আমার একটি পোস্টে আমি নেলসন মানডেলাকে ‘কমরেড’ সম্বোধন করায় আমার একজন ফেইসবুক বন্ধু জিজ্ঞাসা করেছেন তাঁকে কেন আমি ‘কমরেড’ সম্বোধন করলাম? ভাল প্রশ্ন।
যারা জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের জন্য লড়েন তাদের যথাযথ সম্মান জানাবার জন্য ‘কমরেড’ ঐতিহাসিক কারণেই খুবই সম্মানসুচক সম্বোধন। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এপারথেইড’ বা জাতিবৈষম্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নেলসন মান্ডেলার লড়াইয়ের জন্য তাঁকে ‘কমরেড’ সম্বোধন করা রীতি।
এছাড়াও নেলসন মানডেলাকে 'কমরেড' সম্বোধন করা হয় কারণ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস’ (ANC)--এর একজন সক্রিয় সদস্য এবং শীর্ষ নেতা ছিলেন। ANC একটি সমাজতান (আরো পড়ূন)
জেসমিনের কি অপরাধ ছিল তা তদন্তের বিষয়। কিন্তু, তাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দেয়া এই আইনের ‘অপব্যবহার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ২৯ মার্চ আইনমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা অনেকটা ‘এপোলজেটিক’।
জেসমিন সুলতানা র্যাবের হাতে আটক অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁকে রাজশাহী র্যাব-৫ এর একটি দল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এনামুল হকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করেছিল। জেসমিন সুলতানা একজন চাকরিজীবী নারী ছিলেন, তিনি সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
যেদিন জেসমিনকে আটক করা (আরো পড়ূন)
সাজানো বা বিন্যাসের প্রশ্ন
আমরা ‘আইন, সংবিধান ও গণতন্ত্র’ নিয়ে কথা বলব। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা নতুন নয়, কিন্তু সম্প্রতি গণতন্ত্র কাজ করছে না, এই অভিযোগ খোদ পাশ্চাত্যে প্রবল ভাবে উঠেছে। লিবারেলিজম সম্পর্কে পুরানা অভিযোগ যে উদারবাদী রাজনৈতিক আদর্শের কেচ্ছা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এক কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েমের আদর্শ। মার্কিনিরা তাদের স্বার্থের তাগিদে দেশে দেশে যাকে যখন দরকার ক্ষমতায় বসায়, সরকার বদলায়, অভ্যূত্থান ঘটায়, ইত্যাদি। তাদের কাজ বিশ্ব ব্যবস্থার মোড়লি করে বেড়ানো এবং হামেশা গণতন্ত্রের কেচ্ছা গেয়ে যাওয়া।। রাশিয়া দীর্ঘকাল ধরেই সাবধান করছিল যা তারা ত (আরো পড়ূন)
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নানা কিসিমের হয়, কিন্তু সবাই অরুন্ধতী রায় নয়। অরুন্ধতীই বলতে পারেন, ‘কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, কখনোই ছিল না, ভারত সরকারও তো তা মানে।’ এই সত্য কথা বলার তৌফিক ভারতের কংগ্রেসি কিংবা সিপিআই/সিপিএম মার্কা প্রগতিবাদীদের মধ্যে দেখি না। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ কখনও ছিল না, এই ঐতিহাসিক সত্য অস্বীকার করার মুরোদ ভারতের সরকার বিশেষত বাম ও বামসমর্থিত কংগ্রেসিদের কখনোই ছিল না। ঐতিহাসিক সত্য অস্বীকার করার কোনো যুক্তি তাদের নেই।
কিন্তু অরুন্ধতীর হিম্মত আলাদা, অতএব তার সাহিত্য, রাজনীতি, মায় ধর্মনিরপেক্ষতাও আলাদা। ভারতকে ‘অখণ্ড’ রাখার দায় তার আছে বলে মনে হয় না, যদি ভারত সবার ভারত না হয়ে ওঠে। যদ (আরো পড়ূন)
[এক]
