চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

পোস্ট মর্ডানিজিমঃ এক নিঃশব্দ হাহাকার

 

 

 

পরাবাস্তববাদ, এ্যাবসার্ডনেস কিংবা অর্থহীনতার প্রবল গ্রাস মানব মনে এসেছে এই উওর আধুনিক যুগে। মানুষের নিতান্ত একা হয়ে পড়া, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তবু সবকিছুর থেকে পিছিয়ে পড়ার ভেতর দিয়ে মানুষ নিহিলিস্ট বা ধ্বংসবাদী বনে গেছে। এ এক নৈরাজ্য, বিরোধাভাস- সবকিছু থেকেও না থাকার উপস্থিতি!

 

ইংরেজি সাহিত্যে পোস্ট মর্ডানিজমের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (আরো পড়ূন)


'বাঙালি' এবং পশ্চিম বাংলার নির্বাচন ৩

আগের আলোচনায় দেখিয়েছি সংখ্যাভীতি পশ্চিম বাংলায় নতুন কিছু না, হিন্দুত্ববাদি রাজনীতি সবসময়ই সংখ্যাভীতিকে কাজে লাগিয়েছে। আসলে শুধু পশ্চিম বাংলা নয়, এটা সর্ব ভারতীয় বাস্তবতা। সম্প্রতি কালে দুই হাজার এগারো সালের লোকগণনার ফল বেরুনোর পর থেকেই সংখ্যাভীতি সর্ব ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই হাজার এগারোর লোকগণনার তথ্য জানিয়ে সে সময় একটি বিবৃতি দেয়, তাতে বলা হয়, “পুরা জনসংখ্যার বিচারে হিন্দু জনসংখ্যা শতকরা ০.৭ পয়েন্ট কমেছে। আর মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে শতকরা ০.৮ পয়েন্ট’। লোকগণনার তথ্য হিন্দুত্ববাদিদের হাতে ভাল অস্ত্র হয়েছে। য (আরো পড়ূন)


'বাঙালি' এবং পশ্চিম বাংলার নির্বাচন ৪

অবশেষে ভারতে নির্বাচনের ফলাফল বেরুতে শুরু করেছে। বিজেপি জিতেছে। মোদী ক্ষমতায় রইলেন। যারা আমার লেখা অনুসরণ করেছেন তাদের কাছে এটা অবাক হবার মতো কোন খবর না। মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের ৪২টি আসনে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেখা যাচ্ছে ২৩টির মতো আসনে তিনি জিততে যাচ্ছেন । বোঝ যাচ্ছে মুসলমান ভোটের সংখ্যার নিজের ঝুলিতে ভরাবার জন্য মুসলমান তোষণের ফল শেষাবধি ভাল হয় নি। ভাল হয় নি কারো সঙ্গে জোট না করবার অহংকারও। তাঁর হার হোল। বামদের হেরে যাওয়া নিয়ে যতো না আক্ষেপ, তার চেয়ে তৃণমূলকে ঠেকাতে বামদের বিজেপি সমর্থন প্রবল নিন্দার কারণ হয়েছে। ‘রামবাম’ নামে বাংলা ভাষায় একটি নতুন বাগধারার (আরো পড়ূন)


'বাঙালি' এবং পশ্চিম বাংলার নির্বাচন ১

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমরা যারা তরুণ তখন লেখালিখি করতাম স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের অনেকেরই এই কাণ্ডজ্ঞানটুকু জন্মেছিল যে বাংলাদেশকে যদি কদম বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে কলকাতার দিকে তাকালে চলবে না। হুমায়ূন আহমেদ সেটা ভাষা ও সাহিত্যের জায়গা থেকে বুঝতো, কলকাতার ভাষায় গদ্য লেখা যাবে না, গল্পকে গল্পের মতো সহজ সরল গদ্যে বলবার ধারা তৈরি করতে হবে, যেন ক্লাস এইটের কিশোরও পড়ে আনন্দ পায়, বাংলাভাষাকে যেন তার বিদেশি ভাষা মনে না হয়। সংস্কৃত ও তৎসম শব্দের জুলুম ও আকীর্ণতা থেকে ভাষাকে সকলের কাছে গল্প বলবার মাধ্যমে পরিণত করা যায়।

আহমদ ছফা আরও সামগ্রিক ভাবে বুঝতো যে (আরো পড়ূন)


'বাঙালি' এবং পশ্চিম বাংলার নির্বাচন ২

তৃণমূল, কিন্তু বিশেষ করে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রধান অভিযোগ হচ্ছে তিনি মুসলিম তোষণ করেছেন, এরই প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম বাংলায় বিজেপির উত্থানের শর্ত তৈরি হয়েছে। এই অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধেও আমরা আগে শুনেছি। এমনকি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও। বিজেপির উত্থানের দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে মুসলমান আতংক,সেটা হোল মুসলমান জনসংখ্যা বেড়ে যাবার ভীতি। এই ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির কোন হাত আছে কিনা জানি না, কিন্তু অনেকের মন্তব্য ও লেখালিখি পড়ে মনে হয় মুসলমান পরিবারে সন্তান জন্ম নেবার অপরাধও যেন মমতা ব্যানার্জির! কারণ তাদের অভিযোগ তৃণমূল আমলে মুসলমান সংখ্যার ভীতি হিন্দু ভোটারদের ক (আরো পড়ূন)


