জাতিসংঘের চতুর্থ দফা অবরোধ
যুদ্ধমুখী হয়ে উঠছে ওবামার ইরান নীতি
ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের তরফে অবরোধ আরোপ করা হচ্ছে--এই বিষয়টা এ বছরের শুরুতেই নিশ্চিত করে জানিয়েছিল ইজরাইল। ইজরাইলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তেসরা জানুয়ারি জানিয়েছিলেন যে, এমন একটা অবরোধ এক মাসের মধ্যেই ইরানের ওপর আরোপ করা হবে। আমেরিকা বরাবরই বলে আসছে যে, ইরান যদি পরমাণুশক্তিধর রাষ্ট্র হয় তবে মধ্যপ্রাচ্যের ‘একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ ইজরাইলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। অবশ্য ইজরাইল যেমনটি আশা করেছিল; মানে এক মাসে--জানুয়ারির পরের ফেব্রুয়ারি মাসেই অবরোধ হয় নাই, হলো এ জুনে। অবরোধ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয় ৯ জুন। পরিষদের বারোটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯ টি রাষ্ট্র অবরোধের পক্ষে ভোট দেয়। এই নিয়ে ইরানের ওপর চতুর্থবারের মতো অবরোধ আরোপ করলো নিরাপত্তা পরিষদ। অবশ্য তিন রাষ্ট্রকে নিজের পক্ষে আনতে পারে নাই--আমেরিকা। তুরস্ক ও ব্রাজিল এই অবরোধের বিপক্ষে ভোট দেয়, একটা সদস্য রাষ্ট্র-- লেবানন ভোট দেয় নাই।
২০০৯ সালের জুলাই থেকেই দেশটির ওপর অবরোধ আরোপের চেষ্টা শুরু করে আমেরিকা। এই লক্ষ্যে প্রায় এক বছর ধরে নানামুখী কূটনীতিক তৎপরতা চালিয়েছে ওবামা সরকার। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি’র শর্ত লঙ্ঘন করছে কি না, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা’র মতামত নিজের পক্ষে নিয়ে আসা জরুরি ছিল আমেরিকার। নইলে এই অবরোধকে আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর মধ্যে ন্যায্যতা দেয়া কষ্টকর হতো। তাছাড়া চীন ও রাশিয়া--নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য, এই রাষ্ট্র দুইটাকে রাজি করানোর বিষয় ছিলো। তার ওপর অবরোধের বিরুদ্ধে পরিষদের দুই অস্থায়ী সদস্য--তুরস্ক ও রাশিয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা মোকাবিলা করতে হয়েছে। অবরোধের বিকল্প হিশাবে আমেরিকার যেই প্রস্তাব ছিল--ভিন্ন কোনো রাষ্ট্রে ইরান ইওরোনিয়াম সমৃদ্ধ করবে; সেই লক্ষ্যে ওই রাষ্ট্র দুইটা অবরোধের বাইরে একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছিলো। কিন্তু অবশেষে আমেরিকা নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। অর্থাৎ, অবরোধের বাইরে কোনো সমাধানের বিষয়ে আমেরিকার আসলে আগ্রহ ছিল না।
নানামুখি চাপে ফেলে চীন ও রাশিয়ার সমর্থন আদায়
ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ প্রস্তাবে রাশিয়ার সমর্থন আদায়ে দেশটিকে নানামুখি চাপের মধ্যে ফেলে আমেরিকা। পাশাপাশি রাশিয়াকে বেশ কিছু প্রস্তাব সহ নানা ইস্যুতে ছাড় দেয়ার প্রস্তাব দেয় আমেরিকা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পূর্ব ইওরোপে ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা স্থাপনার পরিকল্পনা স্থগিত করা। শেষ পর্যন্ত রাশিয়া রাজি হয়। অন্যদিকে ২৬ নভেম্বর ২০০৯ তারিখের ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চীন সফরের সময় এ বিষয়ে দেশটিকে চাপ দেন বারাক ওবামা। ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের প্রক্রিয়ায় ইরানকে সমর্থন না করার ব্যাপারে চীনকে সতর্ক করে দেন ওবামা। ওবামার সফরের দুই সপ্তাহ আগেই হোয়াইট হাউজের দুইজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে বিশেষ মিশনে পাঠানো হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল পরমাণু কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চীন যাতে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, সে বিষয়ে চীনকে রাজি করানো।