আজ মে মাসের ৩ তারিখ। ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ বা বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চা দিবস। সংবাদপত্র যেন রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় না পায় কিম্বা মাফিয়ায়দের গোলাম না হয় সেটা মনে করিয়ে দেবার দিবস।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশ খালি পেছাচ্ছে তো পেছাতেই আছে। বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এক ধাপ করে পিছিয়েছে। দুই হাজার উনিশে বাংলাদেশের অবস্থান সূচক ছিল ১৫১, দুই হাজার একুশ সালে ১৫২। পাকিস্তান উপরে, ১৪৫; অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা উত্তম। পাকিস্তানের সঙ্গে ইন্ডিয়া্র সঙ্গে বিরা (আরো পড়ূন)
দুর্ঘটনা এখন ‘নিয়মিত’ ঘটনা
পাহাড় ধসের কারনে মানুষ মরছে। এটা এখন আর দুর্ঘটনা নয়, নিয়মিত ঘটনা। বর্ষা এলেই কোন কোন উপজেলায় পাহাড় ধসে মানুষ জ্যান্ত কবর হয়ে যাচ্ছে। এবার একটু আগাম ও টানা বর্ষণ নামতে না নামতেই চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে ১৫০ জনের বেশী মানুষ মরেছে বলে কিছু পত্রিকা দাবি করেছে। দৈনিক যুগান্তরের ১৪ জুনের সংবাদ বলছে, ‘পাহাড় ধসে নিহত বেড়ে ১৪১’; একই তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর হিসাব ১২৬ (‘পাহাড় ধসে নিহত ১২৬’)। এর আগে ২০০৭ সালে ১২৭ জন মারা যায়। এবার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লো। গত ১০ বছরে (২০০৭-১৬) ২০১ জন নিহত হয় প্রথম আলো ১৪.০৬. ১৭) (আরো পড়ূন)
তর্কটা ফেইসবুকের, কিন্তু তর্কটা গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে ফেইসবুকে তর্কটা চলছে সেখান থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি না। তবে তর্কের মর্মটা পেশ করছি।
ধরুন আপনি দাবি করছেন আপনি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। ফাইন। তার মানে সেটা শুধু আপনার মতের স্বাধীনতা না, সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আপনি যে মতের সমর্থক শুধু সেই মতের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলে তো হবে না, আপনাকে ভিন্ন বা বিরোধী মতের স্বাধীনতাতেও বিশ্বাস করতে হবে। যে মতের আপনি বিরোধী সেই মতের ধারকরাও তাদের মত প্রকাশ ও প্রচার করতে পারুক সেটাও আপনাকে চাইতে হবে এবং তাদের মত প্রকাশ ও প্রচারের অধিকার আপনাকে মানতে হবে। আফটার অল, সকলের মত প্রকাশ ও প্রচারের স্বাধীনতাতে আপনি বিশ্বাস করেন। তাই না (আরো পড়ূন)
আধুনিক জমানায় বাণিজ্য চুক্তি করার রেওয়াজ উঠেছিল আশির দশকের শুরু থেকে। অর্থাৎ যাদের গরিব দেশ কিম্বা ছোট অর্থনীতির রাষ্ট্র বলা হয়, তাদের সাথেও বাণিজ্য চুক্তি করার দরকার বোধ করবার শুরু এখান থেকে। বাণিজ্য চুক্তি বলে এটিকে বাড়িয়ে বলার অর্থ হয় না। সার কথা বললে আমেরিকা তার নিজের বাজারে তার নিজের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার অধীনে গরিব দেশগুলোকে পণ্য রফতানি করতে দেয়া শুরু করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক পর মূলত ইউরোপের বাজার বিনিয়োগ পুঁজিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে উন্নত অর্থনীতির রাষ্ট্রগুলোকে পুঁজি বুনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র নিয়ে ভাবতে হয়েছে। তারা এতদিন গরিব দেশে পণ্য রফতানিকারক হিসাবে ভূমিকা রাখছিলো। তারা তখন ভাবতে শুরু করল গরিব দেশে কেবল নিজ পণ্য র (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার দুর্দশা নতুন কোন খবর নয়, তবে সম্প্রতি বিচারকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকাশ হয়েছে তাতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট আরও তীব্র হতে