নারী আন্দোলনের দাবি, আসন সংরক্ষিত যদি থাকে তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচিত; যেখানে রাজনৈতিক দলের নারী সদস্য, সমাজ কর্মী, নারী আন্দোলন কর্মী সকলেই নারীদের পক্ষে কথা বলার জন্যে এবং সার্বিকভাবে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে এটাও বলা দরকার যে নারী আজীবন সংরক্ষিত আসনে থাকবেন এটাও কাম্য নয়। নারীরা পুরুষের মতোই সাধারণ আসনে নির্বাচন করবেন এটাই হচ্ছে লক্ষ্য।
এই বছর বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে খুব গুরুত্বপুর্ণ। আগামী ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন থেকে ছোট বড় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তাদের নিজ নিজ দাবিগুলো পেশ করছেন। তারমধ্যে অন্যতম (আরো পড়ূন)
এক
রাজনৈতিক প্রস্তাবনা হিশাবে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- অতিশয় সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই গুরুত্বটুকু আমরা দিতে চাই। এর কারন হচ্ছে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এটি পেশ করা হয়েছে। জনগণ এই লড়াই থেকে বিএনপির কাছ থেকে কি পেতে পারে তার একটি ধারনা আমরা এই দলিলে পাই। অর্থাৎ আন্দোলনকে বেগবান করবার জন্য এই ধরনের রূপরেখা জনগণের সামনে হাজির করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের কাছে আন্দোলন সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ, তাই রূপরেখাকে আমরা প্রাধান্য দিত
(আরো পড়ূন)
ই-সিগারেটের বিষয়টি অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে এবং শহরের তরুণদের মধ্যে ‘জনপ্রিয়’ হয়ে উঠেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবগত না হয়েই এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। ধুমপান ছাড়ার চেষ্টা করা শুধুমাত্র নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নির্ভর হওয়া খুব যুক্তিসংগত কাজ নয়, তাতে অন্য আরেকটি পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে।
তামাকজাত দ্রব্য সেবন স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর- এই কঠিন সত্য কথাটি সকলেই বোঝেন। এর জন্যে নতুন তথ্য উপাত্ত্ব হাজির (আরো পড়ূন)
আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণরাজনৈতিক চেতনা বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ পর্যালোচনা করছি। রাষ্ট্র ‘মেরামত’ করা জরুরি হয়ে পড়েছে এই দাবি শিশু কিশোরদের (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের রাজনীতির দুর্ভাগ্য হচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিক শ্রেণীর উপস্থিতি যেমন নাই, তেমনি কৃষকও হাজির নাই। জাতীয় রাজনীতিতে হতদরিদ্র সর্বহারা এবং বিভিন্ন মেহনতজীবী জনগণকেও আমরা হাজির দেখি না। দ্বিতীয়ত তথাকথিত প্রতিনিধিত্বমূলক গমতন্ত্র (?) জনগণকে স্রেফ ভোটের সংখ্যায় পর্যবসিত করে। বিএনপি আওয়ামী লীগের মতোই জনগণকে ভোটের সংখ্যা হিশাবে বোঝে। এর অধিক কিছু বোঝার কোন বাধ্যবাধকতা বিএনপির নাই। কারণ বিএনপি শ্রেণী রাজনীতি করে না। কিন্তু 'জনগণ' স্রেফ সংখ্যা নয়। গণরাজনৈতিক ধারার বিকাশের জন্য তাই বিভিন্ন শ্রেণীর আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সত্তার বিচার জরুরি। কিন্তু তথাকথিত নির্বাচন-সর্বস্ব গণতন্ত্রে সেটা (আরো পড়ূন)