কর্মকর্তা দুইজন হলেন, ডেনিস রোজ এবং জেফরি বেডের। দুইজনই জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র কর্মকর্তা। তারা চীনকে জানিয়ে দেন যে, ইরান ইস্যুতে বেইজিং যদি আমেরিকাকে সহযোগিতা না করে তাহলে এর ফল ‘ভালো হবে না’। ওই প্রতিবেদনে ইজরাইলের অবস্থান বিষয়ে বলা হয়, ইজরাইল মনে করে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ইজরাইলের টিকে থাকার প্রতি হুমকি। কাজেই এমন বাঁচা মরার প্রশ্নে ইরানকে রুখতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তাদের ‘কুছপরোয়া নেহি’। ইজরাইল মরিয়া এবং বেপরোয়া।
এবছরের ২৯ জানুয়ারি সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটন বলেন, ইরানকে পরমাণু বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে চীন যদি সাহায্য না করে তাহলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার উদ্যোগ নিতে পারে আমেরিকা। এভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা আরোপে সমর্থনের বিনিময়ে চীনকে অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়ারও প্রস্তাব করে আমেরিকা। এ কারণেই চীন কর্তৃক মুদ্রা জালিয়াতির অভিযোগে কংগ্রেসে উঠানোর জন্য প্রস্তুত করা একটা আইন পরে আলোচনার জন্য উঠানো হয় নাই।
আণবিক শক্তি সংস্থা ‘দলিল-প্রমাণ’ নিয়ে এগিয়ে এসেছে
আল বারাদির নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর ওপর নজরদারি করে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটি ইরানের বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ করে নাই। যদিও কর্মসূচীতে আরো বেশি নজরদারি করার জন্য দেশটির কাছে তারা সুযোগ চেয়ে আসছিল এবং কিছু ইস্যুতে বারবার সতর্কও করেছিল। কিন্তু এমন কোনো কারণ খুঁজে পায় নাই সংস্থাটি, যাতে করে ইরানের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বা সংস্থার শর্তবিরোধী কাজের অভিযোগ আনা যায়। আমেরিকা ও ইজরাইল অনেকবারই চেষ্টা করেছিল সংস্থার মহাপরিচালকের পদ থেকে ড. মোহাম্মদ আল বারাদীকে সরিয়ে দিতে।
২০০৯ এর শেষের দিকে আল বারাদির দায়িত্বকাল শেষ হয়ে যায় এবং ১ ডিসেম্বর ২০০৯ তার স্থলাভিষিক্ত হন আমেরিকার পছন্দনীয় ব্যক্তি জাপানী কূটনীতিক ইউকিয়া আমানো। দায়িত্ব গ্রহণ করেই ২০১০ এর ফেব্রুয়ারিতে আমানো উপস্থাপন করলেন ইরানের বিরুদ্ধে এ যাবতকালের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং কঠোর রিপোর্ট। আমেরিকা এবং ইজরাইল এতোদিন যাবৎ ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ নিয়ে যেসব অভিযোগ করে আসছিল রিপোর্টে সেগুলোই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হলো। এতে করে ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
মুশকিল বাধানেওয়ালা তিন রাষ্ট্র