পারে। কিছুদিন আগে অবসর নেওয়া সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে ঘায়েল করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন পৃথিবীর আর কোথাও এই প্রকার আচরণের কোন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই। সাবেক এই বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক নামে পরিচিত। ব্যক্তিগত ও সংকীর্ণ পেশাগত দ্বন্দ্বকে তিনি প্রকাশ্য করে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে যেখানে নামিয়ে এনেছেন তাকে অবিশ্বাস্যই বলতে হবে। বিষয়টি স্রেফ বিস্ময়ের বিষয় হলে অসুবিধা ছিল না। কিন্তু সাবেক এই বিচারপতির আচরণ, উচ্চারণ (আরো পড়ূন)
'র্যাব' বা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে আমাদের সমাজে। নাগরিকদের মধ্যে সম্মানিত অনেকে আছেন যারা বলছেন- ‘র্যাব’ এর ভূমিকা আমাদের প্রশংসা কারা উচিত, সন্ত্রাস দমনে র্যাব ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে ‘মানবাধিকার’- এর কথা তুলে তীব্র সমালোচনা চলছে যে, ‘ক্রসফায়ারে’ র্যাবেরই হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত অপরাধী মারা যাওয়া গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আমি র্যাব বা ইংরেজি Rapid Action Battalion- এর বাংলা করেছি ‘জলদি কাম খতম করার সংঘ বা বাহিনী’ (দেখুন প্রথম আলো, ১ নভেম্বর, ২০০৪)। আমি র্যাবের সমালোচনা করি এবং নাগরিক হিসেবে নিজের কথা স্পষ্টভ (আরো পড়ূন)
‘র্যাব’ হচ্ছে ইংরেজি 'র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন' কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এর বাংলা করলে দাঁড়ায় জলদি কাম খতম করার সংঘ। ব্যাটালিয়ন কথাটা সামরিক। ‘সামরিক’ কথাটি বাংলা ‘সমর’ বা যুদ্ধ থেকে তৈরি। অর্থাৎ যা যুদ্ধ সম্পকির্ত। র্যাব সেই দিক থেকে যুদ্ধ সম্পর্কিত ধারণা বলা যায়। রাষ্ট্রের এই ধরণের সশস্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পেছনে অনুমান হচ্ছে সমাজে এমন এক পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে যার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তুলনীয়। প্রথাগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব নয়। অতএব র্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়ন দরকার।
কিন্তু যুদ্ধ তো আমরা করি শত্রুর বিরুদ্ধে। দুষমনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জ (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশে আমরা খালি খারাপ রাজনৈতিক দশার ফেরে পড়ি নি, মন্দ শিল্প ভাবনার রাহু গ্রাসেও পড়েছি, ফলে শিল্পকলা কিভাবে ক্ষমতা ও রাজনীতির কেন্দ্রীয় প্রশ্নকে নিজের বিষয়ে পরিণত করে সে সম্পর্কে এখন আর খোঁজ খবরও বিশেষ রাখি না। এমন কিছু ঘটলে তার অর্থ বুঝে ওঠাও কঠিন হয়।
সম্পতি বার্লিনে ইতালীয় ভাস্কর ডেভিড ডরমিনোর একটি ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যের উন্মোচন হোল। সিম্পল কিন্তু দারুন। তিনজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে চেয়ারের ওপর, চার নম্বর চেয়ারটি ফাঁকা। ওর ওপর দাঁড়িয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে বলবেন। দাঁড়ি (আরো পড়ূন)
এই লেখাটি যেদিন ছাপা হবে সেইদিন ২৬ তারিখ। আমার মনে হয় না এই দিনটির কোন গুরুত্ব আমাদের কাছে আছে। মনে হয় কবরস্থানে আছি। নিজের নিঃশ্বাসকেও নিঃসাড় মনে হয়। অথচ বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই দিনটির গুরুত্ব অসামান্য। ব্যবহারিক রাজনীতি ও নৈতিক অবস্থান দুই দিক থেকেই।
