১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য
শ্রদ্ধাভাজনেষু
আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।
সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা
(আরো পড়ূন)
আগামিকাল কি বৃষ্টি হবে?
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে দেশ
আগামি কাল মে মাসের পাঁচ তারিখ
কাফন সাদা শাপলা-কুসুম,
আগামি কাল কি বৃষ্টি হবে?
আমি খুঁজছি সেই পাক্কা অভিনেতাদের
মাথায় টুপি, হাতে তসবি আর চিড়াগুড়ের পুঁটুলি
প্রধান মন্ত্রীর স্বরচিত নাটকে অভিনয়ের জন্য যারা
রঙ মেখে শুয়ে ছিল গতবছর
শাপলা চত্বরে।
বুট, বন্দুক ও সাঁজোয়া যানে ভারি মধ্যরাত্রির পালা
র্যাব পুলিশ বিজিবির গুলি, বুলেট, সাউণ্ড গ্রেনেড ও যৌথ অভিযান
স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী মৃতের অভিনয়ে শুয়ে
(আরো পড়ূন)
পর্যালোচনায়- ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী
সাবেক মহাপরিচালক,
বাংলা একাডেমী।
‘তবুও বৃষ্টি আসুক’ কবি শফিকুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আগামী প্রকাশনী। তার ক
(আরো পড়ূন)
ইত্তেফাকের রিপোর্টে দেখলাম ছেউঁড়িয়ার অনুষ্ঠানে "একতারা হাতে সবাই গেয়ে ওঠেন 'ডানে বেদ, বামে কোরআন, মাঝখানে ফকিরের বয়ান, যার হবে সেই দিব্যজ্ঞান, সেহি দেখতে পায়'। লালনের এ রকম গান আছে আমার জানা নাই। জীবনে অজানা অনেক কিছুই থাকতে পারে। তবে নদিয়ার ফকিরেরা বাম দিকে বেদ আর ডানদিকে কোরান রেখে মাঝখানে আছেন -- এই তত্ত্ব বড়োই অ-লালনীয় ও অসম্ভব তত্ত্ব মনে হচ্ছে। দুনিয়ায় হিন্দু আর মুসলমান ছাড়া আরও মেলা ধর্ম সম্প্রদায় আছে। তারা ফকিরদের কোনদিকে আছে? ডানে না বামে?
< (আরো পড়ূন)হাসবো ভেবে চুপচাপ বসে আছি
প্রিয় বাহনে উড়ে যেতে যেতে
ঠিক আগের মতোই সীসার আবরণে
তোমার গড়ে ওঠা দেখছি
চাঁদ জেনে রাখো তোমাকে দেখে দেখে রাখছি
শহরের পুরাতন গাছগুলো অজানা কাকে যেন
আলিঙ্গন করতে চায়
তারা মোহাচ্ছন্ন করে ফেলে আমাকে
নদীয়ায় ফুটেছে পলাশ শিমুল
শীতের বিষ শুষে নেয়া রোদে
এক জোড়া ডাহুক ধুল নিচ্ছে
বাতাস ভেদ করে উড়ে যেতে যেতে
গাল গড়িয়ে টুপ করে জল খসে পড়ে
তাকে তারা ভেবে আ
(আরো পড়ূন)
“অন্ধকারের বনলতা সেন ও আলোকিত সুলতা”
–ডঃ সৈয়দ এস আর কাশফি
বাংলা সাহিত্যে কবি জীবননান্দ দাশের কাব্যনায়িকা বনলতা সেন। তাকে নিয়ে অতীতে অনেক মাতামাতি হলে ও বিষয়টি এখন থিতিয়ে পড়েছে। প্রাচীন যুগের আবহে যে বনলতাকে তিনি উপস্থাপন করেছেন সে পরিবেশ আজ আর নেই। আজ আর
(আরো পড়ূন)
চাইলে একটা রোদ নামাতে পারতাম
নিদেনপক্ষে একটা মেঘলা বিকেল
কিন্তু তুমি চাইলে মখমলে মোড়া ব্যাগে
ইচ্ছেমত ইচ্ছে খরচ যত...
চাঁদ দিতে রাজী ছিল একপক্ষ নরম আলো
ঝিঁঝিঁ পোকার দল তৈরি ছিলো, সুর নিয়ে মুখে
তুমি চাইলে -চোখ ধাঁধানো জৌলুশ...।
আমি কি আর বাস্তবে চৌকস?