তুরস্ক, ব্রাজিল ও লেবানন। এদের ভিন্ন অবস্থানের কারণে ইরানের বিরুদ্ধে এবারের অবরোধ আগের মতো ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ আরোপ করা গেল না। নিরাপত্তা পরিষদের এই তিনটা সদস্য রাষ্ট্রই অবরোধ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। অবশ্য লেবানন খুব সক্রিয় ভূমিকা রাখে নাই, এবং বিপক্ষে ভোট না দিয়ে রাষ্ট্রটি বরং ভোট দেয়া থেকে বিরত রইলো। বিপক্ষে ভোট দেয়া তুরস্ক ও ব্রাজিলের সমর্থন আদায়ে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিল আমেরিকা ও তার দুই মিত্র-- বৃটেন ও ফ্রান্স। কিন্তু সাফল্য আসে নাই। ইজরাইলি দৈনিক দি জেরুজালেম পোস্ট এই তিনটা রাষ্ট্রকে ‘মুশকিল বাধানেওয়ালা’ হিশাবে উল্লেখ করে গত ৫ই মার্চ। তার চারদিন পরেই অর্থাৎ ৯ ই মার্চ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্যা সিলভা বলেছিলেন, ‘ইরাক ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা ইরানে হতে দিতে পারি না। সেটা করলে তা দুনিয়ার প্রতি সুবিবেচনাপূর্ণ হবে না।’
আমেরিকা ফ্রান্স ও বৃটেন আগে বলে আসছিল যে, ইরান যদি বেসমারিক উদ্দেশ্যে ইওরোনিয়াম সমৃদ্ধ করতে চায় তবে সেটা হতে হবে তৃতীয় কোনো দেশে। তৃতীয় দেশ হিশাবে তারা রাশিয়ার বিষয়ে অনাপত্তি জানিয়েছিল। সেরকম একটি সমাধানে যাতে পৌঁছানো যায়, সে লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল তুরস্ক ও ব্রাজিল। অবশেষে ১৭ মে’তে ইরান-তুরস্ক-ব্রাজিলের মধ্যে তেহরানে একটি পরমাণু জ্বালানি বিনিময় চুক্তি সম্পাদিত হয়। যা তেহরান ঘোষণা হিশাবে পরিচিতি পায়। মূলত এ চুক্তিটি ছিল ২০০৯ এর অক্টোবরে উঠানো আমেরিকার একটি প্রস্তাবেরই মতো। ফারাক শুধু এই যে, আমেরিকার প্রস্তাব অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু জ্বালানি পাঠাতো রাশিয়ার কাছে আর তেহরান চুক্তি অনুযায়ী তা তুরস্কের কাছে পাঠানোর কথা।
অবরোধের বিকল্পে আগ্রহ ছিল না আমেরিকার
তেহরান ঘোষণায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যসহ প্রভাবশালী ৬ রাষ্ট্রের মূল দাবি ইরান মেনে নেয়ার পরপরই সেই প্রস্তাব থেকে পিছু হটলো আমেরিকা। তেহরান ঘোষণার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আমেরিকা তাদের এই অবস্থান বদলের কথা জানিয়ে দেয়। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ফিলিপ জে ক্রাওলি বলেন, তেহরান বা যৌথ ঘোষণায় বিশ্ব সম্প্র্রদায়ের মূল উদ্বেগের বিষয়টি উঠে আসে নাই। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ইরান এখনও ইওরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে নাই। এর একদিন পর সিনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটিতে উপস্থিত হয়ে স্টেট সেক্রেটারি হিলারি ক্লিনটন নির্লিপ্তভাবে জানালেন, আমরা কয়েক সপ্তাহ যাবৎ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয়টি দেশ একটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব নিয়ে কাজ করেছি। আজ আমি অত্যন্ত খুশীর সাথে জানাচ্ছি যে, রাশিয়া এবং চীনের সহযোগিতায় আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। তার বক্তব্যে মনে হয়, তেহরান ঘোষণা বলে দুনিয়ায় কিছু ঘটেই নাই ।
নিজেদের দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিল আমেরিকা। তার মানে দাঁড়ায় এই যে, ওই প্রস্তাবে আন্তরিক ছিল না দেশটি। শুরু থেকেই ওবামা প্রশাসনের উদ্দেশ্য ছিল এ প্রস্তাবটিকে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি অস্ত্র হিশাবে ব্যবহার করা। প্রস্তাবটি উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ইজরাইল ভেবেছিল ইরান এ ব্যাপারে না করে দেবে। তখনই তারা বিশ্বের কাছে ইরানের গোয়ার্তুমির বিষয়টি তুলে ধরে শক্ত অবরোধ আরোপ করবে। কিন্তু যখনই ইরান প্রস্তাবটি মেনে নিল এবং জানিয়ে দিল তুরস্কে পরমাণু জ্বালানি পাঠাতে তারা রাজি। তখনই আমেরিকা তাদের ভোল পাল্টে ফেলল এবং আল্টিমেটাম দিয়ে জানিয়ে দিল, ইরান যদি পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বন্ধ না করে তাহলে তার উপর চতুর্থ দফা অবরোধ আরোপ করা হবে।
