১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য
শ্রদ্ধাভাজনেষু
আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।
সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা
(আরো পড়ূন)
একদিন স্বপ্ন হারিয়ে যায়
একদিন স্বপ্ন হারিয়ে যায়
থাকে শুধু স্বপ্ন-ভাঙার বেদনা।
এক সময় যে পাখী
শাখায় বসে গান গেয়েছিল
সেও উড়ে যায় দূর নিলীমায়,
পেছনে পড়ে থাকে তার ঝরা পালক।
একদিন প্রাণের অতি নিকটজন
সেও দূরে চলে যায়–
পেছনে পড়ে থাকে স্মৃতি, শুধু স্মৃতি।
তেমনি করে একদিন তুমি ও চলে গেছ
পেছনে পড়ে আছি আমি, শুধু আমি ।।
[গ্রন্থের নাম- ‘এই ঘর এই লোকালয়’ লেখক- শফিকুল ইসলাম। প্রচ্ছদ- প্রাইম কম্পিউটার গ্রাফিক্স । প্রকাশক- প্রবর্তন প্রকাশন, ৭নং প্রতাপ দাস লেন, সিংটোলা, ঢাকা- ১১০০।
(আরো পড়ূন)পাক্ষিক চিন্তা হিসাবে আমরা যা প্রকাশ করে আসছিলাম এবং ওয়েব পাতায় এখন যা নিয়মিত পেশ করা হচ্ছে চিন্তা ও তৎপরতার জায়গা থেকে এই চর্চার সঙ্গে যারা যুক্ত থাকতে চান, তাঁরা ‘পাঠচক্র ও সদস্য সভা’ বা চিন্তা ফোরামের সদস্য হয়ে গেলে খুবই ভালো হয়।
দয়া করে চিন্তার পাতায় (www.chintaa.com) যান এবং ‘পাঠচক্র ও সদস্য সভা’তে ক্লিক করুন।
আপনি চিন্তা ব্লগে কোন মন্তব্য করলে তা একই সঙ্গে ফেইসবুক, টুইটার ও অন্যান্য সোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করতে পারেন।
যাঁরা চিন্তা ফেইসবুকে চিন্তা গ্রুপের সদস্য এবং চিন্তা পাঠচক্রে কমবেশী নিয়মিত সদস্য, আমরা আশা
(আরো পড়ূন)
‘প্রতিপক্ষ’ সাহিত্য বোঝাতে বাংলায় ‘সহিত’ থেকে সাহিত্য এই ব্যুৎপত্তির তাৎপর্য কবুল করে। সেটা প্রমাণ করবার জন্য তারা নূরুল আলম আতিক, মোহাম্মদ আজম আর মাহবুব মোর্শেদকে রিদয়পুর বিদ্যাঘরে তাদের সাহিত্য আড্ডায় হাজির করে। তিনজন তিন ভাবে তঁদের কাজের ক্ষেত্রের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলেন। আমি সকলের কথা ‘সহিত’ থেকে সাহিত্য এই সূত্রে বোঝার চেষ্টা করেছি। তাঁদের পরিবেশনা সম্পর্কে দ্রুত কিছু সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করে রাখতে চাইছি। যাতে পরে আরও বিস্তারিত লিখতে পারি। প্রথমে নূরুল আলম আতিকের উপস্থাপনা নিয়ে।
আতিক যখন 'সিনেমার নিজস্ব ভাষার খোঁজে' নিয়ে কথা বলছি
(আরো পড়ূন)
ফরহাদ ভাই, বানান ভুল হয়েছে বোধহয়, ‘হৃদয়পুর’ হবে, ‘রিদয়পুর’ না, ঠিক না?
