়ূন)
এক
জাতীয় ইনসাফ কমিটি গত ১৬ মার্চে তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ নতুন ভাবে ‘গঠন’ করবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। বাংলাদেশে চিন্তার দুর্ভিক্ষ এতোই প্রবল যে দৈনিক পত্রিকাগুলো গণরাজনৈতিক সত্তা হিশাবে রাষ্ট্রের ‘গঠন’-কে স্রেফ আইনী ব্যাপার ধরে নিয়েছে। তাদের রিপোর্টে সকলেই লিখেছে আমরা নাকি নতুন সংবিধান চাইছি। অথচ আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছি। বলেছি, রাষ্ট্র স্রেফ ‘আইনী’ প্রতিষ্ঠান নয় যে উকিল-ব্যারিস্টারদের ধরে এনে একটি টুকলিফাই সংবিধান লিখে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। এই ধরনের ধ্যান ধারনা কলোনিয়াল হ্যাঙ্গওভার। ইংরেজের শা (আরো পড়ূন)
হঠাৎ দৈনিক সমকাল থেকে স্বল্প পরিসরে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরি – অর্থাৎ জাফর ভাইকে নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এটা আসলে আমার জন্য কঠিন। তাঁকে নিয়ে লেখার বিষয় বিপুল। এ ধরণের মানুষ সমাজে কালেভদ্রে জন্মগ্রহণ করে। জর্মন দার্শনিক নীটশের একটা কথা মনে পড়ল; নীটশের একটি ফয়সালা হচ্ছে বড় মাপের মানুষদের নিয়ে কিছু বলতে চাইলে হয় বিস্ময়ে অভিভূত থাক, অথবা উন্নাসিক হও! নাক উঁচু করে ভাব দেখাও এ আর এমন কী! কিছুই হয় নি ভাব করে এড়িয়ে যাও! আমার এখন হয়েছে সে অবস্থা! অর্থাৎ জাফর ভাইকে নিয়ে লেখালিখি কঠিন কাজ।
জাফর ভাইয়ের সাথে আমার জীবন নানা ভাবে সরাসরি জড়িত। আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি, তার জন্য নয়। তাঁর (আরো পড়ূন)
যে উন্নয়নের জন্যে পরিবেশ বিসর্জন দেয়া হয়েছে সেই উন্নয়ন ধরে রাখাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এখন গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুতের লাইন আছে বটে কিন্তু তাতে সরবরাহ নিয়মিত নাই। এরই আরেক নাম লোডশেডিং। সারাদেশে এই খরতাপের মধ্যে ঘরে লাগানো ফ্যানটিকে ঘুরতে দেখার প্রত্যাশায় কেটে যাচ্ছে দিনরাত। বিদ্যুৎ যাচ্ছে যতবার, আসছে তার চেয়ে অনেক কম।
চৈত্র-বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চলে গ্রীষ্মকাল। কাজেই গরম পড়বে, তাপমাত্রা বেশি থাকবে এই বিষয় নিয়ে অবাক হবার কিছু নেই। এই সময় খরার মৌসুম, তাই প্রকৃতিতে ফসলের মৌসুমও সেভাবে ভাগ করা আছে। আউশ ধান খরাতেই হয়, সে কারণে খরাপ্রবণ এল (আরো পড়ূন)
জেসমিনের কি অপরাধ ছিল তা তদন্তের বিষয়। কিন্তু, তাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দেয়া এই আইনের ‘অপব্যবহার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ২৯ মার্চ আইনমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা অনেকটা ‘এপোলজেটিক’।
জেসমিন সুলতানা র্যাবের হাতে আটক অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁকে রাজশাহী র্যাব-৫ এর একটি দল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এনামুল হকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করেছিল। জেসমিন সুলতানা একজন চাকরিজীবী নারী ছিলেন, তিনি সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চা (আরো পড়ূন)
তার মৃত্যুতেও গৌরব আছে। নিজ দেশে, নিজ হাসপাতালে, নিজ চিকিৎসক ও কর্মীদের হাতের সেবা নিয়ে তিনি গেছেন। কোনো আপোষ করেন নি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বা জাফর ভাইকে আর কোনো সভায় বা মানববন্ধনের ব্যানারের পেছনে কিংবা মিছিলের সামনে হুইল চেয়ারে দেখা যাবে না । কিংবা দেখা যাবে না কোনো টেলিভিশন টক শো তে। তিনি এই ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। তাকে বেঁধে রাখতে পারেনি দেশের কোটি মানুষের ভালবাসা। তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেকের মতো আমরাও ছুটে গিয়েছিলাম। এত শোকের মাঝখানেও সেখানে গিয়ে মনে হল, জাফর ভাইয়ের এই মৃত্যুতে গৌরব আছে। তিনি নিজের গড়ে তো (আরো পড়ূন)
‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সমস্যা’ চটি পুস্তিকাটি মোহাম্মদ তোয়াহা (২ জানুয়ারি ১৯২২ - ২৯ নভেম্বর ১৯৮৭) গত শতাব্দির আশির দশকের মাঝামাঝি লিখেছেন। এটি প্রকাশিত হয়েছে ১লা অগাস্ট ১৯৮৫ সালে। বাংলাদেশের তরুণরা বাংলাদেশে বিপ্লবী কমিউনিস্ট ধারার চিন্তা ও কর্মতৎপরতা সম্পর্কে কিছুই প্রায় জানে না। এই পুস্তিকাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিপ্লবী কমিউনিস্ট ধারার বহু ভুলভ্রান্তি রয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান আমলে এবং পুরা ষাট ও সত্তর দশকে তাদের অবদান ছিল অসামান্য। সামন্ততন্ত্র, আধা বা সামন্ততান্ত্রিক অবশিষ্ট – অর্থাৎ প্রাক-পুঁজিতান্ত্রিক সকল স (আরো পড়ূন)
মার্চের ৫ থেকে ৯ তারিখে কাতার জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হয় পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশের সম্মেলন। দোহার এই সম্মেলনে গিয়ে সরাসরি জানার সুযোগ হয়েছে কাতারে অবস্থানরত রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসী শ্রমিকরা কত কষ্টে আছেন। বড় বড় দালান, আকাশছোঁয়া বিল্ডিং আছে দোহায়। এসব দেখে মনে পড়লো আমাদের প্রবাসী ভাইদের কথা। তাদেরই শ্রমে-ঘামে এই বিল্ডিং এবং রাস্তা তৈরি হয়েছে। দোহার চাকচিক্য তাদেরই অবদান।
কাতারের দোহা শহরে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশের সম্মেলন। মার্চের ৫ থেকে ৯ তারিখে কাতার জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন করা হয়েছিল। আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান উবিনীগের পক্ষ থেকে তিন জন গিয়েছিলাম সিভিল সোসাইটি ফোরামে (আরো পড়ূন)
নারী আন্দোলনের দাবি, আসন সংরক্ষিত যদি থাকে তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচিত; যেখানে রাজনৈতিক দলের নারী সদস্য, সমাজ কর্মী, নারী আন্দোলন কর্মী সকলেই নারীদের পক্ষে কথা বলার জন্যে এবং সার্বিকভাবে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে এটাও বলা দরকার যে নারী আজীবন সংরক্ষিত আসনে থাকবেন এটাও কাম্য নয়। নারীরা পুরুষের মতোই সাধারণ আসনে নির্বাচন করবেন এটাই হচ্ছে লক্ষ্য।
এই বছর বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে খুব গুরুত্বপুর্ণ। আগামী ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন থেকে ছোট বড় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তাদের নিজ নিজ দাবিগুলো পেশ করছেন। তারমধ্যে অন্যতম (আরো পড়ূন)
এক
রাজনৈতিক প্রস্তাবনা হিশাবে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- অতিশয় সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই গুরুত্বটুকু আমরা দিতে চাই। এর কারন হচ্ছে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এটি পেশ করা হয়েছে। জনগণ এই লড়াই থেকে বিএনপির কাছ থেকে কি পেতে পারে তার একটি ধারনা আমরা এই দলিলে পাই। অর্থাৎ আন্দোলনকে বেগবান করবার জন্য এই ধরনের রূপরেখা জনগণের সামনে হাজির করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের কাছে আন্দোলন সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ, তাই রূপরেখাকে আমরা প্রাধান্য দিত
(আরো পড়ূন)