চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

দান্তে ও আবু নাসের আল ফারাবি

এবার ঈদের ছুটিতে কাজ থেকে ছুটি নেবো। কি কি আবার পড়ব তার তালিকা তৈরি করছি। তরুণ কবিদের কাজে লাগতে পারে ভেবে জানাচ্ছি, দান্তে আলিঘিয়েরির ‘ডিভাইন কমেডি’। এটা একই সঙ্গে ধৈর্যের পরীক্ষাও হবে। দান্তের ইসলাম ও ইহুদি ধর্মের বিরোধিতা ও বিদ্বেষ অজানা কিছু নয়। বারো এবং তেরো শতকের খ্রিস্টিয় ক্রুসেড ইউরোপের স্মৃতি ও মননে কিভাবে ইসলাম বিদ্বেষ বদ্ধমূল করেছিলো দান্তে তার ভালো নজির। একই সঙ্গে মধ্য যুগে পাশ্চাত্যে ইসলামের প্রভাবও মনে রাখা দরকার। বিশেষত দর্শন, ওষুধশাস্ত্র ও গণিতে।  ফলে খ্রিস্টীয় ইউরোপের প্রধান মনোবাসনা ছিল নরকে ইসলামের নবি ও ইসলামি জিহাদের মূর্ত প্রতীক হজ (আরো পড়ূন)


ব্লগার হত্যাঃ বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ফলাফল জনসমক্ষে আসবে কী?

বাংলাদেশ এক রক্তাক্ত অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। শুধু গত ছয় মাসেই খুন হয়েছেন চারজন ব্লগার। আর প্রতিদিন এখানে সেখানে কত মানুষের রক ঝরছে তার কোন ইয়ত্তা নাই। এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ব্লগার হত্যার ব্যাপারটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশি আলোচিত হতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ব্লগার হত্যার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবী জানিয়েছে।

অবশ্যই ব্লগার হত্যা একটা উদ্বেগজনক ইস্যু এবং ঘোরতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির। এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা, রিপোর্টিং হওয়া অত্যন্ত দরকারিও বটে। কিন্ত (আরো পড়ূন)


উর্দু-ফার্সি-আরবি ও কওমি মাদ্রাসার লেখাপড়ার হকিকত

আকসার কওমি মাদ্রাসার নামের সাথে ‘জামেয়া’ শব্দটি দেখা যায়। ‘জামেয়া’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়। কোথাও কোথাও ‘আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’-ও লাগানো থাকে নামের সাথে। যারা কওমি মাদ্রাসার লেখাপড়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা মাদ্রাসার নামের ভেতরকার ‘জামেয়া’ বা ‘বিশ্ববিদ্যালয়’শব্দটি লাগানো দেখে হয়ত ভেবে বসতে পারেন মাদ্রাসায় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক ক্লাস আছে, মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ভালো আরবি জানেন। তিক্ত হলেও সত্য এই যে, ব্যাপারটা পুরোপুরি উল্টো। মাদ্রাসা নামের মধ্যে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দটি বসানো থাক (আরো পড়ূন)


অতীতের গৌরব উজ্জ্বল ঢাকা

সম্রাট জাহাঙ্গীরের নির্দেশে ৫০ হাজার সৈন্য সহ এক লাখ লোক নিয়ে ঢাকায় আগমন করেন্ সুবাদার ইসলাম খাঁ । সুবে বাংলার রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এই নগরী । বুড়িগঙ্গায় নোঙ্গর করা "চাঁদনী" নামক বজরায় শুরু করেন বসবাস । ১৬৬৪ সালে আসেন শায়েস্তা খাঁ, যখন টাকায় মিলত আট মণ চাল । টাকার মান যখন এই , আর এ সময়েই ১৬৬৫ সালে বাদশাহ আওরঙ্গজেব কে বাংলার রাজস্ব থেকে ১১০ টি গরুরু গাড়িতে করে পাঠিয়েছিলেন ৫৫ লাখ টাকা । ১৬৬৬ সালের কথা মসলিন, সিল্ক, সুতিবস্ত্র ও ফুল ফলের কাজ করা বস্ত্র ইতালি (আরো পড়ূন)


কারাগার নিয়ে কিছু কথা

কারাগারের শুরু হিসেবে বিবেচনা করা যায়, যখন রাষ্ট্র 'সামাজিক সংগঠন' এর রূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।লিখিত ভাষার কল্যাণে কিছু 'লিগ্যাল কোডস' সমাজের গাইডলাইন হিসেবে আকার লাভ করে।  সর্বাধিক পরিচিত লিগ্যাল কোড ' The Hammurabi' আইন ভঙ্গের অপরাধে প্রথম শাস্তির ধারনা উপস্থাপন করে।
প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা, যেমন প্লেটো, অপরাধীকে 'সংশোধন বা পুনর্বাসন' এর ধারনা দেওয়া শুরু করেন। সেসময়ে যারা জরিমানা দিতে অক্ষম,তাদের কারাগারে রাখা হত।
রোমানরা প্রথম কারাগারকে বন্দি করে রাখার পরিবর্তে শাস্তি প্রদানের রূপ হিসেবে ব্যবহার করে।
মধ্যযুগে শাস্তির বিভিন্ন ধারনা প্রচলিত ছিল,যেমন (আরো পড়ূন)


