চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

সরকারের বিএনপি অবসেশান : প্রধান সমস্যাগুলো আড়ালে

বর্তমান সরকার যে বিরোধী দল বিএনপিকে নিয়ে এক ধরণের অবসেশানে ভুগছে, তা এই মুহুর্তে সম্ভবত অনস্বীকার্য। সংসদে আসনের হিসেবে অপেক্ষাকৃত দূর্বল বিএনপির প্রতি সরকারী দল কিছুটা অমনযোগী হলে একটি অন্য আলোচনার সূত্রপাত হতে পারত। কিন্তু আসলে তা ঘটছে না, বরং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের কথাবার্তায় বিরোধী দল বারবার আসছে। কিন্তু এই মনযোগের মাত্রাটাই হচ্ছে দুশ্চিন্তার মূল কারণ। বিরোধী দল কেন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে না, কেন সরকারকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরামর্শ দিচ্ছে না, সরকারের দুশ্চিন্তাটা এই ধাচের হলেও না হয় আমরা কিছুটা স্বস্তি পেতাম। কিন্তু বিএনপিকে ন (আরো পড়ূন)

গাযালী

যুগান্তরের সঞ্চয় তুমি দু' হাতে নিয়েছো লুটে, আমরা শূন্য মরুতে মরিয়া ফিরছি কাঁকর খুঁটে। তত্ত্বের জট খুলে অকপট সত্য ধরেছো তুলে, ফাঁকা জড়বাদ হলো ভূমিসাৎ তোমার চরণমূলে। ওড়ালে বাধার উর্ধে খোদার উদার পাক কালাম, মানুষ গাযালী, মনীষী গাযালী, তোমাকে আস্-সালাম! ভালোবাসি বলে তোমায় ভূতলে ডাকছি ভেবো না তুমি, ব্যাঙের ছাতায় ছেয়ে গেছে হায় চিন্তার মনোভূমি। হে দিশাহারার নিশাবরদার রাহবার তোলো তান, কৃষ্টির মাসে আকাশে বাতাসে নবসৃষ্টির গান। তোমার সমান জ্ঞানে বলীয়ান বীর খোঁজে ইসলাম, সে আশায় জ্বালি স্বপ্ন দীপালি গাযালী আস্-সালাম! (আরো পড়ূন)

সত্যের দায় মানো

কী ঘটছে এইসব? কারা দেশজুড়ে দিলে শুরু করে রক্তের উৎসব! স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের মানে খুঁজে কী লাভ যখন ছাত্রের লাশ পড়ে থাকে ঘাড় গুঁজে ময়লার খাদে? অতঃপর সেই হত্যাকে পুঁজি করে অত্যাচারের যজ্ঞে যখন সরকারও নেমে পড়ে। শঙ্কায় প্রাণ কাঁপে, কোথায় বিচার, মানুষ তাহলে ইনসাফ কোথা পাবে? অনেক আশায় বুক বেঁধে যারা তোমাদের ভোট দিলো, দিন বদলের এ ছবি কি তারা কল্পনা করেছিলো? স্বার্থের অর্চনা? নৈতিকতার অপমান করে উন্নতি করছো, না? এ শাসন নয়, দ্বিমত দমন – এ তো স্রেফ ক্ষুদ্রতা, থামাও এদের, আগে রুখো এই হীন অমানবিকতা! আইন বানানো খেলায় না মেতে সত্যের দায় মানো, যে সত্যবোধ সহজাত, তারে ভালোবেসে কাছে টানো! (আরো পড়ূন)

ভাষা আন্দোলনের “বাঙাল” বয়ান - নয়া উপনিবেশ বিরোধিতার “পবিত্র দিবস” আর “আধ্যাত্মিক” উৎস সন্ধান

মুখোমুখিঃ আমি বনাম কলম্বাস “আমেরিকা আবিষ্কার করিয়াছেন কে?” “মহামতি কলম্বাস”। এই বয়ান আমাদের কি বলে? স্কুলে ছোটবেলায় শেখা এ বয়ান আমাদের কি বলে? এ বয়ান যখন আমাদের বয়ান হয়, তখন আসলে কি হয়? এ অংশে আমাদের আলোচনা এই কয়টা প্রশ্ন ঘিরেই। এই “বয়ান” থেকে আমরা যা পাই তাকে মোটামুটি এইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়- ১। কলম্বাস নামক কোন একজন ব্যক্তি “আমেরিকা” নামক স্থানটি সৃষ্টি করেছেন। অথবা ২। কলম্বাস নামক কোন একজন ব্যক্তি আমেরিকা নামক কোন একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছেন, যে জায়গার অস্তিত্ব আগে কেউ যানতোনা, এমনকি ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরাও না। এই বয়ান থেকে আমরা কি সত্য কিছু পেলাম? কিছু তথ্য উপাত্ত ইতিহা (আরো পড়ূন)

লোকাচার ও সম্পর্কের গল্প

ওকুরিবিটো’ জাপানী শব্দ। ইংরেজী থেকে বাংলা অর্থ দাড়ায়, যে মৃত ব্যক্তির আত্নাকে স্বর্গ যাত্রায় পাঠায়। ‘ওকুরিবিটো’ মুভিটি ইংরেজী টাইটেল ‘ডিপারচারস’। ‘ডিপারচারস’ মুভিটি ডিয়াগো কোবেইসী নামক এক তরুণ সেলোবাদককে কেন্দ্র করে। সে টোকিওতে একটা অকোস্ট্যায় সেলো বাজাত। হঠাৎ করে চাকুরীচ্যুত হলে স্ত্রী মিকাকে সাথে নিয়ে নিজ শহরে ফিরে আসে। ট্রাভেল এজেন্সীর কাজের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করলে জানতে পারে বিজ্ঞাপনটি ভুলভাবে ছাপানো হয়ে ছিলো। এটা আসলে মৃতদেহ সাজিয়ে দেখার প্রতিষ্টান। ডিয়াগো অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজটিতে যোগদান করে। প্রথমে পর্যায়ে এই কাজটিকে বৈরী মনে করলেও- কিন্তু ভালো বেতন সুবিধা এবং অন্ (আরো পড়ূন)