কিছুদিন আগেও আমরা প্রায়ই শুনতাম দল হিশাবে বিএনপি শেষ হয়ে গিয়েছে, একদিকে ভুল রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা এবং অপরদিকে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমখুন হাজার হাজার কর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ এবং লক্ষ লক্ষ কর্মীর মাথার ওপর মামলা ঝুলিয়ে রেখে তাদের ঘরছাড়া করা ইত্যাদি নানা কারনে বিএনপির পক্ষে আর জাতীয় দল হিশাবে দাঁড়ানো সম্ভব না, ইত্যাদি। এই সময় ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো গড়ে উঠেছিল এবং তাদের ছোট বড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি বিরোধী গণরাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু বিএনপির দিক থেকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদান যুক্ত হয়েছে সেটা হচ্ছে বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে নি (আরো পড়ূন)
বিএনপি ‘দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত এক সুকঠিন ‘জাতীয় ঐকমত্য’ চায়। কিন্তু ‘দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত এক সুকঠিন ‘জাতীয় ঐকমত্য’ বলতে বিএনপি কি বোঝে? কিম্বা আমরাই বা এর দ্বারা কি বুঝেছি? ‘দেশ প্রেম’, 'জাতি' ‘জাতীয় ঐক্য’ ইত্যাদি আবেগী ধারণা। রাজনীতিতে আবেগের দরকার হয়, তার ব্যবহার আছে। সাধারণ মানুষের কাছে দেশ অরধানত তার 'আবাস', তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, সংস্কৃতি, ইত্যাদি। কিন্তু লুটেরা ও ধনী শ্রেণীর কাছে দেশ নিছকই তাদের অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি ও ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি স্ (আরো পড়ূন)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ (An Outline of the Structural Reforms of the State) তুলে ধরেছেন। এই ঘোষণা উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দশই ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। গোলাপবাগ সমাবেশে বিএনপি তার দশ দফা পেশ করেছিল। আমরা তখন বিএনপির সমাবেশের সাফল্যকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ বলেছি। কিন্তু গোলাপবাগ সমাবেশে ঘোষিত দশ দফাকে বলেছি, 'য (আরো পড়ূন)
১.
পাকিস্তান আমল থেকেই গণতন্ত্র কায়েমের প্রশ্ন স্রেফ নির্বাচনী প্রশ্ন, অর্থাৎ নির্বাচন করা বা না করা, কার অধীনে নির্বাচন হবে, কিভাবে হবে -- ইত্যাদি তর্কের মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরও আজ অবধি সেই তর্কের অবসান হয় নি। বাংলাদেশ পুরানা প্রত্নতাত্ত্বিক ভাঙা রেকর্ডের মতো নির্বাচনসর্বস্ব পাকিস্তানী রাজনীতিই করে যাচ্ছে। নির্বাচন আর গণতন্ত্র সমার্থক নয় -- এই অতি প্রাথমিক জ্ঞানটুকু আমরা আজও অর্জন করতে পারি নি।
‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ও রাষ্ট্র ‘গঠন’ করবার ধারণা যে একদমই ভিন্ন ও পৃথক এবং গণতন্ত্র কায়েম যে (আরো পড়ূন)
১. আমরা কি চাই?
আমরা মানুষের মহিমা উপলব্ধি করতে চাই, একালে তার তাৎপর্য বিচারের জন্য সজীব ও সক্রিয় চিন্তার ধারা গড়ে তোলা জরুরি মনে করি, যেন বৈষয়িক জীবন ও জগতের অন্তর্গত মানুষকে তার সামগ্রিক কায়কারবারসহ আমরা বুঝতে পারি। বুঝতে পারি কিভাবে বৈষয়িক জীবন ও জগত মানুষকে এবং বিপরীত দিক থেকে মানুষের চিন্তা বৈষয়িক জীবন ও জগতকে প্রভাবিত ও নির্ণয় করে। এই পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা ও বিচার একালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তার পরও কোন অতিরিক্ত দিব্য সম্ভাবনা 'মানুষ' নামক জীবের রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন আমরা তুলি। কারণ এর দ্বারাই মানুষের অনাগত ভবিষ্যৎ স (আরো পড়ূন)