চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

মন তুই করলি একি ইতরপনা

মন তুই করলি একি ইতরপনা
দুগ্ধেতে যেমন রে তোর
    মিশলো চোনা।।

শুদ্ধ রাগে থাকতে যদি
হাতে পেতে অটলনিধি
বলি মন তাই নিরবধি
     বাগ মানে না।।

কী বৈদিকে ঘিরলো হৃদয়
হ’ল না সুরাগের উদয়
নয়ন থাকিতে সদাই
     হ’লি কানা।।

বাপের ধন তোর খেল সর্পে
জ্ঞানচক্ষু নাই দেখবি কবে
লালন বলে হিসাবকালে
     যাবে জানা।।

(আরো পড়ূন)

আমার চরকা ভাঙা টেকো আড়ানে

আমার চরকা ভাঙা টেকো আড়ানে
আমি টিপে সোজা করব কত
আর তো প্রাণে বাঁচিনে ।।

একটি আঁটি আরকটি খসে
বেতো চরকা লয়ে যাব কোন দেশে
আর কতকাল জ্বলবো এ হালে
এ বেতো চরকার গুণে ।।

কিবা ছুতোর ব্যাটার গুণ পরিপাটি
ষোল কলে ঘুরায় টেকোটি
তার একটি কলে বিকল হলে
সারতে পারে কোনজনে ।।

সামান্য কাঠ পাটের চরকা নয়
যে খসলে খুঁটো খেটে আঁটা যায়
মনবদেহ চরকা সেহ
লালন কি তার ভেদ জানে ।।

(ভোলাই শার খাতা, গান নং ১২৩৯; পৃষ্ঠা ৬৭)

 

 

(আরো পড়ূন)

(কবে)সাধুর চরন ধুলি(মোর) লাগবে গায়

(কবে)সাধুর চরন ধুলি(মোর) লাগবে গায়
(আমি) বসে আছি আশাসিন্ধু কুলে সদাই।।

চাতক যেমন মেঘের জল বিনে
অহর্নিশি চেয়ে থাকে মেঘ ধেয়ানে
(ও সে) তৃষ্ণায় মৃত্যুর গতি জীবনে (হোল)
   সে দশা আমার।।

ভজন সাধন আমাতে নাই
কেবল মহৎ নামের দেই গে দোহাই
(তোমার) নামের মহিমা জানাও গো সাঁই
   পাপীর  হও সদয়।।

শুনেছি সাধুর করুনণা
সাধুর চরন পরশিলে হয়গো সোনা
বুঝি আমার ভাগ্যে তাও হোলনা ফকির
   লালন কেঁদে কয়।।

 

(আরো পড়ূন)

আশাসিন্ধু তীরে বসে আছি সদায়

আশাসিন্ধুতীরে বসে আছি সদায়
সাধুর যুগল চরণধুলি
   লাগবে কি এই পাপীর গায়।।

ভালোর ভাগী অনেক জনা
মন্দের ভাগী কেউতো হয় না
কেবল সাধু দয়াবান, সবারই সমান
   তাইতো দোহাই দেই তোমায়।।

সাধু না লইবে তারে
কে আর লইবে তারে
তুমি জানাও মহিমা, কর পাপ ক্ষমা
   এই পাপীর হও সদায়।।

দিনের দিন ফুরায়ে এলো
মহাকালে ঘিরে নিলো
বলে মূঢ় লালন, হীন হয়েছি ভজন
   না জানি মোর ভাগ্যে কি হয়।।

 

(আরো পড়ূন)

গুনে পড়ে সারলি দফা

গুনে পড়ে সারলি দফা
    করলি রফা গোলেমালে
চিনলি না মন কোথা সে ধন
    ভাজলি বেগুন পরের তেলে

করলি বহুত পড়াশোনা
    কাজে কামে ঝলসে কানা
কথায় তো চিড়ে ভেজে না
    জল কিম্বা দুধ না দিলে।।

আর কি হবে এমন জনম
    লুটবি মজা মনের মতন
বাবার হোটেল ভাঙবি যখন
    খাবি তখন কারবা শালে।।

হায় কি মজা তিলে খাজা
    দেখলিনা মন কেমন মজা
লালন কয় বেজাতের রাজা
    হয়ে রইলাম একই কালে।।

(আরো পড়ূন)

আমার দিন কি যাবে এই হালে

আমার দিন কি যাবে এই হালে
আমি পড়ে আছি অকুলে
কত অধ্ম পাপী তাপি
  অবহেলায় তারিলে।।