যদি হতাম ই, তবে কেন কবিতার খাতায়
লিখে যাই ভালোবাসার পঙ্কতি
শাজাহানের তাজমহল তো ছিলই-নিদর্শন!
আনন্দ দেখো-
নদীটির তীরে অহর্নিশ কারা আসে যায়
আমরা যার নামও দিয়েছি
আমরা নাম দিয়েছি তার
ঢেউ
ঢেউ এক হারানো মানিক
ফিরে আসে আবার ফিরে যায়
আমরা নদীটির ঢেউ গুনি!
তুমি কি শুনতে পাও
ঢেউয়ের মাঝে তোমার চলন
তোমার মাঝে ঢেউ
তারা যাকে বলে ইতিহাস
কি দ্বিধা দেখো-
আমরা বলি
দেখার নীরবতায় হারিয়ে যাক কথা
পরিহাস
কথারা হারায় না কখনো
হারায় শুধু কথার জননীরা।
আনন্দ ঢেউয়ের ইতিহাস কী
অথবা এই নদীটি
যার কূলে আমরা একেলা বসে
নক্ষত্র দেখি
আর নদীটি
নদীতে বাসা বাধে পক্
(আরো পড়ূন)
রাইসু, পার্বতীর নাচ দেখে আপনার তরুণ রবীন্দ্রনাথ মনে হওয়ায় আমি আপত্তি করি নাই। কারন আমরাতো রবীন্দ্রনাথরেই চিনি। লালন বা ভক্তির ধারারে কিভাবে চিনি সেটা গৌতম ঘোষ/সুনীল বাবুর ‘মনের মানুষ’ সিনেমা দেখলেই টের পাওয়া যায়। আমাদের দৌড় অতোটুকুই।
আমি চিনি সেই দাবি করি না, কিন্তু দীর্ঘকাল আমি এই ধারাটারে চেনার চেষ্টায় ব্যয় করেছি বলে নিজের অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে কিছু কথা বলেছিলাম। সবই উপেক্ষা করা যায়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আপনি খুব গোড়ার কিছু প্রশ্ন তুলেছেন, যা নিয়ে সম্ভবত আরও কিছু আলোচনা হতে পারে। তার আগে ‘ওনারে দেইখা তরুণ রবীন্দ্রনাথ মনে হইল’ – আপনার
(আরো পড়ূন)
@ ব্রাত্য রাইসুর মন্তব্য ধরে আলোচনা করতে গিয়ে কথাগুলো মনে এলো। আসলে আয়ু তো ছোট হয়ে যাচ্ছে, তাই যা মনে এলো লিখে রাখলাম। পরে ভুলে যাবো।
"বাংলার ভাবান্দোলনের চিহ্ন পরম্পরা ও ব্যাকরণ মেনে যারা ভাবচর্চায় আগ্রহী, কিন্তু যে ভাব শুধু বাংলার ভাবান্দোলন হবে না, বরং তার বৈশিষ্ট্য হবে বৈশ্বিক। তাদের জন্য পার্বতী খুব তাৎপর্যপূর্ণ।" / FM
(আরো পড়ূন)
পার্বতী বাউলের নাচগান ভালোই লাগল। কিন্তু দক্ষতার অতিরেক মনে হয় ভক্তির অন্তরায়। ওনারে দেইখা তরুণ রবীন্দ্রনাথ মনে হইল। আমি বলতে চাই, বিদ্যার সব আর্টে ঢালতে হয় না। উনি ঢালতেছেন। - ব্রাত্য রাইসু ব্রাত্য রাইসু। এই নিরানন্দ সময়ে আপনাকে ভাল লাগাতে পারা কম কথা না। 'কিন্তু দক্ষতার অতিরেক মনে হয় ভক্তির অন্তরায়' -- আমি ঠিক বুঝি নাই। আমি তাঁর নাচে বা গাওনে 'দক্ষতা' বিশেষ দেখি নাই। তবে ভক্তি দেখছি। এটা আমি মোটামোটি চিনি বলে সাহসের সঙ্গে কিছুটা দাবি করতে পারি, কারন এঁদের সঙ্গে জীবনের বড় একটি অংশ ব্যয় করেছি, এখনও করি। ভাবচর্চ
(আরো পড়ূন)
আনন্দবাজারে চলরে মন (২)