ভাবনামা

ও মন শুন অস্তিত্ব কি? অস্তিত্ব হলো আদেশ ও বিশ্বাসের যোগফল। না হলে কাগজ কি করে টাকা আর টাকা কেন কাগজ হয়? (আরো পড়ূন)

মা

রাতে আমরা ঘুমোতে যাই অনেক দেরিতে। কেননা রাত জেগে ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি আমাদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। মোবাইল কোম্পানীগুলোর শেষ রাতের লোভনীয় অফার কাজে লাগাতে কিংবা অস্থির আবেগের মাতাল স্বার্থে 'প্রিয়তমা'র সাথে কথা চলে রাতভর। বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানীগুলোর পকেটভারী করে যখন সকাল হয় হয় করে, তখন আমাদের রাত হয়। তাই রাতে মায়ের সাথে কথা হয়না। সকালে উঠতে একটু বেলা হয়। তারপর ফ্রেশ হওয়া, নাস্তা করা, রেডি হওয়া, কলেজে যাওয়া, অতঃপর ক্লাশ। না! সকালেও মায়ের সাথে কথা বলার সময় নেই। ক্লাশের মাঝে দুই-এক ঘন্টা ফ্রি-টাইম পেলেও সময় করে উঠতে পারিনা। কারণ তখন লাইব্রেরী বা ক্যান্টিন থেকে (আরো পড়ূন)

চিন্তার উচ্চারণ

"আপনারা দোকানে গিয়ে বসেন। চা নাস্তা খান। দোকানে মেয়েছেলে আছে। পছন্দ হলে ঘরে যাবেন, না হলে চলে যাবেন। এদিকেই থাইকেন। ঐদিকে গেলে মেয়েরা টানাটানি করবে। তখন ছুটতে পারবেন না। তবে দোকানে ভালো মাল আছে। আপনাদের পছন্দ হবে।" মংলা থেকে সুন্দরবনের করমজল পয়েন্টে যাওয়ার পথেই বাইনশান্তা গ্রাম। স্বাধীনতার পর পরই সেখানে গড়ে ওঠে নারীকে পণ্য বানানোর বহুজাতিক ব্যবসা পতিতাপল্লী। সেখানেই শুনলাম কথাগুলো। কৌতুহলী চোখে দোকানের মেয়েগুলোকে দেখি। পায়ে আলতা, মুখে পাউডার, কপালে টিপ। চোখে-মুখে গভীর আকুতি, অস্ফূট ক্রন্দন, প্রিয় কিছু হারানোর অব্যক্ত প্রকাশ। তারপরও নিজেকে মোহনীয় করে তোলার তীব্র প্রয়াস। এখা (আরো পড়ূন)

কওমি মাদ্রাসার বিপ্লবী চেহারা কোথায়?

বেশ কিছুদিন যাবত একটা ব্যাপার আমাকে ভীষণ পীড়া দিচ্ছে । শুধু আমিই না, আমার মত তরুণ নাগরিক এবং কওমি মাদ্রাসা-পড়ুয়া যে কোন তরুণের সামনে এখন কিছু বিষয়-আশয় ভেবে দেখার সময় এসে গেছে। বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক শিক্ষাধারা হচ্ছে কওমি মাদ্রাসা। এই ধারার শিক্ষার শেকড় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ। ১৮৬৮ সালে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশবিরোধী রাজনীতি, সংগ্রাম ও আন্দোলনের ভেতর দিয়েই উপমহাদেশের প্রধান ইসলাম-ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠা। এ মহান প্রতিষ্ঠানটি তার জন্মলগ্ন থেকে বরাবরই সাম্রাজ্যবাদী, জালেম ও কুফরি অপশক্তির বিরুদ্ধে সাধারণ নির্যাতিত-নিপীড়িত গণমানুষের পক্ষে লড়ে যাচ্ছে। আমাদের (আরো পড়ূন)

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্তিতি,প্রতিক্রিয়া চীনের জড়িয়ে যাবার আশংকা-2

বাংলাদেশে সম্প্রতি কিছু প্রতিক্রিয়া লক্ষ্যনীয় যার মধ্যে দিয়ে আমরা কিছুটা আচঁ করতে পারছি যে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিটা কাঠামোগত (structural) পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের চরিএের মধ্য দিয়েই তা অতিদ্রুত প্রকাশ পাবে। পেয়েছেও কিছুটা। বাংলাদেশের সরকার ঘোষনা করেছে যে, তারা প্রতিরক্ষার জন্য ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে। প্রতিরক্ষার ভিত্তি কাঠামোটা কোন শক্তিকে মোকাবিলা করবার জন্য ব্যবহৃত হবে তা মোটামুটি পরিষ্কার এই জন্য যে, এর আগে দক্ষিন এশিয় টাস্কফোর্সের নামে "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের" উপযোগী করে বাহিনী গঠনের পরিকল্পনাটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ (আরো পড়ূন)