জগাই মাধাই দুটি ভাই,
কাঁধা ফেলে মারিলে গায় তারেও তো নিলে,
আমি পাপি ডাকছি সদায়
  দয়া হবে কোন কালে।।

অহল্যা পাষানী ছিল
সেও ত মানবী হল(প্রভুর) চরন ধুলতে,
আমি তোমার কেউ নহি গো[১]
  তাই কি মনে ভাবিলে।।

তোমার নাম লয়ে যদি মরি
দেখব তবু তোমারেই আর যাব কোন কুলে
তোমা বই আর কেউ নাই আমার
  মূঢ় লালন কেঁদে বলে।।

 

(আরো পড়ূন)

দয়াল  নিতাই কারো ফেলে যাবে না

দয়াল  নিতাই কারো ফেলে যাবে না
  ধর চরণ ছেড় না ।।

দৃঢ় বিশ্বাস করেরে মন
ধর নিতাই চাঁদের চরণ
এবার পার হবি পার হবি তুফান
  এপারে কেউ থাকবে না।।

হরি নাম তরনী লয়ে
ফিরছে নিতাই নেয়ে হয়ে
এমন দয়াল চাঁদকে পেয়ে
  শরন কেন নিলে না।।

কলির জীবকে হয়ে সদায়
পারে যেতে ডাকছে নিতাই
অধীন লালন বলে মন চল যাই
  এমন দয়াল মিলবে না।।

 

(আরো পড়ূন)

চরণ পাই যেন কালাকালে

চরণ পাই যেন কালাকালে
   ফেলো না দূর-অধ্ম বলে।।

সাধলে পাবো চরন তোমার
সে-ক্ষমতা নাই গো আমার
দয়াল নাম শুনিয়ে আশায়
   চেয়ে আছি কাঙ্গালে।।

জগাই মাধাই পাপী ছিল
কাঁধা ফেলে গায়ে মারিল
তাহে প্রভুর দয়া হলো
  দয়া কর সেই হালে।।

ভারত-পুরাণেতে শুনি
পতিত পাবন নামের ধ্বনি
(ফকির) লালন বলে সত্য জানি
   অধীনে চরন দিলে।।

 

(আরো পড়ূন)

ক্ষম অপরাধ ওহে দীননাথ

ক্ষম অপরাধ ওহে দীননাথ 
কেশে ধরে আমায় লাগাও কিনারে।
তুমি হেলায় যা কর তাই করতে পার
      তোমা বিনে পাপীর তারন কে করে।।

না বুঝে পাপ সাগরে ডুবে খাবি খাই
শেষ কালে তোর দিলাম গো দোহাই
এবার আমায় যদি না তরাও গো সাঁই
     তোমায় দয়াল নামের দোষ রবে সংসারে।।

শুনতে পাই পরম পিতা গো তূমি
অতি অবোধ বালক আমি
যদি ভজন ভুলে  কুপথে ভ্রমি
    তবে দাও না কেন সুপথ স্মরণ করে।।

পতিতকে তারিতে পতিত পাবন নাম
তাইতো তোমায় ডাকি গুণধাম
তুমি আমার বেলায় কেন  হইলে বাম
    আমি আর কতকাল ভাসব দুংখের পাথরে।।

অথই তরঙ্গে আতঙ্কে মরি
কোথায় হে অপারের কাণ্ডারী
অধীন লালন বলে তরাও হে তরি
     নামের মহিমা জানুক  ভবসংসারে।।

(আরো পড়ূন)

এমন সুভাগ্য আমার কবে হবে

এমন সুভাগ্য [১] আমার কবে হবে
দয়াল চাদঁ আসিয়ে আমায়
    পার করিবে।।

সাধনের বল আমার কিছুই নাই
কেমনে সে পারে যাই
কূলে বসে দিচ্ছি দোহাই
    অপার ভেবে।।

পতিত পাবন নামটি তার
তাই শুনে বল হয় আমার
আবার ভাবি এই পাপীর ভার
   সেকি ল'বে।।

গুরুপদে ভক্তিহীন
হয়ে রইলাম চিরদিন
লালন বলে কী করিতে
  এলাম ভবে।।

(আরো পড়ূন)

