চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

আসুন, চিন্তা করতে শিখি

নীচের লেখাটা পুরনো। আশাকরি এখনও প্রাসঙ্গিক। এ বিষয়গুলো নিয়ে নানা ভাবে লিখেছি, আরো লিখব বলে এখানে আবার শেয়ার করলাম। কেউ একজন প্রশ্ন করেছিল 'গণতন্ত্র ও নাগরিকতা কি ধ্রুব কিছু?' । এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখা।

কিন্তু লেখাটা উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতো অপচয় হয়েছে। আমাদের দেশে এক ধরণের ভূয়া ইসলামিস্ট আছে যাদের সাধনা হচ্ছে সেকুলার মহলে স্বীকৃতি পাওয়া। তারা এমন ভাবে প্রশ্ন তোলে যাতে মনে হয় তারা বুঝি আসলেই এই প্রশ্নের মীমাংসা চায়। অথচ এটা কিন্তু আসলেই ভাল প্রশ্ন ছিল। কিন্তু ঘুরিয়ে ভাত খাওয়ার মতো অবস্থা। স্মার্টগিরি ফলানো আর কি!! ফেইসবুকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করলাম -- ব্যস। অতোদূর।

এই প্রশ্ন (আরো পড়ূন)

মৃতরা মুর্দা কবর দিতে থাকুক, নবজীবনের রাজপথে প্রবেশ করতে পারা ঈর্ষণীয় ব্যাপার, আর সেটাই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ

দুর্ভাগ্য আমাদের যে ‘কমরেড’ সম্বোধনকে বাংলাদেশে আমরা অতিশয় হীন ও তামাশাপূর্ণ করে তুলেছি। কারন আমরা সহযোগিতা, বন্ধুত্ব এবং একসঙ্গে কাজ করবার রীতি থেকে বহু আগে ভ্রষ্ট হয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক দুর্দশা থেকেই সেটা স্পষ্ট।

দুঃখজনক যে বাংলাদেশে কোন শক্তিশালী গণরাজনৈতিক ধারা আমরা গড়ে তুলতে পারি নি। সবচেয়ে বিশাল ক্ষতি হয়েছে যখন বাংলাদেশের বামপন্থা গণবিপ্লবী মতাদর্শকে ধর্ম বিশেষত ইসলামের বিপরীতে হাজির করতে শুরু করে। এটা ছিল হিন্দুত্ববাদী দিল্লীর ইসলাম নির্মূল রাজনীতির অংশ। এর ফলে কমিউনিজমসহ সকল গণবিপ্লবী ধারার প্রতি জনগণ সন্দিহান ও অবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।

এর ফল হয়েছে মারাত্মক। এই দুর্দশা বা (আরো পড়ূন)

মানবাধিকার অস্বীকার করার অর্থ মানুষের মানবিক সত্তা অস্বীকার করা

আমার একটি পোস্টে আমি নেলসন মানডেলাকে ‘কমরেড’ সম্বোধন করায় আমার একজন ফেইসবুক বন্ধু জিজ্ঞাসা করেছেন তাঁকে কেন আমি ‘কমরেড’ সম্বোধন করলাম? ভাল প্রশ্ন।

যারা জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের জন্য লড়েন তাদের যথাযথ সম্মান জানাবার জন্য ‘কমরেড’ ঐতিহাসিক কারণেই খুবই সম্মানসুচক সম্বোধন। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এপারথেইড’ বা জাতিবৈষম্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নেলসন মান্ডেলার লড়াইয়ের জন্য তাঁকে ‘কমরেড’ সম্বোধন করা রীতি।

এছাড়াও নেলসন মানডেলাকে 'কমরেড' সম্বোধন করা হয় কারণ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস’ (ANC)--এর একজন সক্রিয় সদস (আরো পড়ূন)

সকল ফ্রন্টে প্রতিরোধ শক্তিশালী হোক

কোন আরব দেশ করে নি, কোন মুসলিম দেশও নয়, গাজায় গণহত্যার মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত করে ইজরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে (ইন্টারন্যাশলাল কোর্ট অফ জাস্টিস) তুলল দক্ষিণ আফ্রিকা: কালোমানুষদের দেশ, কমরেড নেলসন মান্ডেলার দক্ষিণ আফ্রিকা। জিন্দাবাদ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিন্দাবাদ কমরেড নেলসন মান্ডেলা।   

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলার গণশুনানি বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী, ২০২৪ তারিখে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) শুরু হয়েছে। বিচারের প্রথম দিনে, দক্ষিণ আফ্রিকা গত ২৯ ডিসেম্বর গণহত্যার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আভেদন জানিয়ে যে মামলাটি দায়ের করেছিল তার (আরো পড়ূন)

সংবিধান ও গণতন্ত্র 

ভূমিকা

এক 

পত্র পত্রিকায় ‘কলাম’ বলে খ্যাত যেসব লেখালিখি নব্বই সালের দিকে করেছি, তাদের মধ্যে কয়েকটি 'সংবিধান ও গণতন্ত্র' নামের পুস্তিকায় প্রতিপক্ষ প্রকাশনী ছেপেছিল ১৯৯৩ সালে— প্রায় পনেরো বছর পার হতে চলেছে। অনেকদিন হোল পুস্তিকাটি আর পাওয়া যাচ্ছে না। নানা কারণে পুস্তিকাটির কথা অনেকে বলেন। কিছু চাঁচাছোলা কথা সেই নব্বইয়ের শুরু থেকেই আমি বলে আসছি যার গুরুত্ব ক্রমে ক্রমে বাংলাদেশের বাস্তব রাজনৈতিক ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে বেড়েছে। যে সকল প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছি তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি কিভাবে প্রসঙ্গগুলো তুলেছিলাম সেই দিকটাও মূল্য (আরো পড়ূন)

‘ঘোড়ার জীন মাটিতে লাগে না, রাজাবাবুকে চড়ে বসলেই হোল’ অথবা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্ম হয় কীভাবে? 

