১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য
শ্রদ্ধাভাজনেষু
আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।
সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা
(আরো পড়ূন)
প্রপাগাণ্ডা মোকাবিলা
অক্টোবর বিপ্লবের একশ বছর উপলক্ষে চিন্তার ওয়েব পাতায় আমরা বেশ কয়েকটি লেখা পেশ করেছি। আধুনিক কালপর্বে পাশ্চাত্যের অক্টোবর বিপ্লব মানবেতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, একই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিনের বিপ্লব এবং ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লব। মানবেতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উত্থানপতন এবং বিপ্লবোত্তর সমাজগুলোর পর্যালোচনা একালে আমাদের কর্তব্য নির্ণয়ের জন্য জরুরী। যাঁরা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অক্টোবর বিপ্লবের ১০০ বছর পালন করেছেন আমরা তাদের স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে চিন্তা ও তৎপরতার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ঐক্যের শর্ত তৈরি ও প্রশস্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে কিছু
(আরো পড়ূন)
লেনিন নাই। তাই কি? লেনিন আসলে কিন্তু আছেন। কারন কোন অগ্রসর চিন্তাকেই তার পূর্ণ বাস্তবায়নের আগে দাফন করা যায় না। তাই অক্টোবর বিপ্লবের একশ বছর উপলক্ষে আপনাদের লেনিন পড়তে উৎসাহিত করছি।
ধরুন, লেনিনের 'গণতান্ত্রিক বিপ্লবে সোশ্যাল ডেমোক্রাসির দুই রণকৌশল' বইতে কী আছে যা আপনার জানা দরকার? যার জন্য রুশ বিপ্লবের একশ বছর পর এই প্রায় ভুলে যাওয়া বইটি পড়তে আপনাদের ফুসলাচ্ছি?
কী আছে বলবেন না, বরং বলুন কী নাই? একটি স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে 'বিজয়ী গণ অভ্যূত্থান' সফল করবার জন্য যে নীতি ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত থাকা দরকার তার সারকথাগুলো আপনি এই ছোট বইতে পাবে
(আরো পড়ূন)
এখানে অক্টোবর বিপ্লবের একশ বছর উপলক্ষে চিন্তা পাঠচক্রের সঙ্গে লেনিনের ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে সোশ্যাল ডেমোক্রাসির দুই রণকৌশল’ এবং এপ্রিল থিসিস পড়ুন। লেনিনের 'এপ্রিল থিসিস' সম্পর্কে জানতে হলে প্রগতি প্রকাশনী থেকে কয়েকটি নিবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত ‘বিপ্লবী সৈন্য বাহিনী ও বিপ্লবী সরকার’ পড়তে পারেন।
ইতিহাস পাঠ স্রেফ ঘটনাঘটনের বিবরণ জানা নয়, এটা আমরা জানি। ইতিহাস তখনই প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন আমরা বর্তমানের সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন ও সমস্যা বুঝতে এবং তার মীমাংসার জন্য অতীতে নজির খুঁজি। অক্টোবর বিপ্লব নিয়ে চিন্তা পাঠচক্র
(আরো পড়ূন)
ঈশ্বর একটি ধারণা, যা একটি মানুষ জন্মের পর তার সচেতন মস্তিষ্ক একটি উন্নততর পরম সত্ত্বার সন্ধান করে তারই স্বরূপ।
আমরা অতীতে ফিরে গিয়ে কোন কাজ করে আসতে পারলে তা একটি প্যারাডক্স(স্বয়ংবিরুদ্ধ) সৃষ্টি করবে। ঐ কাজের ফলাফল আমাদের বর্তমানের উপর প্রভাব ফেলবে। মনে করুন আজ থেকে একবছর আগে গিয়ে আপনাকে আমি হত্যা করে আসলাম। কিন্তু আজ তাহলে এক বছর পরে আপনি আমার লেখা পড়ছেন কীভাবে? পৃথিবীতে তো আপনার অস্তিত্ব থাকারই কথা না! সময় আমাদের মহাবিশ্বের চারটি মাত্রার ভেতরে একটি। সময়কে পরিবর্তন করে আমাদের নিজেদের ভাবাটাই চলে না। এই পরম মাত্রাই সকল কার্যকারণের জন্ম দিয়েছে; জন্ম দিয়েছে আমাকে
(আরো পড়ূন)
মোহাম্মদ রোমেল অনেক পুরানা কথা মনে করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ রোমেল। বিশ্বব্যাপী অত্যাসন্ন সংকট মাথায় রেখে প্রগতিশীল রাজনীতির কর্তব্য নিয়ে আমার নিজের সঙ্গে নিজের নিরাপোষ সংগ্রাম – যা ছিল কঠিন ও আত্মক্ষরণে রক্তাক্ত -- অথচ সৎ ও পর্যালোচনামূলক চিন্তার দ্বারা তাড়িত -- তারই একটি দলিল এই সেমিনার।
এরও আগে ‘মৌলবাদী আতংকের স্বরূপ’ নামে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলাম। ‘মৌলবাদের আতংক’ কিভাবে আমাদের বিপ্লবী রাজনৈতিক কর্তব্য থেকে বিচ্যূত করছে, সেটা ধরিয়ে দিতে চেয়েছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াইয়ের ভাষা বুঝব? আসলে ত