২৬ জুন নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস। বিভিন্ন দেশে যাঁরা নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁদের প্রতি সংহতি জানাবার জন্য প্রতিবছর সারা বিশ্বে এটা পালন করা হয়। শুধু মানবাধিকার সগঠন এই দিনটি পালন করে তা নয়, আদর্শ ও কর্মসূচির কারনে যে সকল রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও নির্যাতনের শিকার হয় তারাও সেটা পালন করে। এমনকি ক্ষমতাসীন দলগুলোও তাদের ভাবমূর্তি অক্ষূণ্ণ রাখবা (আরো পড়ূন)
গত পাঁচদিন ধরে বিএনপির মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন্দ্র করে তিনটা শব্দ মিডিয়া ছেয়ে রেখেছে – মেঘালয়, সালাহউদ্দিন আর খোঁজ। যারা সালাহ উদ্দিনকে গুম বা ‘নিখোঁজ’ করে রেখেছিলেন বলা বাহুল্য তারাই এ’বিষয়টায় সবচেয়ে ভাল জানেন ও বলতে পারবেন। ফলে তারাই তো সবার উপরে সালাহ উদ্দিনের খোঁজ প্রসঙ্গে নির্ভরযোগ্য সোর্স। কিন্তু বুঝা যাচ্ছে তাঁরা সেটা চাচ্ছেন না। বলাই বাহুল্য তাদের পক্ষে সোর্স হবার মত পরিস্থিতি নাই, হওয়াটা নতুন বিপদেরও। অথচ সালাহ উদ্দিনের যে “খোঁজ পাওয়া গেছে” এটা তারা রাষ্ট্র করতে চান, করা দরকার বোধ করছেন। তাই আমরা লক্ষ্য করলাম ‘‘খোঁজ’ পাবার পর’ প্রথম দুদিন সালাহ উদ্দিন সম্প (আরো পড়ূন)
এক
প্রথম আলো বলছে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে সাংবাদিকরা ‘অব্যাহতি’ পেয়েছেন (১৩ মার্চ ২০১৪)। অব্যাহতি পেয়েছেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার ও প্রকাশক এ কে আজাদ, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও প্রকাশক শামসুল হুদা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এম জসিম ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এম সুজাউল ইসলাম।
এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পা (আরো পড়ূন)
এক
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনারের অফিসের (Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights) কার্যক্রম, এখতিয়ার ও ভূমিকা সম্পর্কে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কতোটা জানেন বলা মুশকিল। রাজনীতিবিদরা তাদের কর্মকাণ্ডের দায় বহন করতে না চাইলেও নিজের দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার লংঘন করলে তার দায় আন্তর্জাতিক ভাবে এড়িয়ে যাবার সুযোগ নাই বললেই চলে। পার পেয়ে যাবার সম্ভাবনা কম। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমশনার নাভি পিল্লাই সেটাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। এভাবে বলেন নি যে আপনারা ভাল ভাবে চলুন, হিংসা বিবাদ কম করুন। বরং সুনির্দিষ্ট ভাবে ধরিয়ে দি (আরো পড়ূন)
এক
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে।এতে আমি দুঃখিত ও মর্মাহতই শুধু নই,একই ভাবে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। গণমাধ্যম আইনশৃংখলা বাহিনী নয়, তবুও কারা এই ধরণের বোমাবাজি করছে সেটা গণমাধ্যম কর্মীদের নিজ নিজ পেশাদারি দক্ষতা ও অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। শুধু তাই নয়, চাইলে কেন এধরণের বোমাবাজি ঘটছে সেটার কারণও খোঁজ করা পর্যন্ত যেতে পারেন। অন্যদিকে, কেবল গণমাধ্যম নয়, বিরোধী দল ও সরকারী দলের নেতাদের বাসাতেও বোমা হামলা হয়েছে। কারা এইসব করছে অবশ্যই খুঁজে বের করা উচিত। গণমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে যারা আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর (আরো পড়ূন)