একটি প্রবাদ শুনেছিলাম এরকম: ‘ঘোড়ার জিন মাটিতে লাগে না, রাজাবাবুকে চড়ে বসলেই হোল’। বাক্যটির পশ্চাতে সামন্ত ব্যবস্থার প্রতি একটা কটাক্ষ আছে‌। রাজার শরীর আর তার বাহনের উপর স্থাপিত আসনের সঙ্গে মাটির কোনো যোগ নেই। প্রজাদের সঙ্গে ধরাছোঁয়া নেই। আমাদের মত দেশে যেখানে আমরা পশ্চাদপদ সামন্ত সম্পর্কগুলোকে রাজনৈতিকভাবে লড়ে বিনাশ করি নি সেখানে ঔপনিবেশিক শক্তি সরে যাবার পর তার গাঁথুনির উপর ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্র হিসাবে যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটাও সেই রকম : ‘ঘোরার জীন মাটিতে লাগে না, রাজাবাবুকে চোড়ে বসলেই হোল’।

সেই সামন্ত উপনিবেশিক ধারাবাহিকতায় একদিকে আমাদের দেশের সেন (আরো পড়ূন)

গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নাই 

গত সোমবার নভেম্বরের বারো তারিখে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তাঁর পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকে ‘নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নাই’ শিরোনামে বর্তমান আন্দোলন সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। তিনি লিখছেন, ‘সুস্থ চিন্তা-ভাবনার লোকদের উদ্বেগের শেষ নাই, কীভাবে আন্দোলনকে নিয়মতান্ত্রিক পথে রাখা সম্ভব।’ কেন এই উদ্বেগ? মইনুল হোসেন লিখছেন, ছাত্র-জনতা ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফাটিয়া পড়িতেছে। আন্দোলনে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পাইতেছে। কোন কোন দায়িত্বশীল নেতা এই আশঙ্কা ব্যক্ত করিয়াছেন যে, আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের দিকে মোড় নিতেছে। ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ এইবারের আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করিতেছে (আরো পড়ূন)

অভ্যুত্থান পরবর্তী পদক্ষেপ: এখন কী করতে হবে 

এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে দুটো ব্যাপার লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। একদিকে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতৃত্বে এক অসাধারণ গণঅভ্যুত্থান, অথচ অপরদিকে সমরতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গায়ে একটি আঁচড় না লাগা। জনগণকে দমন করবার সকল নাট-বল্টুসহ রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক ভিত্তি ও কাঠামো পুরোপুরি সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত থেকে গেছে। অবাক লাগে, এত বড় অভ্যুত্থান হবার পরেও রাষ্ট্রের গায়ে একটি আঙ্গুলের টোকাও টুক্ করল না। ওটা বহাল তবিয়তেই খোশহাল বজায় আছে। এটাও আশ্চর্যের যে এতো বড়ো বিজয়ের পরেও আমরা ব্যক্তির মৌলিক অধিকার বিরোধী গণধিকৃত স্পেশাল পাওয়ার এক্টিটি পর্যন্ত এখনো রদ করতে পারি নি। অন্যান্য কালো আইনের কথাটি অনেক দূরের ব্যাপার। ইতি (আরো পড়ূন)

সংবিধান ও নাগরিকদের গণতান্ত্রিক চেতনা, ইচ্ছা ও সংকল্প 

বিচারপতি সৈয়দ সাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার রোকনুদ্দিন মাহমুদ। প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে তুলেছেন বা আইনি ভাষায় ‘রেফারেন্স’ প্রেরণ করেছেন। তার মানে প্রধান বিচারপতি বা জুডিশিয়াল কাউন্সিল মনে করেছেন বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার। রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি বা জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেলেও তদন্তের নির্দেশ দেবার এখতিয়ার রাখেন। খবরের কাগজে যখন আমরা দেখলাম যে, রাষ্ট্রপতি এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ চেয়েছেন তখন নাগরিক হিশাবে অনেক সাংবিধানিক এবং বাংলা (আরো পড়ূন)

গণতন্ত্রের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের মৌলিক সংঘাতটা কোথায়? 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এই বর্বরতা শুধু ভয় জাগিয়েই ক্ষান্ত হয় নি, সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকের মনে প্রশ্নও জাগিয়ে তুলেছে হাজারো রকম। কী চায় জামায়াত-শিবির? তারা কি চায় নির্বাচন না হোক এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির অজুহাতে সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করুক? অপরদিকে প্রশ্ন জাগে, এরশাদ ও তার অনুচররা তো এখন আর ক্ষমতায় নেই, অতএব প্রশাসনের নির্ভয়ে এখন কাজ করতে পারা উচিত। স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের অবর্তমানে এ ধরনের ঘটনা ঘটা তো অনেক পরের কথা, ঘটবার আগেই প্রশাসনের উচিত ছিল তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ দূরে থাকুক ঘটনা (আরো পড়ূন)