(আরো পড়ূন)
একটি পাথরখন্ড ঢিল ছুড়ে বদ্ধপুকুরে ফেললে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে তরঙ্গায়িত হয়ে শান্ত-স্নিগ্ধ পানি পুকুরতীরে আছড়ে পড়ে।পাথরের আঘাতে শান্ত জলের আকস্মিক আন্দোলন বা নড়াচড়া পুকুরের বাস্তুসংস্থানকেও খানিক নড়াচড়ায় বাধ্য করে।প্রকৃতির সাধারণ পাঠ বা বিজ্ঞানের কার্যকারণসূত্র যেভাবেই আমরা দেখিনা কেন এখানে পানির নড়াচড়া বা আন্দোলন;ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার খেলাটা লক্ষণীয়। তরঙ্গ যদি যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন বা আলোড়নের সঞ্চালনের ফলে শক্তি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে স্থানান্তরিত হওয়াকে বুঝায় তাহলে আমাদের জাতীয় জীবনের দূর্গতি দেখে নিরব থাকা মানেই মূল্যবোধ,নৈতিকতার স্কেলে নিম্নমুখী সূচকেই আমাদ
(আরো পড়ূন)
আমার সবাই জানি, জলের অপর নাম জীবন। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী খুব শীঘ্রই সুপেয় জল সংকটে পতিত হবে; যদি না আমরা এখনই জলের উপযুক্ত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেই।অন্য দিকে জলের অপব্যবহার বন্ধ করাও আজ একটি নাগরিক কর্তব্যে পরিণত হয়েছে। শুনা যায় যদি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হয় তবে তা পানীয় জলের জন্য হবে।
জাতীয় সংঘের সাধারণ সভা ১৯৯৩ সালে ২২ মার্চ তারিখটিকে বিশ্ব জল দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র গুলো নিজেদের দেশে প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস পালন করে এবং প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার রূপায়ন করে। আপনি জানেন বর্তমানে পৃথিবীতে ৭০০ কোটি লো
(আরো পড়ূন)
আজকের দিনে যে অর্থে পশু পাখীরা বন্য প্রাণী-আমাদের পূর্ব পুরুষরাও সেই একই অর্থে বন্য প্রাণী ছিলেন।মানুষ আর বুদ্ধির বিকাশের সাথে তাল মিলিয়ে সভ্যতার স্থাপন করে।আর শুরু হয় বন নিধন যজ্ঞ।জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সারা পৃথিবীতে বনভূমি কমতে থাকে।আর প্রতি দিন বিলুপ্ত হচ্ছে কত বিরল উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি।১৯৯২সালে রিও ঘোষণা পত্রে বন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্ৰহন করার কথা বলা হয়।দেরিতে হলেও তারই ফল স্বরূপ ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংঘের সাধারণ পরিষদের সভায়
বন ও বনভূমি রক্ষার জন্য ২১শে মার্চ দিনটিকে বিশ্ব বন দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
আসুন আমর
(আরো পড়ূন)
১.
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে (যে অঞ্চলে আমি ছোট বেলা থেকে বড় হয়েছি) আক্ষরিক নাট্য সম্প্রাদয় নামক একটি নাট্য সংগঠন গড়ে তুলেছিলাম আমরা কয়েকজন তরুন। নাট্য সংগঠনটি শ্লোগান ছিল “নাটক হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার” । আজ এই প্রবন্ধটি লিখতে বসে সেই শ্লোগানটির কথা মনে পড়ে গেল। সংস্কৃতিতে রাজনীতির ভাষা এ নতুন কিছু নয়। পূর্বে অনেক রাজনীতির সহায়ক শক্তি হিসেবে সংস্কৃতিকে অর্থাৎ সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে দেখেছি। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত এই সাংস্কৃতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সফলতার মুখ দেখেছে। আরো একট
(আরো পড়ূন)
সাব অল্টার্ন বিষয়ের আলাপটা প্রথম শুরু করেন গ্রামসি। বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ইতালিতে রাজনৈতিক তৎপরতা করতে গিয়ে গ্রামসি যখন ব্যর্থ হয়ে জেলে বন্দি হন, তখন রাজনৈতিকভাবে কেন ব্যর্থ হলেন এই বিষয়ে একটা বোঝাপড়ায় যেতে চাইলেন। শেষতক মার্ক্সিস্ট রাজনীতি অর্থাৎ সোভিয়েত বিপ্লবের পর লেনিনীয় রাজনীতি আর ‘শ্রেণী সংগ্রাম’ ইতালিতে ব্যর্থ হওয়ার যে অল্টারনেটিভ বোঝাপড়া সেটাকেই তিনি নাম দেন ‘সাব অল্টার্ন’।
সাব অল্টার্নের পুরো বিষয়টা গ্রামসি যখন ব্যাখ্যা করছেন তিনি ‘শ্রেণী’ ধারণাকে একটা ‘ইকোনোমিক শ্রেণী’ আকারেই পাঠ করেছেন এবং এখানেই জোর দিয়
(আরো পড়ূন)