এস হে অপারের কাণ্ডারী

এস হে অপারের কাণ্ডারী
(আমি) পড়েছি অকুল পাথারে
     দাও আমায় চরণতরী।।

প্রাপ্ত পথও ভুলেছি এবার
ভবকুপে জ্বলবো কত আর [১]
তুমি নিজ গুণে শ্রীচরন দাও আমায়
তবে কূল পেতে পারি।।

ছিলাম কোথায় এলাম হেথায়
আবার আমি যাই যেন কোথায় [২]
তুমি মনরথের সারথি হয়ে
    স্বদেশে নাও মনেরি।।

পতিত পাবন নাম তোমার গো সাঁই
পাপী তাপী তাইতে দেই দোহাই
অধীন লালন ভনে তোমা বিনে
   ভরসা কারে করি।।

(আরো পড়ূন)

পার কর দয়াল এসে কেশে ধরে

পার কর দয়াল এসে কেশে ধরে[১]
পড়েছি এবার আমি ঘোর সাগরে।।

মনেন্দ্রিয় ছয়জন সদাঁই  অশেষ কুকাণ্ড বাধায়
ডুবালে ঘাট অঘাটায়  আজ আমারে।।

ভব কুপেতে আমি  ডুবে হইলাম পাতালগামী
অপারের কাণ্ডারী তুমি  নাও কিনারে।।

আমি কার কেবা আমার  বুঝেও বুঝিলাম না এবার
এবার অসারকে ভাবিয়ে সার  প’লাম ফেরে।।

হারায়ে সকল উপায় শেষকালে তোর দিলাম দোহাই
লালন কয় দয়াল নাম সাঁই  জানিবো তোরে।।

(আরো পড়ূন)

মুরশিদের ঠাঁই নে না রে তার ভেদ বুঝে

মুরশিদের ঠাঁই নে না রে তার ভেদ বুঝে
এ দুনিয়ার সিনায় সিনায় কী ভেদ নবী বিলায়েছেন।।

নেকতন বান্দারা যত
ভেদ পেলে আউলিয়া হোত
নাদানেরা শূল চাঁচিত
  মনসুর তার সাবুদ আছে।

সিনার ভেদ সিনায় সিনায়
সফিনার ভেদ সফিনায়
যে পথে যার মন হোল ভাই
  সেই সেভাবে দাঁড়িয়েছে।।

কুতর্ক আর কুস্বভাবী
তারে ভেদ বলে নাই নবী
ভেদের ঘরে দিয়ে চাবি।।
  শরা মতে বুঝায়েছে।।

তফসির হোসাইনি যার নাম
তাঁই ধুঁড়ে মসনবি কালাম
ভেদ-ইশারায় লেখা তামাম
    লালন বলে নাই নিজে।।

(আরো পড়ূন)

ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা

ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা
(ওগো) যার পেয়ালায় হৃদ কমলা
    ক্রমে হবে উজলা।।

নবীজীর খানদানেতে
পেয়ালা চারিমতে
জেনে নাও দিন থাকিতে
   ওরে আমার মন ভোলা।।

কোথা আবহায়াত নদী
ধারা বয় নিরবধি
সেই ধারা ধরবি  যদি[১]
   দেখবি অটলের খেলা।।

এপারে কে অনিল
ওপার কে নেবে বল
লালন কয় তারে ভোল
   কেন রে করে অবহেলা।।

 

(আরো পড়ূন)

মুরশিদ বিনে কি  ধন

মুরশিদ বিনে কি  ধন আর
     আছে রে মন এ জগতে।।

যে নামে স্মরণে হারে
তাপিত অঙ্গ শীতল করে
ভববন্ধন ছুটে যায় রে
জপ ঐ নাম দিবারাতে।।

মুরশিদের চরনের সুধা
পান করিলে যাবে ক্ষুধা
কোর নারে দিলে দ্বিধা
যেহি মুরশিদ সেহি খোদা
ভজ অলি আল-মুরশিদা
     আয়াত লেখা কোরানেতে।।

আপনি খোদা আপনি নবী
আপনি সেই আদম শফি
অনন্তরূপ করে  ধারন
কে বুঝে তার নিরাকরন
নিরাকার হাকিম নিরঞ্জন
     মুরশিদ রূপ ভজন পথে।।

কুল্লে শাইয়িন মহিদ আরো
আলা কুল্লে শাইয়িন কাদির পড়ো
কালাম নেহাজ করো
তবে সব জানিতে পার
কেনে লালন ফাঁকে ফেরো
     ফকিরি নাম পাড়াও মিথ্যে।।

 

(আরো পড়ূন)

পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়

পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়
রূপকাষ্ঠের নৌকাখানি নাই ডুবার ভয়
    সেই নৌকর নাই ডুবার ভয়।।

বেশরা নেয়ে যারা
তুফানে যাবে মারা   একই ধাক্কায়
কি করবে (তোর) বদর গাজী থাকবে কোথায়
    বদর গাজী থাকবে কোথায়।।

নবী না মা নে যারা
মোহায়েদ কাফের তারা  এই দুনিয়ায়;
ভজনে তার নাই মুজিরী সাফ লেখা যায়
    দলিলে সাফ লেখা যায়।।

যে মুর্শিদ সেইতো রসুল
তাহাতে নাই কোন ভুল  খোদাও সে হয়
লালান বলে নাই এ কথা কোরানে কয়
    সে কথা কোরানে কয়।।

(আরো পড়ূন)

এলাহি আলামীন (গো) আল্লা-বাদশা আলমপনা তুমি

এলাহি আলামীন (গো) আল্লা-বাদশা আলমপনা তুমি
(তুমি) ডুবায়ে ভাসাইতে পার, ভাসায়ে কিনার দাও কারো
রাখো মারো হাত তোমারও, তাইতে তোমায় ডাকি আমি [১]।।

 নূহ নামে এক নবীরে, ভাসালে অকুল
আবার তারে মেহের করে, আপনি লাগাও কিনারে
জাহের আছে এিসংসারে, আমায় দয়া কর স্বামী।।

নিজাম নামে বাটপার সেতো, পাপেতে ডুবিয়া রইত
তার মনে সুমতি দিলে,কুমতি তার গেল চলে[২] 
আউলিয়া নাম খাতায় লিখিলে, জানা গেল এই রহমি।।

নবী না মানে যাঁরা, মোয়াহেদ-কাফের তারা[৩]
সেই মোহাহেদ-দায়মাল হবে, বেহিশাব দোজখে যাবে
আবার তারে খালাস দিবে, লালন কয় মোর কি হয় জানি।।

(আরো পড়ূন)

গুরু, সুভাব দাও আমার মনে

গুরু, সুভাব দাও আমার মনে
রাঙা চরণ যেন ভুলিনে।।

গুরু, তুমি নিদয় যার প্রতি
ও তার সদাই ঘটে কুমতি
তুমি মনোরথের সারথী
     যথা নাও যাই সেইখানে।।

গুরু, তুমি তন্ত্রের তন্তরী
গুরু, তুমি মন্ত্রের মন্তরী
গুরু, তুমি যন্ত্রের যন্তরী
     না বাজাও তো বাজবে কেনে।।

আমার জন্ম-অন্ধ মন –নয়ন
তুমি বৌদ্ধ সচেতন
চরন দেখবো আশায় কয় লালন
      জ্ঞান অঞ্জন দাও নয়নে।।

 

(আরো পড়ূন)

ক্ষম অপরাধ ওহে দীননাথ

ক্ষম অপরাধ ওহে দীননাথ
কেশে ধরে আমায় লাগাও কিনারে।
তুমি হেলায় যা কর তাই করতে পার
      তোমা বিনে পাপীর তারন কে করে।।

না বুঝে পাপ সাগরে ডুবে খাবি খাই
শেষ কালে তোর দিলাম গো দোহাই
এবার আমায় যদি না তরাও গো সাঁই
       তোমায় দয়াল নামের দোষ রবে সংসারে।।

শুনতে পাই পরম পিতা গো তূমি
অতি অবোধ বালক আমি
যদি ভজন ভুলে কুপথে ভ্রমি
      তবে দাও না কেন সুপথ স্মরন করে।।

পতিতকে তারিতে পতিত পাবন নাম
তাইতো তোমায় ডাকি গুনধাম
তুমি আমার বেলায় কেন হইলে বাম
      আমি আর কতকাল ভাসব দুংখের পাথরে।।

অথই তরঙ্গে আতঙ্কে মরি
কোথায় হে অপারের কাণ্ডারী
অধীন লালন বলে তরাও হে তরি
      নামের মহিমা জানুক ভবসংসারে।।

 

(আরো পড়ূন)

ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা

ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা
(ওগো) যার পেয়ালায় হৃদ কমলা
ক্রমে হবে উজলা।।