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে যে কোন নাগরিকই দুঃখিত ও মর্মাহতই হবেন। আমি ব্যতিক্রম নই। শুধু তা নয়,একই ভাবে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৮ অক্টোবর রাতে ইটিভির ‘একুশের রাত’ অনুষ্ঠানে আমি গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নিজ দায়িত্বে কিছু কথা বলেছি। আর,আমি দায়িত্ব নিয়েই কথা বলি। সাংবাদিক মনির হায়দার অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন। এতে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আমার বিশ্লেষণ ও মন্তব্য নিয়ে তর্ক তৈরী হয়েছে। তার কিছু উত্তর আরেকটি দৈনিকে আমি দিয়েছি। এই তর্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিন্ন কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে এখানে আলোচনা কর (আরো পড়ূন)
মাহমুদুর রহমান একবার আদালত অবমাননার দায়ে জেল খেটেছেন, নির্যাতীত হয়েছেন। দ্বিতীয়বারও তিনি গ্রেফতার হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তার মতাদর্শ ও রাজনীতির বিরোধীরা এতে পুলকিত হয়েছে, তাঁর সমর্থকরা তাঁর পক্ষে লড়ে গিয়েছেন। এই দুই পক্ষের বাইরেও অনেকে রয়েছেন যারা শুধু মাহমুদুর রহমান কেন, যে কোন ব্যক্তির নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষার নীতি অলংঘনীয় গণ্য করেন। তারা মাহমুদুর রহমানের মতাদর্শ ও রাজনীতির বিরোধী, সেটা তারা বলেছেনও, কিন্তু তাঁর অধিকার রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গণ্য করেছেন। তাঁরা সেই নীতির জায়গার দাঁড়িয়েই গ্রেফতার ও দমন-পীড়নের নিন্দা করেছেন। যদি তা না করা হয় তাহলে রাষ্ট্র একটি ভীতিকর নিপীড়নের যন্ত্র হয়ে ওঠে; আর, ক্ষমতাসীনরা সেই যন্ (আরো পড়ূন)
আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে প্রথমে অপহরণ করা হয়েছিল, তাঁর বাসার সামনে থেকে। আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অপহরণ ও গুমের যে রেকর্ড বর্তমান সরকারের রয়েছে তা বিবেচনা করে এই অপহরণকে দেশে ও বিদেশে মানবাধিকার কর্মীরা সহজ ভাবে নেয় নি। তার পরদিন তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না। সরকার তাঁকে হাজির করেছে বাধ্য হয়ে। কারন তাঁকে অপহরণের খবর দেশে বিদেশে বেশ দ্রুততার সঙ্গেই জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। উৎকন্ঠা ও উদ্বিগ্নতা ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। কেন তাঁকে কোন আগাম অভিযোগ ছাড়া গ্রেফতার করা হোল তার কোন ব্যাখ্যা সরকার দিতে পারে নি। গ্রেফতারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন আদিলুরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। প্রশ্ন উঠল, যদি তাই হয়ে থাকে তা (আরো পড়ূন)
আজকাল কোন সভাসমিতিতে যেতে ইচ্ছা করে না। এটা পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার নয়। প্রায় সবসময়ই দেখি, যে কথা বলি কোন সময়ই সেটা ঠিক ভাবে গণমাধ্যমে আসে না। প্রতিটি পত্রিকা তাদের নিজেদের মতো করেই তাদের যে-বাক্য পছন্দের সেটাই সারকথা হিসাবে হাজির করে। এতে অসুবিধা নাই। যদি উদ্ধৃতি সঠিক হয়। যে-প্রসঙ্গে বাক্যটি বলা বা যুক্তির যে ধারাবাহিকতায় কথাটি উঠেছিল তা না হয় উহ্যই থাকল। কিন্তু বিপদ হয়ে দাঁড়ায় যা বলেছি ঠিক তার উলটা যদি পত্রিকায় ছাপা হয়। এর ফলে বন্ধু ও শুভার্থী মহলে জবাবদিহি করতে করতে জান বেরিয়ে যাবার হাল হয়। ভাগ্য ভালো যে আমি লেখালিখি করি। ফলে অন্য লেখালিখির মধ্যে বিভ্রান্তি কাটিয়ে ওঠা কিছুটা সম্ভব হয়। ক্ষতি যা হবার তাতো হয়ই।
