প্রকাশক ও সম্পাদক পরিবর্তনের জন্য জমা দেওয়া দলিলপত্র

সরকার দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করার জন্য যে মিথ্যা প্রচারণা এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলাবাজির জন্য যে ঠুনকো আইনি যুক্তি বানিয়েছে তার অসারতা আমরা আগে পাঠকদের জানিয়েছি। কিভাবে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যমূলক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় আমার দেশ'র প্রকাশককে নাই করে দিয়েছে, তার সব প্রমাণপত্র আমরা পাঠকদের সামনে উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।

যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছিল পত্রিকাটির। সেই সময় আর্থিক সংকটে বন্ধ হবার দশায়, মাহমুদুর রহমান দৈনিকটির দুর্দিনে হাল ধরেন। পরিচালনা পরষিদের সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে প্রকাশক হিশেবে গ্রহণ করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদকে জানিয়ে তারা সরকারীভাবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন নথিভূক্ত করতে আবেদনও সম্পন্ন করে। তারপর, কিছুদিন পরে, তখনকার দায়িত্বরত সম্পাদক আতাউস সামাদ অবসরে গেলে বোর্ডের সভায় তিনি সম্পাদক নিযুক্ত হন। সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে সরকারের কাছে তার নাম সম্পাদক হিশেবে অন্তর্ভূক্ত করতে আরেকটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। যা প্রক্রিয়াধীন বলে দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখা হয়। এমনকি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ছাড়পত্র দেবার সুপারিশের পরও। ফলে মাহমুদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিশেবে দায়িত্ব পালন করে অসতে হচ্ছিল। বিধি অনুসারে, নতুন নাম অনুমোদিত না হওয়ার আগপর্যন্ত আগের প্রকাশক হাসমত আলীর নাম প্রিন্টার্স লাইনে না ছাপানোর কোনো অবকাশ ছিলনা। এ উভয় ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে আইন মেনে কাজ করছিলেন।

কিন্তু টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছিল খোদ সরকারী কতৃর্পক্ষ। জেলা প্রশাসকের বরাতে আমরা জানলাম সেটা খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর একজন বিতর্কিত উপদেষ্টা এবং তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আনিত অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনই কি এই আক্রোশ এবং প্রতিহিংশাপরায়ণতার আসল কারণ?

নিচে পিডিএফ ডকুমেন্ট দেখুন


প্রাসঙ্গিক অন্যান্য লেখা


Name

Email Address

Title:

Comments


Inscript Unijoy Probhat Phonetic Phonetic Int. English
  


Available tags : দৈনিক আমার দেশ, মামলা, দলিলপত্র

View: 6162 Leave comments (0) Bookmark and Share

Go Back To Issues
EMAIL
PASSWORD