আর্থ ধর্মকথা এবং 'কোরবানি': ১

'মনের পশু কোরবানি করা' ইসলাম বিরোধী প্রপাগাণ্ডার অংশ। এ নিয়ে প্রতিবছরই তর্ক করতে হয়। তবে এই ফালতু নীতিবাগীশতা প্রচার আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।

ইসলামে 'কোরবানি'র তাৎপর্য অনেক গভীর যা ধর্মের ইতিহাস, তুলনামূলক ধর্মবিদ্যা (Comparative Religion) এবং দর্শনের বিষয়। তবে কোরবানিকে মাংসভোগীদের উৎসবে পরিণত করা এবং গরুর মাংসের কোন অংশ দিয়ে কি ধরণের কাবাব বানানো যায় তা একান্তই পুঁজিতান্ত্রিক ভোগী ব্যবস্থার পরিণতি। পুঁজিতন্ত্র ধর্মকে কিভাবে বাণিজ্য ও ভোগের বিষয়ে পরিণত করে সেটা এক দুর্দান্ত আলোচনা হতে পারে। তবে ফ্রিজ ও মশলা কোম্পানির বিজ্ঞাপন মনোযোগের সঙ্গে পড়ে দেখতে পারেন, পাশাপ (আরো পড়ূন)


আর্থ ধর্মকথা এবং 'কোরবানি': ২

‘কোরবানি’ প্রসঙ্গে একটি স্টেটাসের সূত্র ধরে ইনবক্সে ও টাইমলাইনে বন্ধুরা ধর্ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলছেন। চলুক। থ্রেড ধরে উত্তর না দিয়ে সকলের আলোচনার বিষয় পেশ করতে চাইছি।

ধর্ম কী, এ এক কঠিন ও জটিল প্রশ্ন। ‘দ্বীন’ বা ‘ধর্ম’কে আমরা এখন ল্যাটিন শব্দ থেকে আসা ইংরেজি ‘রিলিজিয়ন-এর অনুবাদ করে বুঝি, যা মূলত ধর্ম সম্পর্কে খ্রিস্টিয় ব্যাখ্যা বা সংজ্ঞা। সেকুলারিজম কিম্বা আধুনিক কালে ধর্মের বিরোধিতাকে পাশ্চাত্য ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে বোঝা যাবে না। খ্রিস্টিয় ‘রিলিজিয়ন’ বিরোধিতার মূলে গির্জার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক (আরো পড়ূন)


আর্থ ধর্মকথা এবং 'কোরবানি': ৪

এবার আমরা দ্বিতীয় ‘বিশ্বাস-ব্যবস্থা’র কথা বলব, অর্থাৎ আধুনিক সমাজে যে নতুন বিশ্বাস ধর্মের ভূমিকা পালন করে।

মানুষের সমাজ গড়ে তুলবার ক্ষেত্রে ধর্ম একসময় সামাজিক নীতি-নৈতিকতা, আইন, বিধিবিধান ইত্যাদির উৎস ছিল এবং একই সঙ্গে সমাজের ভিত্তি হিশাবেও ভূমিকা রেখেছে। ধর্ম ও ধর্ম চর্চা নানান প্রতীক, আচার ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে এটাই বোঝাতে চেয়েছে যে মানুষ একা নয়, সে একটা সমষ্টি বা সমাজের অন্তর্গত। ধর্মের সেই ভূমিকা বহু আগেই অপসৃত হয়েছে। সেখানে স্থান নিয়েছে বাজার-ব্যবস্থা। নিত্যদিন আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝি আমরা বাজার ব্যবস্থার অধীনেই বাস করি, বাজারের নিয়মই (আরো পড়ূন)


আর্থ ধর্মকথা এবং 'কোরবানি': ৩

22 August 18

‘ধর্ম', 'দ্বীন' বা 'রিলিজিয়ন' আসলে কী সেটা ব্যাখ্যা করা যারপরনাই কঠিন এটা পণ্ডিত, বিশেষত ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক মহলে এখন কমবেশি স্বীকৃত। তবে ধর্মের সমাজতত্ত্বে যাদের আগ্রহ তাঁদের অধিকাংশই বলেন, সুনির্দিষ্ট ভাবে ধর্ম যে জাগতিক ভূমিকা পালন করে তার পর্যালোচনা ধর্ম ব্যাখ্যার একটা ভাল পথ হতে পারে। এই পদ্ধতি ধর্মের ফাংশানালিস্ট ব্যাখ্যা বলেও পরিচিত।

ধর্মের সমাজতাত্ত্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায় ধর্ম এক সময় জীবন ও জগতের ব্যাখ্যা দিতো, এবং জগতে মানুষের কর্তব্য নির্ণয় করে দেবার ভূমিকা রাখত। মোটা দাগে দুটো ভূমিকা ধর্ম পালন করতো। একটি হচ্ছে জ্ঞানতাত্ত্বিক (আরো পড়ূন)


ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)