এর মধ্যেই যুদ্ধ শুরু
প্রাক সফরে ওবামা বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল তৎপরতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই না ইরানের প্রতিবেশী এবং আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে। আর ইজরাইলের নীতি হচ্ছে তাদের জন্য হুমকি হতে পারে এমন শক্তিকে যে কোনোভাবে হোক ধ্বংস করে দেয়া। সে কারণেই ইরানের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপই গ্রহণ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইজরাইল। এ জন্য মঞ্চ প্রস্তুত চলছে। সবার আগে আন্তর্জাতিক জনমতকে ইরানের বিরুদ্ধে নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। এর পাশাপাশি ইরানের অভ্যন্তরে বিপ্লব বিরোধী একটি শক্তিশালী গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে যারা ইরানে আমেরিকার হামলা সমর্থন করবে। মিডিয়াকে ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন করার পাশাপাশি দেশটির ভেতরের এবং বাইরের সরকার বিরোধীদের জড়ো করা হচ্ছে। অর্থাৎ ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক এবং মিডিয়া যুদ্ধ এরমধ্যে চলছে। বাকী প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই দেশটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে আমেরিকা কিংবা ইজরাইলের বোমারু বিমান।
স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনের আগে ইরানের সাথে বিবদমান ইস্যুগুলার কূটনৈতিক সমাধানে জোর দিবেন বলে ওবামা যে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেছিল, তা থেকে এখন বহুদূরে সরে গেছে। আগের মতোই, এটা এখন ইসরায়েলের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সর্বস্ব একটা তৎপরতায় গিয়ে ঠেকেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থের বিচার যদি স্বাধীন এবং স্বতন্ত্রভাবে করতে না পারে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া অসম্ভব। যার ধকল কতদূর তারা সইতে পারবে আগামী দিনে সেটাই হবে দেখার বিষয়।
আরো পড়ুন
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে মার্কিন চাপ প্রয়োগ
ইরান বিষয়ে মার্কিন নীতি এখনো ঠিক করছে ইজরাইলী লবি
Available tags : হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র, ভারত, ভাষা, সংস্কৃতি, মারাঠি, গুজরাটি, মালয়ালি, অসমীয়া, বিহারী, সিকিমি, কাশ্মীরি
আগামী দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের সম্পর্কতো ভালই আছে। ইরান ছাড়া নানা ব্যাপারে মার্কিনের 'সমস্যা'-র মত আর তো কোন মুসলিম রাষ্ট্র নাই। ইরান ঝামেলা, তাই তারে নিয়া তো একটু-আধটু নাড়াচাড়া করবই। বরং ব্রাজিলদের নিয়া তার সমস্যা বেশি। তাই এদের সাথে সুসম্পর্ক রাখাইতো আমেরিকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আলোচনা এবং তর্কটা তাই 'মুসলিম বিশ্বের সাথে মার্কিনের সম্পর্কে'র চাইতেও ব্রাজিলদের সাথে মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়া হওয়া উচিত।