নবীজীর খানদানেতে
পেয়ালা চারিমতে
জেনে নাও দিন থাকিতে
ওরে আমার মন ভোলা।।

কোথা আবহায়াত নদী
ধারা বয় নিরবধি
সেই ধারা ধরবি যদি[১]
দেখবি অটলের খেলা।।

এপারে কে অনিল
ওপার কে নেবে বল
লালন কয় তারে ভোল
কেন রে করে অবহেলা।।

 

(আরো পড়ূন)

আমি আর কতদিন জানি

আমি আর কতদিন জানি এই অবলার পরাণই

এ জ্বলনে জ্বলবে ওহে দয়েশ্বর।

চিরদিন দুঃখের অনলে প্রান জ্বলছে আমার।।

 

দাসী ম’লে ক্ষতি নাই, যাই হে মরে যাই

দয়াল নামের দোষ রবে হে গোঁসাই।

আমায় দাও হে দুঃখ যদি, তবু তোমায় সাধি

তোমা ভিন্ন দোহাই আর দিব কার।।

 

ও মেঘ হইয়ে উদয় লুকালো কোথায়

পিপাসীর প্রাণ যায় পিপাসায়।

আমার কি দোষের ফলে এ দশা ঘটালে

চাও হে নাথ ফিরে চাও হে একবার।।

 

আমি উড়ি হাওয়ার সাথ ডুরি তোমার হাত

তুমি না তরালে কে তরাবে হে নাথ।

আমায় ক্ষম অপরাধ দাও হে শীতল পদ

লালন বলে প্রাণে সহে না তো আর।।

 

(আরো পড়ূন)

কি মহিমা করলেন গো সাঁই

কি মহিমা করলেন গো সাঁই

বোঝা গেলো না

মন ভোলা চাঁদ ছলা করে

বাদী আছে ছয় জনা ॥

 

যত শত মনে করি

ভাব দিলে ঘুরে মরি

কোথায় রইলেন দয়াল বারী

ফিরে কেন চাইলে না ॥

 

করে তোর চরণের আশা

ঘটলো আমার এ দুরদশা

সার হোল যাওয়া আসা

কিনার তো আর পাইলাম না ॥

 

জনম গেল দেশে দেশে

ভজন সাধন হবে কিসে

লালন তাই ভাবছে বসে

ভবে হোল যাতনা ॥

 

(আরো পড়ূন)

এলাহি আলামিন গো বাদশা

এলাহি আলামিন (গো) আল্লা-বাদশা আলমপানা তুমি

(তুমি) ডুবায়ে ভাসাইতে পার,

ভাসায়ে কিনার দাও কারো

রাখো মারো হাত তোমারও

তাইতে তোমায় কি ডাকি আমি (১) ॥

 

নূহ্‌ নামে এ নবীরে, ভাসালে অকুল পাথরে

আবার তারে মেহের করে, আপনি লাগাও কিনারে

জাহের আছে ত্রিসংসারে, আমায় দয়া কর স্বামী॥

 

নিজাম নামে বাটপাব সেতো, পাপেতে ডুবিয়া রইত

তার মনে সুমতি দিলে, কুমতি তার গেল চলে (২)

আউলিয়া নাম খাতায় লিখিলে, জানা গেল এই রহম॥

 

নবী না মানে যারা, মোয়াহেদ কাফের তারা (৩)

সেই মোয়াহেদ দায়মাল হবে,

বেহিশাব দোজখে যাবে

আবার তারে খালাস দিবে, লালন কয় মোর কি হয় জানি ॥

 [ভোলাই শা-র খাতা, গান নং ৮৭; বাংলার বাউল, গান নং ৬’ বরীন্দ্রভবন [২।১]: ১, পৃ-১৩২]

 

(আরো পড়ূন)

আমার দিন কি যাবে এই হালে

আমার দিন কি যাবে এই হালে
আমি পড়ে আছি অকুলে
   কতো অধম পাপী তাপী অবহেলে তারিলে
   ও ও ও।।

জগাই মাধাই দুটি ভাই
কাঁধা ফেলে মারিল গায় তারেও তো নিলে
   আমি পাপী ডাকছি সদাই দয়া হবে কোন কালে।।

অহল্যা পাষাণী ছিল
সেও তো মানবী হোল (প্রভুর) চরণ ধূলাতে
   আমি তোমার কেউ নই দয়াল তাই কি মনে ভাবিলে।।

তোমার নাম লয়ে যদি মরি
দেখব তবু তোমারেই আর যাব কোন কূলে?
তোমা বৈ আর কেউ নাই আমার
   মূঢ় লালন কেঁদে বলে।।

 

(আরো পড়ূন)