অগাস্টের তিন তারিখে না (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের কয়েকজন সম্পাদক গত ১৮ তারিখে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, বন্ধ টিভি চ্যানেল ও আমার দেশ ছাপাখানা খুলে দেবার জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হবার প্রায় ৪০ দিন পর এই বিবৃতি এলো। এই ৪০ দিনে অবশ্য বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে। তবুও একদমই কোন বিবৃতি না আসার চেয়েও দেরিতে আসাকে মন্দ বলা ঠিক না। সাহেবরা যেভাবে বলেন, ‘বেটার লেইট দেন নেভার’। আমরাও তাই বলি। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।
হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ ও সমাবেশের পাঁচ দিন পর ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পত্রিকা অফিস থেকে গ্রেফতার করে সাদা পোশাক পরা (আরো পড়ূন)
‘নাগরিক’ বা ‘নাগরিকতা’ আমাদের রাষ্ট্র কিম্বা সমাজচিন্তার গুরুত্বপূর্ণ কোন ধারণা নয়। মানবাধিকার নিয়েও আমরা কথা বলি এবং কাজও করি, কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সঙ্গে নাগরিক ও মানবিক অধিকারের সম্পর্ক ঠিক কোথায় এবং কিভাবে তারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গাঠনিক ভিত্তি হিশাবে কাজ করে সেই সব বিষয়ে আমাদের সমাজে ভাবনা চিন্তার অভাব আছে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, ফলে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কল্পনা ও আবগের প্রায় পুরোটাই দখল করে আছে। আমাদের বুদ্ধিবৃত্তির সাড়ে পনেরো আনা অংশ খরচ হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণে। কিন্তু পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তির জন্য সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধ করা আর নিজেদের একটি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে বিশ্বসভায় প্রতিষ (আরো পড়ূন)
প্রথমে একটি কথা স্পষ্ট ভাবে বলা দরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের নাগরিকদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে, অনেক বাড়ি জ্বালিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। যারা এই হামলার স্বীকার হয়েছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেই গরিব ও নিপীড়িত শ্রেণির মানুষ। তাঁদের অপরাধ তারা হিন্দু। মনে রাখতে হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণমানুষের পালটা ক্ষমতা যদি কেউ তৈরী করতে চায় তাহলে তার প্রথম কাজ হচ্ছে মাঠে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা। এটা স্রেফ বিএনপি বা জামাতের একটি কি দুটি বিবৃতি দিয়ে দায় সারার ব্যাপার নয়। মাঠে করে দেখানোর বিষয়।
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা এই ধরণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার (আরো পড়ূন)
মানুষকে ‘গুম’ করে ফেলার অপরাধ মানবাধিকারের চরম লংঘন। রাষ্ট্র নাগরিকদের রক্ষা করবার কথা, কিন্তু রাষ্ট্রই নাগরিকদের ‘গুম’ করে ফেলছে। যে ‘গুম’ হয়ে যাচ্ছে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না, কিম্বা কিছুদিন পর তার লাশ আবিষ্কৃত হচ্ছে। এই অপরাধের বিরুদ্ধে বিএনপির ডাকা হরতালের ইতিবাচক দিক হচ্ছে মানবাধিকার রক্ষার লড়াই জাতীয় রাজনীতির বিষয়ে পরিণত হবার সম্ভাবনা এই প্রথম বাংলাদেশে তৈরী হয়েছে। কিন্তু হরতাল বিরোধী প্রচারনাও তীব্য চলছে। হরতাল বা কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে যেভাবে চতুর্দিকে প্রচার চলছে সেই প্রচারের রাজনৈতিক চরিত্র বোঝা এখন একটা জরুরী কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘গুম&r (আরো পড়ূন)