'দ্য অডাসিটি অব হোপ'


 
অসম্ভব  সুন্দর একটা বই।
নির্বাচনী কাজে মানুষের সাথে কথোপকথন থেকে বারাক ওবামার এই বইটি লেখা।জনসংযোগকালে তিনি বুঝতে পেরেছেন আমেরিকান জনগণের মোলিক শিষ্টাচার,একগুচ্ছ আদর্শ  আর মূল্যবোধ যা আমেরিকান জনগণের সম্মিলিত সচেতনতাকে লালন করেছে আর রেখেছে একই বন্ধনে আবদ্ধ।ইতিহাসের বই পড়ে এই আদর্শ এই মূল্যবোধ জানা যায় না,এইগুলো প্রোথিত আছে মানব হৃদয়ে। এইগুলোর সন্ধান মেলে মানুষদের সাথে মেশার ফলে।

 'রাজনীতি একটা নোংরা খেলা।এই খেলার সাথে বারাক তুমি নিজেকে কেন জড়াচ্ছ?' এই প্রশ্নটি ছিল বারাক ওবামার কাছে সাধারণ মানুষের।  
 কেবল রা (আরো পড়ূন)


গুম হয়ে যাওয়া মানুষ ও তাদের পরিবার: আন্তর্জাতিক সংহতি সপ্তাহ

আপনি কি জানেন যে গতকাল ২৫ মে থেকে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে যে মনুষ গুলো গুম হয়ে গিয়েছে তারা যে দেশেরই হোক তাদের স্মরণে সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে।  শেষ হবে ২৯ তারিখে। মানুষ গুম করে ফেলার মতো নৃশংস ও মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সারা দুনিয়াব্যাপী সপ্তাহ (International Week of the Disappeared) পালন প্রতিবাদের একটি ধরণ।  সত্য যে যাদের প্রিয় মানুষগুলোর হদিস আর পাওয়া যাচ্ছে না, তার মৃত নাকি জীবিত সেটা তাদের আত্মীয়স্বজনও জানেন না – তাদের কষ্ট ও বেদনার মাত্রা বোঝার সাধ্য হয়তো আমাদের নাই। কিন্তু তারা যেন আমাদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে না যায় তার জন্যই গুম হয়ে যাওয় (আরো পড়ূন)


বাঙলা কবিতা ও দশক বিভাজন-১

এক

আধুনিক বাঙলা কবিতার দশকভিত্তিক আলোচনা বা আঙ্গিকগত বিভাজন, সাহিত্য সমালোচনায় যে এক বিশেষ ধারা সৃষ্টি করে নিয়েছে, তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের কোলে লালিত যে তিরিশের কবিতায় ব্যক্তি তার জাগ্রতসত্ত্বার উপলব্ধিবোধকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ করেছিল সেই তিরিশের কবিতাও আধুনিকতা নামক বৃত্তের মধ্যে আবর্তিত হয়েছিল দশক হিশেবে। তাই আমরা যখনই আধুনিক কবিতার আঙ্গিক বা ভাবগত বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করি স্বাভাবিকভাবেই দশকভিত্তিক চিন্তা বা এর বিভাজন আমাদের লীলা-চৈতন্যে মুখ্য হয়ে ওঠে। দশক বিভাজনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কিংবা এর ভাব বা রূপগত চিন্তা কবিত (আরো পড়ূন)


চিন্তা পাঠচক্রের ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস’ উদযাপন

আজ ১০ এপ্রিল ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস’। এই তারিখে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করা হয় এবং ১৭ এপ্রিলে মেহেরপুরের  বৈদ্যনাথতলায়  তা পাট করা হয়।

এই দিবস উপলক্ষ্যে চিন্তা পাঠচক্র মোহাম্মদপুরে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনায় ‘স্বাধীনতার ঘোষণাঃ অঙ্গীকার ও গঠনের রাজনীতি’ শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনা সভার আয়োজন করে।  আলোচনায় অংশ নেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক গৌতম দাস, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ এবং কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। গৌতম দাস তার আলোচনায় স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশের পুরো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্ (আরো পড়ূন)


উৎসের সন্ধানে-০১ ঃ সাম্য-মানবিক মর্যাদা-ইনসাফ

‘আত্মপরিচয়ের বয়ান’ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের উৎসের সন্ধান হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি আমাদের কাছে আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে । আমরা জানতে চেষ্টা করেছি ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ বা ‘ডিক্লারেশন’ ব্যপারটা আসলে কি? এর উৎসটা কোথায়? একটা জাতির জন্য এটি কেন দরকার হয়? কিংবা বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যপারটার মর্মার্থ কি কিংবা এনিয়ে তর্ক, বিভক্তি এবং ঐক্যের জায়গাটি আসলে কোথায়? আমরা দেখেছি স্বাধীনতার বিষয় নিয়ে পৃথিবীতে অসংখ্য ডিক্লারেশন রয়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা, মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই, মানুষে মানুষে সাম্য আর ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের (আরো পড়ূন)