আমি ঘাড় ফিরিয়ে মুখটা চেনার চেষ্টা করি। সকালের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল, আকাশে তখনও মেঘ। ‘রিদয়পুর’। এটা রয়েছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজিলা, পাথরাইল ইউনিয়ন, বিষ্ণুপুর গ্রামে। আমরা বলি বিদ্যাঘর। রিদয়পুর বিদ্যাঘর নিরক্ষরদের বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্র।
মনে হোল ব্যাখ্যাটা দেওয়া দরকার।
‘রিদয় বলে ছেলেটা নামেই হৃদয়, দয়ামায়া একটুও ছিল না’ – এই বাক্যটি যাদের মুখস্থ তারা জানেন ‘হৃদয়পুর’ না হয়ে ‘রিদয়পুর হয় কেন। অনেকে অবশ্য ‘বুড়োআং
(আরো পড়ূন)
আমাদের দেশে কোন নবী আসে নাই আমরা যেই ইসলাম টা পেয়েছি সেটা আউলিয়া কেরাম ,পীর মাসায়েক এবং সূফী -দরবেশদের বদৌলতে । এই অঞ্চলের আঞ্চলিক সংস্কৃতি আর ইসলাম ধর্মের হুকুম আহাকাম মিলে ইসলামটা আমাদের কাছে যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা একে বারে কোরান হাদিস মোতাবেক সহি শুদ্ধ নই । যেমন শরীয়তের পাঁচটা স্তম্ভের মধ্যে কালেমা আদায় করি জন্মগত অথবা উত্তরাধিকার স্টাইলে , নামায আদায় করি সৌদি আরব অথবা ইরানী স্টাইলে , রোজা আদায় করি উপবাস থাকার স্টাইলে , হজ্জ আদায় করি সেলিব্রিটি স্টাইলে , যাকাত আদায় করি খয়রাতী স্টাইলে , আবার পর্দা টা আদায় করি আরব স্টাইলে । আমাদের অধিকাংশ মুমিন মুসলমান ভাই ব
(আরো পড়ূন)
‘গাজায় হত্যা বন্ধ কর’, ‘শিশু হত্যা বন্ধ কর’, Stop Killing in Gaza’, ‘Stop Killing Children’ – এইসব প্লাকার্ড হাতে বাংলাদেশে এবং বিভিন্ন দেশে ভদ্রলোকী শ্লোগান দিয়ে শহরের নিরাপদ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে হাজার চেঁচামেচি করলেও ইসরাইল বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করবে না, করছে না, এবং তাদের বোমা মারাও থামবে না। যারা শুধু প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করছেন তারা তাঁদের ব্যাক্তিগত বিবেকের তাড়া থেকে করছেন। করুন। তবে আমাদের আরও গভীর ভাবে ভাবতে হবে।
জেনে হোক বা না জেনে হোক, যখন আমরা শুধু শান্তি, অস্ত্র বিরতি, ও সদর্থে হত্যার নিন্দা করি, ত
(আরো পড়ূন)
মনের ভাবের কোনো ছক নেই, চৌহদ্দি নেই। কিন্তু ভাষার শক্তির সীমা আছে। মননশীল মন সেই সীমায় বাধা পায়, মুক্তি চায়, পথ খোঁজে। চেনা শব্দে গোনা শব্দে যখন তার চলে না, মন তখন শব্দে ভর করে সেই শব্দকে ছাড়িয়ে যায়। উড়োজাহাজ চাকায় ভর করেই চাকার সীমা ছাড়িয়ে অসীম আকাশে পাখা মেলে, দূরাভিসারী কবিমন তেমনি শব্দকে আশ্রয় করেই শব্দোত্তর অনন্তের দিকে উড়ে চলে।
কবিতা যা বলে, আর কেউ তা পারে না। কবিতা যেমন করে বলে, তেমন আর কিছু বলে না। এই ‘যা’ ও ‘যেমন’-এর বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই কবিতার প্রকৃতি, তার কৃতি, তার সার্থকতা। এখানে
(আরো পড়ূন)
আশেকজনার নাই পারাপার থাকে না তার যাওয়া আসা
দিল হইতে 'দুই' উঠে যাবে, হবে রে মাশুকের নেশা
...
...
< (আরো পড়ূন)আমরা নৈঃশব্দ্যের ফিকির করি না
তবুও কেমন করে হিম হয়ে
আমাদের কথাগুলো জমে থাকে
গহীনে-
কোথায় যাবো বলো
সব পথ মাড়িয়ে আমরা
পৌছে যাই সাদা বালির দেশে।
আমাদের চোখ
প্রার্থনায় মুদে এলে
আমরা নির্জন পাহাড়ের ঢালে
একা একা কথা বলি যেন।
নিজের সাথে কথা-
তাকে প্রার্থনা বলি।
হিম হতে থাকো নয়নতারা
তোমার হয় না বলা
আমরা নৈঃশব্দ্য খুঁজি না
কোলাহলের মগ্নরূপ দেখতে চাই।
শেষ বিকেলে
একা একা দেখা পাই।
আমরা নিজের বুকের ভেতর হিম হয়ে থাকি।
*আমার লেখার খাতা:
(আরো পড়ূন)
জীবনের নিঃসঙ্গ বন্ধুর পথ চলতে চলতে
আকস্মিক তার সাথে দেখা।
অজানা, অচেনা
তবু যেন কত পরিচিত,
যুগ জন্মান্তরের চেনা।
ভাবি এই বুঝি আমার ঠিকানা,
এখানেই বুঝি পথচলা শেষ।
এখানেই বুঝি ভালবাসার ছায়ায় বিশ্রাম
অবিরাম বিশ্রাম।
কিন্তু সব ভাবনা কি সত্যি হয়,
একদিন কাছে এসে ও কাছের মানুষ হারিয়ে যায়।
আবার এই আমি সেই আ
(আরো পড়ূন)