বিএনপির নেতা সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী এখনও ‘গুম’ রয়েছেন। আজ ২৩ এপ্রিল তার জন্য বিএনপির দ্বিতীয় দিনের হরতাল চলছে। যদি ইলিয়াস ছাড়া না পান তাহলে এই হরতাল লাগাতার চালানো হবে বলে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে আরও অনেকে গুম হয়েছে। তারা সাধারন নাগরিক। মানবাধিকার কর্মীরা এর বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে সোচ্চার ছিলেন। এতে ‘গুম’ হয়ে যাবার বিভীষিকা মানুষের মনে ছাপ ফেলেছে। ইলিয়াস আলী একজন গুরুত্বপুর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতা। তিনি ‘গুম’ হয়েছেন বলে ‘গুম’ ব্যাপারটি এখন একটি দলীয় রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই লেখা যখন লিখছি তখন তাঁর নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথপুরে পুলিশ ও গ্রামবাসীর (আরো পড়ূন)
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এর সাথে আলাপচারিতা
ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে মানবাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে কি না--সে বিষয়ে তদারকি করতে সম্প্রতি তিনি রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলা পরিদর্শন করেন। এর সূত্র ধরে মানবাধিকারের সাথে স্বাস্থ্যসেবার সম্পর্ক এবং বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা খাতে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে জনাব রহমানের সাথে চিন্তা’র পক্ষ থেকে আলাপে ছিলেন রোকেয়া বেগম
চিন্তা: আমরা জানি, আপনি স্বাস্থ্য ইস্যু নিয়ে কাজ (আরো পড়ূন)
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর জুলুম নিপীড়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যে তৈরি হচ্ছে সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই। আওয়ামী নেতানেত্রীদের ভাষা ব্যবহারের মধ্যেই মাহমুদুর রহমানের প্রতি যে ঘৃণার প্রকাশ দেখেছি তাতে আতংকিত হয়েছিলাম আমি। ভাষা ব্যবহার, মুখ চোখের অঙ্গভঙ্গি ও চামড়ার আন্দোলন থেকে মানুষের অন্তরের বাসনা সহজেই বোঝা যায়। বিশেষত মতিয়া চোধুরীর কাছ থেকে অনেক কিছু আমরা আশা করি না। অগ্নিকন্যার আগুন যদি প্রতিহিংসার অগ্নিরূপ ধারণ করে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তখন (আরো পড়ূন)
মাঝরাতের সমঝোতায় আরো এক বছর সময় পেল নেপাল
নেপালের সংবিধান হয়তো মাওবাদীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল ঊনত্রিশে মে’তে রাজপথ থেকেই ঘোষিত হতে যাচ্ছিল, যদি তার আগের দিন গত আটাশে মে মাঝরাতে দেশটির সাংবিধানিক পরিষদের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়াতে অর্ন্তবর্তী আইনভায় সমঝোতায় না পৌঁছতে পারতেন রাজনীতিকরা। সেক্ষেত্রে আবারো চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছিল দেশটি। কিন্তু সেই আশংকা এড়ানো গেল। খুব শীঘ্রই নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে, আগের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন--এই তিন দফা প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী আইনপরিষদে সংখ্য (আরো পড়ূন)